আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালবাসার স্মৃতিচারন> ধইন্যা ফেসবুককে

আমার বিদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে। দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি ব্রেক আপ হয়েছে প্রায় ২ বছর হতে চলল। (দিন মাস বছর এত হিসাব করিনা) তাকে অনেকটাই ভুলে ছিলাম বেশ ছিলাম। তার এবং আমার বাসা পাশাপাশি হওয়া সত্ত্বেও খোদার দয়ায় আমি তার মুখটি দেখতে পেতাম না। কারন তাকে দেখলেই আমার কষ্ট লাগে।

এই দু-বছরে তাও তার সাথে আমার ৩/৪ বার দেখা হয়েছে। আমি যতটা সম্ভব তাকে না দেখার চেষ্টা করেছি। কারন দেখলেই আমার তাকে নিয়ে সব পুরনো স্মৃতি মনে পরে যায়। আজ কতটুকু লিখব জানিনা তাও কিছুটা শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনাদের সাথে। আজ হঠাৎ দেখি ফেসবুকে আমার হোম পেজে তার একটি অসম্পূর্ন ছবি, ছবিটি যে তার সেটি চিনতে আমার বিন্দু মাত্র সময় লাগেনি! যাই হোক হাসি পেল তখন যখন তার নামের উপরে দেখি লেখা - পিপল ইউ মে নো- হা হা হা ফেসবুক আমার সাথে মজা নেয় আরে তারে কি আমি শুধু এমনি চিনি তার প্রতিটি চিন্তাভাবনা আমি রিড করতে পারি।

- আর তাই এই ঘটনা আজ আমারক এই টপিকে ব্লগ লেখার উৎসাহ যোগাল। কাহিনী কিছুটা সংক্ষেপে বলি, মেয়েটি তার মাকে নিয়ে একদিন আমার বাসায় এসেছিল মোবাইল সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে,তাই একটু হেল্প করে দিতে চাইলাম আর মনে মনে ভাবলাম মেয়েটা তো দেখতে অনেক সুন্দর তবে অহংকারি হতে পারে যার কারনে আমি এর আগে কোনদিন তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করিনি, আজ যেহেতু সে ব্মার দরজায় তাই ভাবলাম চান্সে চান্সে তার মোবাইল নাম্বারটা নিয়ে নেই। ব্যস চেয়ে বসলাম তার নাম্বারটা, বললাম আপনার মোবাইলের সফটওয়ার টা পেলেই আমি আপনাকে কলদিব, সে প্রথমে একটু ইনয় বিনয় করতেছিল কিন্তু পরে কি ভেবে যেন সত্যিই আমাকে তার নাম্বারটা দিয়ে দিল। আমি তো ঈদের চাদ হাতে পেলাম। দুদিন এসএমএস করলাম রিপ্লাই ও আসল ব্যস জমে উঠল এসএমএস আড্ডা।

এরই মাঝে আমরা এতই কাছে চলে আসলাম যে তা ভাবার না। কিছুদিন পর আমাদের এমন অবস্থা হলো যে এসএমএস ছাড়া আমরা রাতে ঘুমাতে পারতাম না। আমি চাইলাম রাতে তার সাথে কথা বলতে কিন্তু সে খুব কনজারভেটিভ ফ্যামিলির বলে বেশি চাপ দিতাম না। প্রথমে ১মিনিট তারপর তেটা ৩০ মিনিটে গিয়ে পৌছল। আর এ সবকিছু হয়েছে মাত্র ১০-১২ দিনের মধ্যে।

তারপর আমি চাইলাম তার সাথে দেখা করতে সে রাজি হল,যদিও আমাদের প্রতিদিনই বাসায় কিঙবা এর আশেপাশে দেখা হতো। সে বিকেলে হাটতে নামলেই কিংবা টিউশন পরাতে গেলেই আমাকে এনএমএস করত ব্যস আমি হাজির। এভাবে ৩/৪ দিন পর আমার বন্ধুর বোনের বিয়ে উপলক্ষে আমি গেলাম পুরনো ঢাকায়, তবে এসএমএস কিন্ত বন্ধ হয়নি। (ধন্যবাদ গ্রামীন কে যে তখন একটা জোস এসএমএস অফার ছিলো নয়তো প্রতিদিন আমার মিনিমাম ২০-১০০ টাকা শুধু এতেই খরচ হত)। সারারাত বিয়ে বাড়িতে মজা করে না ঘুমিয়ে ছিলাম কারন সে আমাকে বলেছিল সকালে আমার সাথে দেখা করবে ব্যস নো ঘুম কারন ঘুমলো ইম ঠিক সকালে তার সাথে হয়তো দেখা করতে পারব না অনেক কষ্ট করে জেগে রইলাম সেই মুহুর্তটার জন্য।

সময়টা ঘনিয় আসছিল ঠিক তখনই আমি না জানি কি মনে করে ওকে এসএমএস করে বসলাম যে “না আসলে হয়না? আমি খুব টায়ার্ড”-যদিও আমি ইতিমধ্যে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছিলাম.গন্তব্যের কাছাকাছি আসা মাত্রই আমি োকে কল দিলাম কিন্তুু সে ধরল না ভাবলাম হয়তো ক্লাসে, কিছুক্ষন অপেক্ষা করে আবার দিলাম দিতেই লাগলাম, প্রায় ৩০ মিনিট/১ ঘন্টা সে আমার ফোন ধরল না অবশেষে সে ফোনটি দরল আর বলল সে বাসার কাছে চলে গিয়েছে আমার উপর অভিমান করে! বলুনতো কি করা ব্যস আমারও মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। ফোন বন্ধ করে দিয়ে হাটতে লাগলাম অজানা উদ্দেশ্যে। বিকেলে ফোন অন করেই দেখি উনার মেসেজ তাতে লেখা “ আপনি কেন বললেন আসবেন না কেন সারারাত জাগলেন তাই আমি রাগ করে বই ও কিনিনি আর আপনার ফোন ও ধরিনি! ” এটা কোন কথা? আমি রিপ্লাই দিলাম না সে এতে আরও রেগে গিয়ে শেষমেশ নিজেই সরি বলল তবে আমারও োয দোষ ছিল সেটিও আমাকে মনে করিয়ে দিল। এভাবে প্রেম চলতে লাগল, আমাদের দেখা হতো মুলত বাসার সামনে আর বাসে। এক ধরনের বাস ডেটিং, ও অন্য কোথাও যেতে চাইত না কারন যদি কেউ দেখে ফেলে এই ভয়ে আর আমি ভাবতাম ও আমার সাথে থাকলেই হবে জায়গা কোন ব্যাপার না! আমি প্রতিদিন ওর ক্লাস শেষ হওয়ার সময় ছুটে আসতাম ওর সাথে একত্রে বাসে যাব বলে আর এতে যদি আমার কোন ক্লাস কিংবা পরীক্ষা মিস যায় যাক।

সপ্তাহের দু দিন ছাড়া বাকি ৫দিন আমরা একসাথে আসতাম! আপনারা কি অধৈর্য্য হয়ে গেলেন নাকি হয়কো বোরিং লাগাও শুরু হয়ে গেছে ঠিক আছে আপনাদের আরও জানতে ইচ্ছে হলে বাকিটা না হয় অন্য একদিন বলব…   ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.