শফিক হাসান
আমাদের জাতীয় জীবনে ফেসবুক কী রকম ভূমিকা রাখছে ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক তা ভালোভাবে অনুধাবন করার সময় বোধহয় এখনো আসেনি। প্রতিটি জিনিসের মতো ফেসবুকেরও ভালো-খারাপ দুটি দিকই আছে। যে যেভাবে ব্যবহার করে, যেভাবে নেয় সে ওই ফলটাই পায়। মোটা দাগে ভালো দিকের কথা যদি বলি, হারিয়ে যাওয়া বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে খুঁজে দিতে ফেসবুক অদ্বিতীয়। পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রাখতে, কে কী করছে তা জানতে সাহায্য করছে ফেসবুক।
এখন দুনিয়া ঘুরে কাউকে খুঁজতে হয় না। ফেসবুকের একটি ক্লিকই যথেষ্ট।
আর মোটা দাগে খারাপের দিকটা যদি বলি, অনেককেই অসামাজিক করে তুলছে এই সামাজিক সাইটটি। আমাদের অনেক বন্ধু লাগবে, ফেসবুকে ফেন্ড পাঠিয়ে বা এ্যাকসেপ্ট করে প্রতিনিয়ত আমরা বন্ধু বাড়িয়ে চলেছি। এতে করে যে পাশের বাড়ির মানুষটি, ঘরের মানুষটি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে সেদিকে ভ্রƒক্ষেপ করারই বা সময় কই? রাতদিন ফেসবুক নিয়েই তো যত ধ্যানজ্ঞান! ফেসবুকের বন্ধু, যাদের আমরা চিনি না, জানি না, জীবনে সেটা ঘটার সম্ভাবনাও ক্ষীণ তারা কতটুকু বন্ধু সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তবু বলবো, ফেসবুক আমাদের জন্য আশীর্বাদ। অপব্যবহারটুকু রোধ করতে পারলেই হলো। নিজেদের দোষ বা বদখাসলত ফেসবুকের ঘাড়ে চাপানো নিশ্চয়ই ঠিক হবে না!
(লেখাটি দৈনিক কালের কণ্ঠ, ১৫.০৫.২০১১-এ মতামত পাতায় প্রকাশিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।