নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেককেও।
বুধবার লন্ডনের গুমান হোটেলে এ ইফতারের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
ইফতারে অংশ নেয়ার জন্য অতিথিদের কার্ড এবং তাতে টেবিল নম্বর দেয়া থাকলেও ভিতরে ঢোকারই সুযোগ পাননি অনেকে।
ভেতরের হলরুমে অনুষ্ঠান শুরুর পরও প্রায় ৫০ জন আমন্ত্রিতকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের সবার হাতেই দাওয়াতপত্র ছিল।
তারপরও ‘ভেতরে আর জায়গা নেই’ জানিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেয় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতরা।
ইফতারে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে কিছু না খেয়েই রোজা শেষ করেন মাহী এ চৌধুরী, যিনি আসেন সাউথ শিলড থেকে। আরো ছিলেন শহীদ মল্লিক, মারজানুল হক, আলাউর রহমান মোমেনসহ অনেকে।
এ সময় অনেকে ভিতরে আয়োজকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তাতে ফল আসেনি।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা বাইরে এলে তাদের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান নিউক্যাসল, গ্লাসগো ও সান্ডারল্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা।
এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যদি কার্ড ছাড়াই ভেতরে মানুষজন ঢুকতে পারে তাহলে কার্ড দিয়ে দাওয়াত দেয়ার দরকার কি ছিলো?”
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুস বলেন, “উনারা সময়মতো আসেননি। তাই তাদের জন্য আমাদের করার কিছুই নেই। ”
অনুষ্ঠানে তারেক রহমানকেও বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। নেতাকর্মীদের হট্টগোলের কারণে বেশ কয়েকবার বক্তব্য থামান তিনি।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক টেবিলে টেবিলে গিয়ে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করার জন্য মঞ্চ থেকে নামতেই শুরু হয় নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়ি।
তখন মঞ্চে ফিরে গিয়ে সবাইকে শান্ত হয়ে বসার অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগেও যুক্তরাজ্য বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিতিতেও এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন ওঠেন, “এখানে কি কোনো ভদ্রলোক নেই?”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।