তাঁর ফ্রি কিক প্রতিপক্ষ দল আর সেই দলের সমর্থকদের হূদয় ভেঙে খানখান করেছে অনেকবার। তবে এইবার একেবারেই অন্য রকম এক ঘটনা ঘটালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর ফ্রি কিক ভেঙে দিয়েছে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর হাত। ইংল্যান্ডে রিয়াল মাদ্রিদের প্রীতি ম্যাচে ঘটেছে এই অপ্রীতিকর ঘটনা।
২১ জুলাই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দল বার্নমাউথের সঙ্গে ম্যাচ ছিল রিয়ালের।
রোনালদোর জোড়া গোলে ৬-০ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতেছে সফরকারীরা। ওই ম্যাচেই ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া রোনালদোর একটি ফ্রি কিকের আঘাতে হাত ভেঙে যায় চার্লি সিলভারউডের। গোলপোস্টের পেছনে বসে ছিল সিলভারউড। দূর থেকে নেওয়া রোনালদোর ফ্রি কিকটি সরাসরি গিয়ে আঘাত করে তাঁর কবজিতে। একে তো কচি হাত তার ওপর রোনালদোর আগুনগোলার গতিতে মারা শট।
দুটো জায়গা ভেঙেছে তাঁর।
ওই অবস্থাতেই মাঠে বসে থেকে শেষ ৮৪ মিনিটের খেলা দেখেছে সিলভারউড। রোনালদোর খেলা তো আর রোজ রোজ মাঠে বসে দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। খেলা শেষে সোজা হাসপাতাল। সেখানেই প্লাস্টার করানো হয়েছে তার হাতে।
ছয় সপ্তাহ লাগবে সেরে উঠতে। হাতের সেই ব্যথা অবশ্য সিলভারউড ভুলে গেছে ম্যাচ শেষে। রোনালদো এই খবর পাওয়ার পর রিয়ালের একটি সই করা জার্সি পাঠিয়ে দিয়েছেন শিশুটির কাছে।
এই জার্সি পেয়ে খুশিতে ডগোমগো সিলভারউড। তার চেয়েও বড় কথা, বন্ধুদের কাছে বলে বেড়ানোর মতো গল্প পেয়ে গেছে সে! ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’কে সিলভারউড বলেছে, ‘আমি বন্ধুদের বলেছি, ওরা বিশ্বাস করতে পারছে না।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়টিই কিনা আমার হাত ভেঙেছে! আমি দেখছিলাম বলটা আমার দিকে ছুটে আসছিল। পোস্টের পাশ ঘেঁষে বাঁক দিয়ে বলটা আমার মুখে আঘাত করতে ছুটে আসছিল। ফলে মুখ বাঁচাতেই আমি হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করি। ’
সেই ফ্রি কিকটির ভিডিও দেখুন:
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।