আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি শাহাবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে অনেকেই এই আন্দোলনকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আসুন দেখি তারা কি ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিল আন্দোলনকারীদের দিকেঃ-
১) আন্দোলনকারীরা সব গাঁজাখোর।
২) নারী আন্দোলনকারীদের নামে কুৎসা।
৩) আন্দোলন সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হচ্ছে।
৪) আন্দোলনকারীরা টাকা এবং খাবারের লোভে আন্দোলন করছে।
৫) যারা গণজাগরণের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা নাস্তিক, যারা এই আন্দোলন সমর্থন করে তারাও নাস্তিক।
৬)শাহাবাগের মঞ্চ থেকে নাকি ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।
৭) আওয়ামীলীগের রাজাকারের বিচার কেন চাওয়া হয় না?
৮)কেন রাস্তা-ঘাট বন্ধ কইরা আন্দোলন?
৯) এই আন্দোলন ভারতীয় গোয়েন্দা দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন।
১০) অন্য জাতীয় ইস্যু গুলো তোলা হচ্ছে না কেন? ইত্যাদি
তারা এত সব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা লক্ষ্যেই আর তা হল আন্দোলন বানচাল। কিন্তু এতসব অপপ্রচার চালিয়ে তারা আন্দোলনকারীদের মনোবল ভাঙতে।
কিন্তু তারা এই অপপ্রচার করে সফল হয় নাই কারন প্রতিটা আন্দোলনকারীই জানে তারা কেন আন্দোলন করছে?
তাদের এই ব্যাপারে স্পষ্ট ধারনা আছে যে তারা সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বচ্চো শাস্তি এবং যুদ্ধাপরাধীর সংঘটন জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধ করার দাবিতে। যারা চায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এই অমীমাংসিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটুক তারাই এই আন্দোলনের জাগ্রত সৈনিক। হাজার অপপ্রচার আর ভয় ভীতিও এই সৈনিকদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
আজকে যখন দেখি হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংঘটন প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশকে প্রতিহত করতে চায় আবার সেখানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকে। যখন দেখি তারা বলে শাহাবাগের আন্দোলনকারীরা ধর্মবিদ্বেষী তখন তাদের কাছ থেকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা করে।
আর তা হলঃ-
১) যাদের নামে আপনারা অভিযোগ তোলেন সেই অভিযোগের বিপরীতে কি আপনাদের কাছে কোন প্রমান আছে? রাজিবের বেলায় নুরানি চাপার বিচরন পুরো ফেসবুক জুড়ে দেখলাম। কিন্তু এখন অভিযুক্ত লেখার কোন প্রমান দেখাচ্ছেন না কেন? নাকি তাদের মৃত্যুর পরই তাদের লেখা পাওয়া যাবে?
২) ধরলাম আপনাদের কাছে তাদের লেখার স্পষ্ট প্রমান আছে তাহলে তা আদালতে পেশ করলেন না কেন যখন রুল জারি হলো।
৩) ধরলাম তখন প্রমান ছিলো না কিন্তু এখন যদি থাকে তবে তাদের নামে মামলা করছেন না কেন? আর যদি কোন প্রমান ছাড়াই শুধু শোনা কথায় লাফান তবে আর কিছু বলার নাই।
জামায়াতের ব্লগারদের নিয়ে যে অপপ্রচার চালিয়ে আলেম ওলামাদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল তা আজকে বাংলাদেশের প্রায় সব ওলামায়েকেরামগন বুঝতে পেরেছে। তাই আপাতদৃষ্টিতে হেফাজতে ইসলাম নামধারী যে সংগঠন তাকে জামায়াতেরই একটি আলাদা ব্যানার ছাড়া কিছু মনে হচ্ছে না।
তারপরও এর মধ্যে কেউ যদি জামায়েত ইসলামী না হয়ে থাকেন তবে আশা করবো সত্য জেনে তারপর গণজাগরনের বিরোধিতা করবেন।
জয় বাংলা
জয় জনতা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।