আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা সব সময় জল ঘোলা করে খেতে ভালবাসেন। ক্ষমতার মোহে অন্ধ এসব লোকেরা যখন যা খুশি বলে বেড়ান। সামান্য লজ্জাটুকুও তাদের নেই। তাই এসব ফালতু লোকদের নিয়ে লিখতে বসেও ভারি বিরক্তিবোধ করছি। তারপর সরকারের সিমাহীন ব্যাথতা ও বিরোধী দলের ঘনঘন হরতাল আমাকে ক্ষুদ্ধ করেছে বলে লিখতে বসেছি।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেবুয়ারী জাতীয় নির্বাচনে তৎকালিন বিরোধী দল আওমীলীগ অংশ গ্রহন করে নাই। তাদের দাবী ছিল ত্বত্তাবধায়ক নামক আজব যা বিশ্বের আর কোন দেশে প্রচলিত নেই এমন একটা ফর্মুলায় নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু তখন খালেদা জিয়া বললেন একমাত্র শিশু আর পাগল ছাড়া এই দেশে কেউ নিরপেক্ষ নেই।
আওমীলীগ নিবাচনে অংশ গ্রহন না করলেও তাদের সর্মথকরা সতন্ত্র ও নানা ব্যানারে নির্বাচন করলো। সাথে সাথে হরতাল জ্বালাও পোড়াও অব্যাহত রইল।
সেই নির্বাচনে বেগম জিয়ার দল পাশ করলেও অসহযোগ আন্দলনের দরুন ত্বাবধায়ক সরকার দিতে বাধ্য হয়ে তিনি রণে ভংঙ্গ দেন। ততদিনে ৯৬ দিন হরতাল দিয়ে হাসিনা আপা বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছেন। এরফলে সিমাহিন যন্ত্রনা সইতে হলো জনগণকে।
এখন আবার সেই পুরানো কাসুন্দি নিয়ে মাঠে নেমেছেন দুই ঝগড়াটে নেত্রী। অলরেডি তিন দিন হরতাল দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
আমজনতার ভাগ্যে কি আছে কে জানে?
যে হাসিনা হিজলা ত্বত্তাবধায়ক সরকার প্রদ্ধতীর জন্য যুদ্ধ ঘোষনা করে ছিলেন আজ তিনিই ক্ষমতা হারাবার ভয়ে ঐ প্রদ্ধতী বাতিল করার জন্য জিহাদ ঘোষনা করেছেন। প্রধাণ মন্ত্রী সরকারী কোষাগার হতে দশ লক্ষরও অধিক টাকা প্রধাণ বিচারপ্রতিকে ঘুস দিয়ে আদালত থেকে আগা-মাথাহীন এক রায় নিয়েছেন। এখন রায়ের অর্ধেক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছেন!
তিনি এই প্রদ্ধতীর অপকারিতা নিয়ে গলাবাজি করে যাচ্ছেন।
আদালত তাকে রংহেডেট বলে রায় দিলেও তিনি ঐ রায়য়ের বিপরিদে কি ব্যাবস্থা নিয়েছেন আমরা তা জানিনা। তিনি নিজেও বোধকরি উদাশিন।
নাহলে এতদিনে চিকিৎষা করিয়ে ফেলতেন। তার বর্তমানে নানা উল্টা-পাল্টা কথা শুনে মনে হচ্ছে তিনি আগের চেয়ে নাজুক অবস্থায় আছেন।
এদিকে বেগম জিয়া তখন ত্বত্তাবধায়ক মেনে নিতে চাননি বলে জনগণকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল ৯৬ দিন হরতাল অবরোধে অবরুদ্ধ হয়ে , নিহত-আহত হয়ে।
এখন তিনিই হিজলা ত্বত্তাবধায়ক প্রদ্ধতি রাখতে চাচ্ছেন!
এসব দেখে ভাবছি দেশে রংহেডেট রাজনীতিবিদ এর সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের মত সুস্থ মানুষরা এই দেশে বষবাষ করতে পারবেতো?? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।