যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।
আপনি কি বিবাহিত?ছেলে সন্তানের বাবা? কিংবা আপনি কি বিয়ে করিতে যাইতেছেন?( বিয়ে করিতে গেলেও তো কোন এক সময় সন্তান হইবে তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা ভালো আর কি) যদি তাই হন ,তাহলে অবশ্যই এই হাই ভোল্টেজ পোস্টটি পড়ুন।
এমনকি যাদের ঘরে পিচ্চি পাচ্চা,গুড়া গাড়া ভাই টাই আছে ,যারা বদের বদ, পুংটার পুংটা,তারাও এই জন সচেতন মুলক পোস্টটি পড়িয়া লাভবান হইবেন বলিয়া আশা রাখি।
শিশুরা যেকোনো জিনিস লইয়াই খেলিতে ভালোবাসে।
বই ,খাতা , পেন্সিল, কলম ,রাবার ,টুথব্রাশ , জুতা ,স্যান্ডেল যা পায় ,তাহাতেই তাহাদের হয়। শিশুরা কিন্তু কৌতূহল প্রিয়ও বটে। এমন এক চরম কৌতূহলী শিশু,যে কিনা কোন একজনের হাতের আংটি এর প্রতি কোন এক অজ্ঞাত কারনে চরমভাবে আকৃষ্ট হইয়াছিল ,বিশাল একটা ঘটনা ঘটাইয়া ফেলিয়াছে। সেই কাহিনীই আপনাদের বলিব এখন।
বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা মেডিকেলের ইমারজেন্সিতে এক ৪-৫ বছরের শিশুকে ভর্তি করা হয়।
সে নাকি বাসায় বসিয়া খেলাধুলা করিতেছিল। আল্লাহ মালুম কে সেই আবুল ব্যক্তি যে তাকে একখানা আংটি দিয়েছিল খেলা করিবার জন্যে, যাই হোক ,পুংটা শিশু কৌতূহল বশবর্তী রিংখানাকে নিজের গোপনাঙ্গে পরাইয়া ফেলিলেন। পরানো মাত্রই তাহার সমস্ত কৌতূহল চোখের পলকে উবিয়া গেলো। এইবার তিনি রিং খানা খুলিবার জন্যে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করিয়া টান দিলেন। কিন্তু হায়, রিং খানা কিভাবে জানি চাপা খাইয়া আটকা পরিয়া গেলো তার ওই অঙ্গে।
বেচারা হাতে না পারিয়া তারস্বরে দিলেন একখানা চিৎকার , তাহার সর্বশেষ অস্ত্র। তাহার বিকট চিৎকারে ছুটিয়া আসিয়া বাবা মা দেখিলেন তাহাদের গুনধর পুত্রের কাণ্ড। তাহারাও তড়িঘড়ি করিয়া অনেক নর্তন কুর্দনের মাধ্যমে আংটি খানা খুলিয়া ফেলিতে চাইলেন। কিন্তু টানাটানি আর ব্যাথার চোটে আংটির সামনের অংশ ক্রমে ফুলিয়া কলাগাছের মতো হইয়া গেলো। দিক্বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া পিতা ও মাতা তাহাকে অতিসত্বর মেডিকেলে লইয়া আসিলেন।
মেডিকেলে আসা মাত্রই তাহার গলা দিয়া যে জানান দিল ,যে সে আসিয়াছে এবং অবস্থা ভয়ংকর। ডাক্তাররা দৌড়াইয়া আসিলেন এবং চোখ ছানাবড়া করিয়া তাকাইয়া রহিলেন। এমন কেস তাহারা এর আগে কখনোই পান নাই। অনেক চেষ্টা করা হইলো মেডিকেলে বসিয়াও , কিন্তু সেই আংটি কি সহজে খোলা যায়? তাহা যে একেবারে গ্যাঁট হইয়া বসিয়া গিয়াছে। ওদিকে আংটির সাম্নের অংশ ক্রমেই ফুলিতেছে বৈ কমিতেছে না।
ফোরসেপ দিয়া, অনেক পিচ্ছিল তরল ব্যবহার করিয়াও কোন লাভ হইলো না।
ডাক্তার কিছুক্ষন মাথায় হাত দিয়া বসিয়া রহিলেন। এতটুকু বালকের তো অঙ্গহানি তিনি করিতে পারেন না। অনেক সাত পাঁচ ভাবিয়া তিনি অবশেষে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কে খবর দিলেন। খবর পাওয়া মাত্র সে তাহার বাক্স প্যাটরা লইয়া হাজির হইলো।
অবশেষে, অতি সন্তর্পণে ইলেকট্রিক হ্যাক স এর সাহায্যে আংটিখানাকে তাহার নবীন মালিকের হাত থেকে , থুক্কু , ইয়ে থেকে আলাদা করা গেলো। ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নিজেই এই উদ্ভট অপারেশন নিজ হাতে করিবার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করিলেন। আংটির করাল গ্রাস থেকে মুক্তি লাভ করিয়া ৫ -৭ ঘণ্টার মাঝেই বালক আবার দাপিয়া বেড়াইতে লাগিল।
তাই আপনাদের প্রতি আকুল আবেদন ,আপনাদের বাড়িতে , কিংবা রাস্তা ঘাটে, কিংবা কোন খানে শিশুদের এইসব আংটি,কয়েন,চাবি,এসব জিনিসপত্র দিয়ে খেলা করিতে দিবেন না। শিশুরা চরম পুংটা হয়,এদের বিশ্বাস করিয়া লাভ নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।