বর্তমান বিশ্বের প্রাচীনতম বৃক্ষ হিসেবে, সিয়েরা নেভাদার পূর্বে গ্রেট বেসিন অঞ্চলে অবস্থিত ব্রিসলকেনি পাইন
গাছকেই গণ্য করা হয়। ব্রিসলকেনি পাইনের বয়স পাঁচ হাজার বছর। আর সেকুইয়া জাতীয় অভয়ারণ্যের রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহীরুহ। এই মহীরুহের জুড়ি নেই অন্য কোথাও। পার্কের নাম গাছের নামে সেকুইয়া জাতীয় অভয়ারণ্য।
পার্কের নাম একজন আমেরিকান ইন্ডিয়ান পণ্ডিত ও নেতার নাম থেকে। তার অপর নাম দোস গেস।
জন্ম ১৭৭০, মৃত্যু ১৮৪৩। ‘রেড উড’ এ বৃক্ষজাতির মধ্যে বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে আছে পনেরোটি প্রজাতি। এর মধ্যে সেকুইয়া হল সর্ববৃহৎ মাপের।
পৃথিবীর উচ্চতম বৃক্ষ হল এরই জাতভাই কোস্টাল রেড উড। এ পার্কের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ যে বিশাল মহীরুহটি, তার নাম জেনারেল শেরম্যান। এর উচ্চতা ২৭৪, ৯ ফুট। জমির কাছে পরিধি ১০২, ৬ ফুট। ১৩০ ফুট ওপরে এর প্রথম শাখা।
আয়তন ৫২, ৫০০ ঘনফুট। অর্থাৎ এ গাছের উচ্চতা প্রায় সাতাশ তলা বাড়ির মতো উঁচু। শেরম্যান নামক মহীরুহটি যে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৃক্ষ তাই নয়, প্রাচীনতমও বটে। এর বয়স ছিল পাঁচ থেকে ছয় হাজার বছর। তাই দ্রুত এর খ্যাতি বিস্তৃত হয়।
বর্তমানে বিশ্বের প্রাচীনতম বৃক্ষ হিসেবে এই গাছকেই গণ্য করা হয়। এর বয়স প্রায় পাঁচ হাজার বছর। এদিকে সিয়েরা নেভাদার অরণ্যে রয়েছে আরো এক বিস্ময়। গোপনীয় এক উপত্যকা। আশ্চর্য এক উপত্যকা।
এখানেও রয়েছে বড় বড় বৃক্ষ। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহর থেকে দু’শ মাইল পূর্বে সিয়েরা নেভাদার বুকের মধ্যে এ অপরূপ বনভূমি। যাকে উদ্দেশ্য করে প্রখ্যাত প্রকৃতিবিদ জন ময়ূর বলেছিলেন, আমার দেখা প্রকৃতির সব অরণ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এ স্থান। ইসুসেসেটি উপত্যকায় এটি। এখানে যাওয়ার পথ ভারি মনোরম।
মারুসেড নদীর ধার দিয়ে এসেছে একটি সড়ক। আরেকটি এসে পাহাড়ের কোল বেয়ে। ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি ইউরোপীয় নদের কাছে অজানা ছিল এ উপত্যকা। কিন্তু রেড ইন্ডিয়ানরা এ উপত্যকায় এসেছে তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। ১৮৪৯ সালে দুই ভালুক শিকারি শ্বেতাঙ্গদের চোখে পড়ে এই অভয়ারণ্য।
এরপর আসতে থাকে খনি শ্রমিকদের দল। তারপর ছোট দোকানদার আর ব্যবসায়ী। সিয়েরা নেভাদাকে পাহাড়ও বলা হয়। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পূর্ব সীমান্ত বরাবর উত্তর দক্ষিণে আড়াইশ মাইল বিস্তৃত এ পাহাড় অরণ্য চওড়ায় পঞ্চাশ মাইলের মতো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।