কদিন আগেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে এবার তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাকে কী? দাবি পূরণে চেনা ছক থেকে এখনও বের হননি। আবারো আন্দোলনে দিল্লিকে বড় সড় ঝাকুনি দিলেন এ আপ কাণ্ডারী। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তীব্র শীতের মধ্যে ফুটপাতে শুয়ে রাত কাটালেন তিনি।
দাবি- দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ভার রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে। বরখাস্ত করতে হবে তিন পুলিুশ কর্মীকে।
মুখ্যমন্ত্রীর এ কাজে পুরো ভারতজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সমানতালেই চলছে। কংগ্রেস-বিজেপি'র ভাষায় ক্ষমতায় এসে কাজ না করে অরবিন্দ তামাশা করছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ আন্দোলনে সাড়া দিতে সকালে খারাপ আবহাওয়া উপেক্ষা করেও হাজির হন শয়ে শয়ে মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে মানুষের ঢল।
এদিকে নির্বাচনের ধকল কাটিয়ে উঠলেও শারীরিক অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো নেই কেজরিওয়ালের। সর্দি-কাশি আর জ্বর যেন পিছু ছাড়ছে না মুখ্যমন্ত্রীর। তবুও নিজের অবস্থান থেকে একচুলও সরতে নারাজ অরবিন্দ। কম্বল জড়িয়ে শুয়ে থাকলেন রেলভবন লাগোয়া ফুটপাতে।
মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন তিনি। তার পর দু’চোখের পাতা এক করলেও, ফের কাক ডাকার আগে উঠে পড়েন। ভোরের আলো ফোটার আগেই বাক্যবানে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডেকে। বলেন, ‘দিল্লিতে যখন একের পর এক অপরাধ হচ্ছে, মহিলারা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন,তখন কী ভাবে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন শিণ্ডে? আমরা ওঁকে ঘুমাতে দেব না। ’
শিণ্ডের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির পথে তাঁর সঙ্গে রাত কাটানো সাধারণ মানুষগুলোকে ন্যূনতম পরিষেবাও দেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এখানে একটা শৌচাগারও নেই৷ গতকাল রেলভবনের একটা শৌচালয় ব্যবহার করতে দেওয়া হলেও, আজ তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘ্ণ্টা ধরে বিক্ষোভ মঞ্চে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ছয় মন্ত্রীসহ ২০০ জন কর্মীসমর্থক। অথচ, ভিতরে জল-খাবার আনার অনুমতিও দিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।