William Blake
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কক্ষে মুখোমুখি বসে আছেন। ওবামাকে দেখে শেখ হাসিনা কোন রকম সম্ভাষন না জানিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বসে থাকলেন। তা দেখে ওবামা রীতিমত বিরক্ত হয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। অনেক্ষণ চুপ থাকার পরও হাসিনার কোন ভাবান্তর না দেখে ওবামা আর চুপ থাকতে পারলেন না। এবার নিজেই প্রথম নিরবতা ভেঙ্গে বলে উঠলেন- ইয়ে.... আমি বারাক ওবামা।
মহা পরাক্রমশালী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। হাসিনা এবার মুখে একটু বাঁকা হাসি হেঁসে ব্যাঙ্গ করে বললেন "আমি কার খালুরে..." তাতে কি হয়েছে, আমিও বাংলাদেশের মহাপরাক্রমশালী প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার এমন ঔদ্ধত্তে ওবামা নিজের মেজাজ আর কন্ট্রোলে রাখতে পারলেন না। তিনি হাসিনাকে বললেন আপনার কি এমন আছে যার কারণে আপনি এমন অহংকার করছেন?
হাসিনা: আমি বাংলাদেশের দুই বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
ওবামা: তাতে কি আমিও আমেরিকার মত দেশের দুইবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
হাসিনা: আমি দিন বদলের সনদ দেখিয়ে ওয়ান থার্ড মেজরিটি নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছি।
ওবামা: বাট মিসেস হাসিনা, আপনার আগেই আমি দিন বদলের শ্লোগান দিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করেছি।
হাসিনা: আমি ১০টাকা কেজি চাল আর ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার মূলা ঝুলিয়ে জনগণের একটা বিশাল
অংশকে বোকা বানিয়ে ভোট আদায় করেছি।
ওবামা: আমিতো নির্বাচনের আগেই প্রতিশ্রুতি আর বাকপটুতায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নাকানি চুবানি খাইয়ে
জনগনের মন জিতে নিয়েছি।
হাসিনা: আমি বিরোধী পক্ষকে কোন রকম মিছিল মিটিং করতে দেই নাই।
উপরন্তু তাদের বিরুদ্ধে মামলা
হামলা, গুম, খুন করে দমিয়ে রেখেছি।
ওবামা: আমি সারা বিশ্বে আমার বিরোধী পক্ষকে কঠোর হস্তে দমন করেছি। ইভেন লাদেনের মত
সন্ত্রাসীকেও খুন করে বুঝিয়ে দিয়েছি আমার ক্ষমতা।
হাসিনা: আমার সেনাবাহীনী, র্যাব, পুলিশ এবং বিজিবি আছে।
ওবামা: আমার এফবিআই ই যথেষ্ট।
হাসিনা: আমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন মহিলা।
ওবামা: আমারও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন মহিলা ছিল।
হাসিনা: আমার কিছু চাটুকার বুদ্ধিজীবি আছে।
ওবামা: আমার সারা বিশ্বেই অনেক চাটুকার মোড়ল আছে।
হাসিনা: আমার হাতে আছে আমার অন্ধ ভক্ত কিছু হলুদ মিডিয়া।
ওবামা: সারা বিশ্বের যাবতীয় হলুদ মিডিয়া ই আমার তাবেদারী করে।
(হাসিনা কোন ভাবেই ওবামাকে পরাস্ত করতে না পেরে ত্যাক্ত বিরক্ত। একটুখানি দম নিয়ে
কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর হঠাৎ একটু মুচকি হেসে ওবামার দিকে তাকালেন। তারপর আবার
পূর্ণউদ্দমে শুরু করলেন।
)
হাসিনা: আমি শেয়ার বাজার লটু, পদ্মাসেতু, হলমার্ক, ডেস্টিনির দূর্নীতি, বিশ্বজিৎ খুনসহ যাবতীয় অপকর্ম
ঢাকতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আড়ালে আওয়ামী রক্ষা মঞ্চ করে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে
ঘুরিয়ে দিয়েছি।
ওবামা: (কিছুটা আমতা আমতা করে....) না ইয়ে... মানে...আমিও দৃষ্টি ঘুরিয়েছি.... তবে.....
হাসিনা: (মোক্ষম সময়ে অস্ত্র কাজে লেগেছে দেখে এবার চরম আঘাত হানলেন) আমার মহিউদ্দিন খান
আলমগীর নামক একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। যিনি ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’ থেকে
মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন।
ওবামা এবার অনেকক্ষণ চুপ করে মাথা নিচু করে রইলেন। বলার মত কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
নিজ প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রম্নীকে নির্বাচনে অনায়াসে হারালেও বাংলাদেশের মত একটা দেশের রমণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মুহুর্তেই পরাস্ত হয়ে কোন রকম বাম হাতের ছোট আঙ্গুল তুলে ওয়াশ রুমে যাওয়ার নাম করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলেন।
জয় বাংলা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।