খাওয়া দাওয়া প্রতি বরাবরের মত আমারও দুর্বার আকর্ষন। খাওয়া দেখলে কার খাইতে মন চায় না, তাই রাত্রের বেলা খিদা বাড়াইতে আমি হাজির হইছি কাষ্টার্ডের বানানোর প্রনালী নিয়া। তো খাইতে চাইলে শুরু করতে পারেন বাট উল্টাপাল্টা কিসু হইলে আমার দোষ নাই ।
অনেক খুজাখুজি কইরা নেট উথাল পাথাল কইরা কাষ্টার্ডের রেসিপি বের করছিলাম।
এইটা আমি যেমনে করছিলাম, সেই অনুপাতে দিলাম।
আমরা ছয় জন খাইছিলাম, আপনাদের এখন যত জনে কুলায়
এর জন্য যা যা লাগবো----
১/ দুধ (১ অ্যান্ড ৩/৪ লিটার দুধ)
২/ কাষ্টার্ড পাউডার (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, এর তিন-চার টেবিল চামচ লাগবে)
৩/ চিনি ( বেশী করেই দিয়েন, যত চিনি তত মিষ্টি)
৪/ ফল ( যত প্রকারের ফল পারেন জোগার করে দিতে পারেন, তবে কমলা, বেল, তরমুজ আবার দিতে যায়েন না , তিন-চারটা আপেল, দুইডা কলা, ২৫০ গ্রাম আঙুর, সাথে কয়েকটা খেজুর দিতে পারেন)
এইডা আমরা বানাইছিলাম, চেহারাডা মাসাল্লাহ্ ভালই হইছিল
প্রনালী :
প্রথমে বড় পাতিলে দুধ নিয়ে চুলায় গরম করতে দিন, যতখন না তা ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে যায় ( যদিও আমার বানানো সময় টাইমের অভাবে দুধ বেশী কমতে দেইনি) । ও আরেক টা কথা দুধ কমার মাঝ পথে তিন টেবিল চামচ কাষ্টার্ড পাউডার দিয়ে দিবেন, মনে রাখবেন এই পাউডার যত ভালোভাবে দুধে মিশবে তত খাইতে মজা হবে। এইবার পরিমান মত চিনি দিয়া দেন (আমি তো পুরা ২৫০ গ্রাম চিনি দিয়া দিছিলাম, তবুও মিষ্টি হয় নি)।
অন্য এক বড় বাটি তে ফল অর্থাৎ আপেল , কলা, খেজুর, আঙুর ছোট করে কেটে রাখুন। এবার দুধ যথেষ্ঠ পরিমান কমে গেলে এই মিক্সার টা ফল রাখা বাটি তে ঢেলে দিন।
ব্যস আপনার কাজ শেষ, এবার বাটিটা ফ্রীজে বা অন্য কোন সেফ জায়গায় রেখে টিভিতে একটা সিরিয়াল দেখতে বসে পরুন কারন কাষ্টার্ড ঠান্ডা হয়ে জমলে খাইতে হয়, যদিও আমরা জমার টাইম দেই নাই। রান্নার পরই খাইয়া শেষ।
যে যা পাইছে তাই নিয়া হামলা চালাইছে
আবার কইতাছি নিজ দায়িত্বে ট্রাই করিবেন
আসল টেস্ট না পাইলে আমার দোষ নাই
আর রান্না শেষ হইলে বইলেন, টেস্ট কইরা দেখমুনে চিনি ঠিক আছে কিনা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।