কোন কিছু ঘটে কারণ সেটি ঘটার কথা ছিল।
“আজ উঠি, হাতে একদম সময় নাই। ”
“না, না কী যে বলেন,আপনাদের আপ্যায়নের কথা
বহুত খুব!ভাবীর হাতের চা- ,জুড়ি নায়, তার জুড়ি নায়।
হ্যা, হ্যা, অবস্যই আসব। সময় পেলেই চলে আসব ।
আসতে আসতে ভাবীকে বিরক্ত করে ফেলবো। ”
হাসতে হাসতে বেরিয়ে পড়লাম,চোখের কোণে সামান্য অশ্রু।
ভাগ্যিস ধরা পড়ি নি। কী ভাবতো কী জানি মি. খোশরু।
মি. খোশরু, আমার নতুন অফিসের বোস
এই হল পরিচয় তার
ভাবী হল নীলিমা, আমার ভার্সিটির ফ্রেন্ড
একই সেশনে একই বিষয় ছিল আমাদের দুজনার।
যাই হোক নীলিমা এখন ভালোই আছে।
ভাবী ডাকে সে বোধ হয় খুশিই হয়েছে।
শরীর আর ভাব খানা তো তায় বলে
সুখ যেন পড়ে উছলে উছলে।
সে কি ভুলেই গেছে আমার স্পর্শ আর শরীরের ঘ্রাণ?
সে বলতো আমি নাকি ছিলাম তার দ্বিতীয় প্রাণ
আমার স্পর্শ সে খুবই পছন্দ করত আগে
রাস্তায় কিংবা পার্কে খুব ঘেষাঘেষি করে চলত
এজন্য কতদিন যে বকেছি তাকে রাগে!
হঠাৎ আমার হাতের ছোয়া পেয়ে তার বুকে
মুখে থাকত দুষ্ট হাসি, তার সুখ দেখতাম চোখে।
চমকে ওঠার ভান করে ফেটে পড়ত কপট রাগে
আমি বলতাম, “হাত ধরবে, ধর।
চুমু খাবে, খাও।
তবে স্থান-কাল যেন ভুলে না যাও। ”
আজ আমাকে দেখে মিষ্টি করে হেসে
পরিবেশন করল কত কী
পোশাকে-অলংকারে সাজ ছিল তার বাহারী।
একবারও জানতে চাইলো না সে, কেমন আছি আমি।
আমাকে বিয়ে করলে সে হয়তো এর কিছুই পেত না
পেত শুধু চাল-ডাল-ঝাল-লবণ সময় মত না পাওয়ার যাতনা।
এখন সে সুখেই আছে (চাই, তায় থাকুক আজীবন)
গেছে বড়লোক স্বামীর গলায় লোটকে
বুদ্ধিমতি মেয়ে সে! তায় সময় বুঝে গেছে শোটকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।