ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস
বিশ্বকাপের ভেন্যু গুলো প্রতিবারের মতো এবারও নয়নাভিরাম। মোট ১০ টি ভেন্যুতে এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে। আসুন দেখি ভেন্যুগুলো
১. গ্রীন পয়েন্ট স্টেডিয়াম - কেপটাউন। ৭০০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মনোরোম সুন্দর স্টেডিয়াম। ৬ জুলাই সেমিফাইনাল এই স্টেডিয়াম এ সংঘটিত হবে।
উদ্বোধনী দিনের উরুগুয়ে-ফ্রান্স এর মধ্যকার খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হয়।
২. মোজেস মাভিদা স্টেডিয়াম, ডারবান । ৭ জুলাই সেমি ফাইনাল এই স্টেডিয়ামেই সংঘটিত হবে। এই স্টেডিয়ামের উপরের ডিজাইন টা সুন্দর লাগছে। এটার ধারণ ক্ষমতা্ আপাতত ৭০০০০।
তবে অলিম্পিক এর মতো বড় আসর কে মাথায় রেখে এটাকে ৮৪০০০ এ উন্নীত করার ইচ্ছা আছে কতৃপক্ষের।
৩. নেলসন ম্যাণ্ডেলা স্টেডিয়াম, পোর্ট এলিজাবেথ । ধারণ ক্ষমতা ৪৪০০০ জন । ৪০০০ অতিরিক্ত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ব্শ্বিকাপকে মাথায় রেখে। ২ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনাল, এবং ১০ জুলাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
৪. মবমবেলা স্টেডিয়াম, নেলস্প্রুট। বিশ্বকাপের প্রথম ্ও দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ গুলোর কয়েকটি এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বুধবার হন্ডুরাস আর চিলির খেলাটি এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধারণক্ষমতা ৪০০০০ জন। দর্শক গ্যালারিটা অনেক সুন্দর।
৫. এলিস পার্ক স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ। ধারণক্ষমতা ৭০০০০। ব্রাজিল-কোরিয়া, এবং আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার খেলাটি এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাউন্ড অফ ১৬ এর ২৮ জুনের খেলা এবং কোয়ার্টার ফাইনালের ৩ জুলাইয়ের খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হবে। স্পেন-হন্ডুরাস এর পরবর্তী খেলাটি এই স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
৬. সকার সিটি স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ। .. ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের সাক্ষী হয়ে ইতিহাসের পাতায় চিরতরে পৌছে যাচ্ছে এই স্টেডিয়াম !!!!
৯৪৭০০, তারমানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সকার সিটি স্টেডিয়াম। সাউথ আফ্রিকার ফুটবল ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূণ খেলার সাক্ষী এই ব্লেসফুল স্টেডিয়াম। সাউথ আফ্রিকা-মেক্সিকোর উদ্বোধনী খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল আর্জেন্টিনা-দঃ কোরিয়ার গতকালের খেলাটি এই স্টেডিয়ামে অনুষ্টিত হয়েছে।
নেক্সট ২০ তারিখ ব্রাজিল- আইভরি কোস্ট এবং ২৩ তারিখ জার্মানি-ঘানার খেলাটি্ও এখানে সংঘটিত হবে। এছাড়া ২ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ্ও এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
৭. লফটাস-ভারসফেল্ড স্টেডিয়াম, প্রিটোরিয়া। সানডাউন ফুটবল ক্লাবের হোমগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত এটি। দঃ আফ্রিকার প্রিমিয়ার ফুটবলগুলো এখানেই খেলা হয় বেশির ভাগ।
২৫শে জুন চিলি বনাম স্পেন এর খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
৮. ফ্রি-স্টেট স্টেডিয়াম, ব্লোয়েমফন্টেইন। জাপান-ক্যামেরুন এবং গ্রিস-নাইজেরিয়ার প্রথম রা্উন্ডের খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেক্সট ইমপরটেন্ট ম্যাচ ফ্রান্স-দঃ আফ্রিকার ২২ জুনের খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হবে। মূলত প্রথম রাউন্ডের ৫টি এবং দ্বিতীয় রাউন্ডের একটি খেলার জন্য এই স্টেডিয়াম নির্বাচন করা হয়েছে।
৯. রয়াল ব্যাফোকেঞ্জ স্টেডিয়াম, রুস্টেনবার্গ। দঃ আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে অবস্থিত এই স্টেডিয়াম এ মূলত প্রথম এবং দ্বিতীয় রাউন্ডের (রাউন্ড অফ ১৬) খেলাগুলোই অনুষ্ঠিত হবে। ইংল্যান্ড-যুক্তরাস্ট্রের খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ জুন, মেক্সিকো-উরুগুয়ের খেলাটি্ও এই স্টেডিয়ামেই সংঘটিত হবে। রাউন্ড অব ১৬, ২৬ শে জুনের খেলার জন্য্ও এই মাঠ নির্ধারিত।
৪২০০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম এটি।
১০. পিটার মোকাবা স্টেডিয়াম, পোলোকোয়েন। ৪৬০০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। আর্জেন্টিনা-গ্রিস এর ২২ জুনের খেলাটি এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
আজকে জার্মানির বনাম সার্বিয়ার খেলাটি নেলসন ম্যান্ডেলা স্টেডিয়াম এ অনুষ্ঠিত হবে বিকাল ৫.৩০ মিনিট এ ।
কেমন লাগল স্টেডিয়ামগুলো??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।