বরিশাল নতুন বাজারে সিটি করপোরেশনের একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে ভবনটি নির্মাণের কথা থাকলেও এক বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এ কারণে বাজারের মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে বসে বেচাকেনা করছেন। ঠিকাদার জানান, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।
নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মাছ বাজারের ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।
ভবনের বিভিন্ন অংশ থেকে পলেস্তারা খসে কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থায় গত বছর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। ভবন নির্মাণে তিন মাসের জন্য ৫০ থেকে ৬০ জন ব্যবসায়ীকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় ব্যবসায়ী সমিতি। কিন্তু ঠিকাদার কিছু কাজ করে পরে কাজ বন্ধ রাখেন। জায়গার অভাবে মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীরা বাজারের ফুটপাত দখল করে বেচাকেনা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় নতুন বাজারে মাছবাজারের জন্য দোতলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ভবন নির্মাণের জন্য ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদার আংশিক কাজ করে কাজ বন্ধ করে দেন।
নতুন বাজারের মাছব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, ‘তিন মাসের কথা বলে আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এক বছরের বেশি সময় হলেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এক বছর ধরে আবর্জনার মধ্যে ব্যবসা চালাতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা ফুটপাতে বসছি। ’ দীলিপ বল্লভ বলেন, ‘তিন মাসের কথা বললেও কত দিন আমাদের এই দুর্ভোগে থাকতে হবে, জানি না। বেচাকেনা অনেক কম।
’
মাংসবিক্রেতা হেলেনা বেগম জানান, ভবন ভেঙে ফেলার কারণে ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ফুটপাতের ওপর দোকান বসাতে হয়েছে।
নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিব শংকর দাস জানান, তিন মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতিতে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছর পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সাধারণ মানুষ ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারে না।
মেসার্স আবদুল কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার সাইফুল করিম বলেন, ‘আমরা কাজ দ্রুতই করছিলাম। বৃষ্টির কারণে প্রায় চার মাস কাজ করতে পারিনি। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকার একটি বিল জমা দিলেও করপোরেশন থেকে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে, এমন আভাস দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, নতুন বাজারে ভবন নির্মাণকাজ দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
ঠিকাদার কাজ শুরুও করেছিলেন। একটি বিল জমা দিয়ে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকলেও বাকি কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।