বাংলার জনগন গত বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর অভিমান করে একদিনের ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিলেন এ সাবেক অধিনায়ক। হঠাত্ কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই তাঁর কাছ থেকে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ‘যে বোর্ড সিনিয়র ক্রিকেটারদের কোনো রকম সম্মান দেখায় না, তাদের সঙ্গে কাজ করা যায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি।
জিও নিউজ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কারণ, এই বোর্ডের অধীনে খেলে যাওয়ার মতো মানসিক অবস্থা আমার নেই। ’
গত বছর স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি, দলের বাজে পারফরম্যান্স ইত্যাদি অতিক্রম করে পাকিস্তানের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আফ্রিদি। এরপর এ বছর বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগে অধিনায়ক নির্বাচনে আবার দীর্ঘসময় ধরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগার পর শেষ পর্যন্ত আফ্রিদির হাতেই নেতৃত্বের ভার তুলে দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়ক হিসেবে একেবারেই খারাপ পারফরম্যান্স দেখাননি আফ্রিদি। দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত।
এত কিছুর পরও অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়াটা একেবারেই মানতে পারছেন না বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভয়াবহ দুর্যোগপূর্ণ একটা মুহূর্তে পাকিস্তানের অধিনায়কত্বের ভার গ্রহণ করেছিলাম। দলটাকে আবার নতুন করে সাজিয়েছিলাম। দলকে নিয়ে গিয়েছিলাম বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত। আর বিনিময়ে তারা আমাকে বহিষ্কার করে পুরস্কৃত করল।
এ বহিষ্কারের বিষয়টি কেউ আমাকে বলেওনি। এমনকি কেউ আমার সঙ্গে কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করেনি। আমি এ ধরনের লোকের সঙ্গে কাজ করতে পারব না। আমার কাছে আত্মসম্মানবোধের মূল্য অনেক। আর এই ক্রিকেট বোর্ড আমার প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান দেখায়নি।
’ রয়টার্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।