তেনারা হলো গিয়ে- সরকারী কর্মকর্তাগন। উনাদের হাস্যকর কথাও ধরিয়ে দেয়া এবং সে সম্পর্কে বলা আমার অধিকার। যেমন অধিকার আপনার। কথায়ই তো আছে একটি মূলমন্ত্র তেনারা- জনগণের সেবক। এই শ্রেণীর জনসেবকগন যদি একই তালে না চলে।
আর যদি থাকে রাজনীতিবিদদের উৎসাহ! তাহার কি অবস্থা হতে পারে, তার যথেষ্ট উদাহরণ দেয়া যাবে। হতে পারে তা ভুরি ভুরি! হালের জমি দখল, প্লট দখল, সমুদ্রতীরও দখল এর সাথে যোগ হয়েছে নদির জায়গা ভরাট করে প্লট বানিজ্যের জন্য দখল।
টিভি রিপোর্টে দেখছিলাম কয়েকদিন যাবত বেশ কিছু চ্যানেলে। এর মধ্যে ভাবনার বিষয় সবগুলোই। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে এটিএন নিউজ চ্যানেল এর মুন্নি সাহার “হালদা নদী দখল করে আবাসন প্রকল্প” রিপোর্টটি! যে রিপোর্টটির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর কথা বলিয়াছেন সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা ( চট্রগ্রাম রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ চেয়ারম্যন) ! যা আমার কাছে অবাক লেগেছে।
লোকটির সাহস আছে বলতে গেলে। উনি বলেছেন- আমিও একজন রাজনৈতিক কর্মী! কেন বলিয়াছিলেন তা উনি নিজেই ভালো বলিতে পারিবেন। হতে পারে তা উনার দাম্ভিকতা! তাতে আমার সেই এটর্নি জেনারেলের উক্তিখানিই ভাসিয়া উঠিয়াছিল মনের কোনে- নোবেল তো পাওয়া উচিত ছিল শেখ হাসিনার। কেন ইউনুস পেলেন!
দোষ কিন্তু করলো সরকারী কর্মকর্তা নাম পড়লো সরকারের!
সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করছিলেন- কেন দখল ঠেকানো যায় না? প্রায় সব জায়গায়ই দেখলাম বলছেন আমাদের সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা গন (থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)- “দখল এবং অবৈধ কাজগুলা করে রাতে। আমাদের কি করার আছে?”!
মিঃ বিনও মনে হয় এমন হাসির কথা শুনায় নি।
যা শুনলাম সত্যিই ফাইন! উনারা মানে মহামান্য চোর, ডাকাতগন রাতে কাজ সারে। সে মহামান্য বেকুব জনগোষ্ঠীর সেবক গনের কথা শুনিয়া যারপরনাই আরও বেআক্কেল হয়ে গিয়েছিলাম। তেনারা এত কথা বুঝেন এত বুদ্ধি রাখেন। এই কথাটি বুঝিতে তাহাদের একটি ট্রেনিং অথবা সেমিনার করার মনে হয় দরকার ছিল। আর তা হচ্ছে- অবৈধরা তো গোপনেই কাজ সারবে! ভাই অপরাধী তো সুযোগ বুঝিয়াই কাজ সারিবে।
আর তা অবশ্যই হবে রাতে!
সরকারী লোকজনের এই সহজ কথাটি বুঝিয়াও না বুঝার ভান আর সাথে সাথে সে ভুমিচোরদের রক্ষা করিতে সাফাই গাওয়া দেখিয়া মনেই হল- দূর! তেনারা সব রসুনের কোয়া একই। জনগণের সেবক-টেবক ফালতু কথা। তবে এ আশার কথা যে সাংবাদিকগন খূটে খুটে বের করেন এই সব অনাচার তাই আমরা জানতে পারি এবং সাথে সাথে সচেতন হই। আর সরকারই বা কি করছে। এই সরকার সব পারে, এই রাতের চোর-ডাকাত-গুলারে ধরতে পারবে না? ভুমি চোর এবং ভুমি ডাকাত এবং ভুমি দখলদার! এ কি বিশ্বাস করিতে মন চায়? অবশ্যই ভালো লাগে না।
দখল হয়ে যায় সবকিছু আর তেনারা বলিতে থাকেন- কি করার আছে আমাদের!
এর সমাধান তো সহজ- রাতে অভিযান চালানো। তাই নয় কি? তাহলে এই খোরা যুক্তি দিয়ে সময়ক্ষেপণ এবং দোষ কে পাশ কাটিয়ে সেই সব অবৈধ লোকজনকেই তো সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
এই সব ভুমিদস্যুদের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তি কতটা ছিল আর কতটা দূর করা যায়। তা যদি কেউ সরেজমিনে দেখিতে চান। দয়া করিয়া বিজয় সরণী হতে তেজগাঁও লিংক ফ্লাইওভার দিয়ে একটু ঘুরিয়া আসিলে দেখিতে পাইবেন।
কতটা তারা দখল করিয়া আমাদের কষ্ট দিতো। আর সরকারের কতটা সঠিক কার্যাদির ফলে এই জনগণই তার সুফল ভোগ করে। অবশ্য পদ্মা সেতু তীরবর্তি সেই সব নতুন ঘর উঠানোর মতন অতি চালাক জনগনও আছে বৈ কি! যারা নাকি ভুমি অধিগ্রহন এর টাকা সরকারের কাছ থেকে নেয়ার জন্য নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে ঘড় বানিয়ে টাকা আদায়ের ব্যাবসা ফেদে বসেছে! ভাগ্যিস তারা অতি অল্পসংখ্যক।
সিলেট, চট্রগ্রাম এর পাহার কেটে সব বিনাশ এবং দখল করে প্রকৃতি এবং মানূষের ক্ষতি করছে যে লোকগুলো। সেই সব লোকজনের জন্য সরকারের তরফ থেকে রাতে কি কোনই ব্যাবস্থা নেই! যে অবৈধ কাজ বন্ধের জন্য রাখা হয়েছে সরকারী কর্মকর্তাদের।
সে কাজগুলো যদি দুষ্কৃতিকারীরা রাতে করে। তাহলে কি রাতেই অভিযান চালানো উচিত না? অবশ্যই উচিত।
এই সহজ কথাটি যারা বুঝেও না বুঝার ভান করেন। সেই সব সরকারী কর্মকর্তা গন এবং সংশ্লিষ্ট লোকজনকে বোঝানোর জন্য কি করা উচিত?
রাগে-দুঃখে এবং হতাশায় আমি আবারও বেকুব বনে যাই!
হায়, বেকুবগন চালাকগনকে বোঝাতে পারবে কোণ জামানায়!?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।