আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতাল: লবনে কাঁঠাল পাকানো হলে মিষ্টি হয় না

লবন দিয়ে কাঁঠাল পাকানোর সহযাত প্রযুক্তির সাথে সাথে আমরা মোটামুটি সবাই কম-বেশি পরিচিত। ছোট বেলায় আমরা অপরিপক্ক কাঁঠাল পাকাতে কাঁঠালের গায়ে ছিদ্র করে লবন ঢুকিয়ে দিতাম। কয়েক দিনে মধ্যে সেই কাঁল পাকতো। তবে খেতে গেলে বিপত্তি চলে আসতো। কাঁঠালে মিষ্টি যেমন কম পাওয়া যেত, লবন ঢুকানোর ছিদ্রের চারদিকে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে পচে যেত।

শুধু কি তাই? ওই কাঁঠালের বীজ থেকে চারা গজানোর হার থাকতো সিকি ভাগেরও অনেক গুণ কম। গ্রামের চঞ্চল প্রকৃতির ছেলেরা সাধারণত লবনে কাঁঠাল পাকাতে অভ্যস্ত ছিলো। তবে বড় হয়ে সেই সব ছেলেরা কি আর এভাবে কাঁঠাল পাকাতো? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হতে পারে না। আর কঠিন করে বলতে হলে এ পদ্ধতির বিচারিক বৈশিষ্ঠ চলে আসতো। বিগত জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলের অসংখ্য অপকর্ম-কুকর্ম থেকে রেহাই পেতে মহাজোট সরকারকে সংসদে যাওয়ার রায় দিয়েছে।

আর এই অভূতপূর্ব সাফল্যে দেশের প্রায় ১ কোটি তরুণ সমাজ ভূমিকা রেখেছে। যারা হয়তো একদিন লবন দিয়ে কাঁঠাল পাকাতো কিংবা তেমনটা নয়। বর্তমান সরকারের ৫ বছরের মেয়াদের কেবল আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি অপরিপক্ক কাঁঠালের মতো সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেয়ার জন্য হরতাল (যারা ডাকে তারা কি মাঠে থাকে? হরতাল ডাকলেই হরতাল পালনের কালচারের সাথে আমরা অনেক আগ থেকে অভ্যস্থ) ডাকাটা যুক্তিপূর্ণ হলেও মনে হয় ৫০ ভাগের বেশি না। অপরিপক্ক কাঁঠালের বীজ থেকে চারা উৎপাদিত হয়ে যেমন ফুলে-ফলে শুশোভিত হবে না, ঠিক তেমনীভাবে বলা যায়, হরতালের এই কলচারের সাথে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পরিচালিত হওয়ার শঙ্কা একশ ভাগের কাছাকাছি, কিংবা ছুঁইছুঁই করবে।

এই সরকার, পুরোপুরি সাফল্য লাভ না করলেও তো ব্যর্থ হয়নি। কিংবা তারা কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বলে কথায় কথায় হরতাল দিয়ে রাখাল বালকের মতো চিৎকার দেয়াটা শতভাগ যুক্তি সঙ্গত নয়। সবার মধ্যে এখন কানাঘুষা, আড়াই বছরে যদি টানা হরতাল আসে, তাহলে বাকী দিনগুলো বিরোধী দল কি করবে। আর দেশের কেমন অবস্থা হবে।

এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে মনে হয়, আলোচনার কোন বিকল্প নেই। আর দুই প্রধান দলকে একত্রে বসাবে কে? তখন প্রসঙ্গ আসতে পারে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কিংবা যারা বাড়ির বুড়ো তাদের একটু দায়িত্ব নিতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.