সম্প্রতি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
২০১১ সালে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলার কৃষকরা ফসলহারা হন। ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
ক্ষতিপূরণের চেক কৃষকদের হাতে এসে পৌঁছলে তারা দেখতে পান, কেউ পেয়েছেন ছয় রুপি, কেউবা দুই রুপি। কেউবা এর মাঝামাঝি কোনো সংখ্যা।
এটি কেমন ক্ষতিপূরণ হলো তাই নিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়েন তারা।
কাছের শহরে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতেই এর চেয়ে বেশি খরচ পড়ে। আবার কোনো কোনো কৃষকের ব্যাংক একাউন্টই নেই। ব্যাংক হিসাব খুলতেই এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ প্রয়োজন।
তাই সরকার পক্ষ থেকে দেয়া এই ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকরা।
রাজ্যের বিরোধী দল এই ক্ষতিপূরণকে কৃষকদের সঙ্গে করা “নিদারুণ মস্কারা” বলে অভিহিত করেছে।
কিন্তু নিজ সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেই বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার। ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বলেও দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দার সিং হুডা জানিয়েছেন, একর প্রতি ৩ হাজার ৫শ’ রূপি ক্ষতিপূরণের অর্থ নির্ধারণ করে মোট ১ কোটি ১৪ লাখ রুপি বিতরণ করা হয়েছে। এতে যার যেমন পাওয়ার কথা তাই পেয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।