আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছয়টি অতি প্রয়োজনীয় গুণ

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তা'আলার যিনি আমাকে দুনিয়াতে মানুষ হিসেবে প্রেরন করেছেন। আর আমাকে ভালবাসেন বিধায় আমাকে দ্বীন সম্পর্কে এইটুকু বুঝ দিয়েছেন, যে আমার দ্বীনের পথে চলা খুবই দরকার । কেননা দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কামিয়াবি একমাত্র দ্বীন মেনে চলার মাঝেই রয়েছে। আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন নিজের খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে। মানুষের কাজ হল দ্বীনের দ্বারা দুনিয়াকে আবাদ করা।

নিজে দ্বীন মানা ও অপরকে দাওয়াত দেয়া। যদি কোন বান্দা আল্লাহ পাকের কাছে মকবুল হতে চায় , তবে আল্লাহ পাক তার বাহ্যিক চেহারা-সুরত, দুনিয়াবি মর্যাদা কিংবা তার দুনিয়াবি ধন-সম্পদ দেখেন না। আল্লাহ দেখেন তার গুণ। কিছু গুনের ওপর মেহনত করে আমল করতে পারলে দ্বীনের ওপর চলা সহজ হয় । প্রথম গুণটি হল ঈমানের গুণ ।

ঈমানের কালিমা হল ,"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ"। এর অর্থ হল, আল্লাহ ছাড়া আর কোন মা'বুদ নাই। হুযুর পাক (সঃ) আল্লাহর রাসূল। আমরা দু চোখে যা কিছু দেখি বা না দেখি, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া বাকি সবই মাখলুক। মাখলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া, আল্লাহ সব কিছুই করতে পারেন মাখলুক ছাড়া।

দিলের মাঝে এই একীনকে বসাতে হবে। দুনিয়াতে আমরা অনেক উসিলা দেখি। কিন্তু আল্লাহর সাহায্যের জন্য উসিলার দরকার নাই। হয্রত ইবরাহীম (আ) কে আল্লাহ উসিলা ছাড়াই আগুনের মাঝে হেফাযত করেছেন। ইউনুস (আ) কে মাছের পেটে জীবন্ত রেখেছেন।

সাহাবায়েকেরাম কে ঘরার উপর ছড়িয়ে দযলা নদী পার করেছেন, কোন উসিলা লাগে নাই। তাই , দিএর একিনকে সহীহ করা। তরীকার একিনকেও সহিহ করা। হুযুর পাক (সঃ) এর নুরানি তরিকার মাঝেই দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবি নিহিত। তাই সুন্নাত তরিকাকে নিজেদের জিন্দেগিতে এখতিয়ার করা।

জযবার একিনকেও সহিহ করা। দুনিয়া ও আখিরাতের যে কন জরুরাতে সবার আগে আল্লাহর মুখাপেক্ষি হওয়া। সবার আগে আল্লাহর নিকত ছাওা, তারপর সুন্নাত হিসেবে দুনিয়াবি সামানা এখতিয়ার করা। এই কালিমা এতো মর্যাদাবান, আসমান ও জমিন ও তার মাঝের সবকিছু যদি এক পাল্লায় আর এই কালিমাকে আরেক পাল্লায় রাখা হয় তবে কালিমার পাল্লাই ভারি হবে। একিন ও ইখলাসের সাথে এই কালেমা একবার পাঠ করলে পিছনের জিন্দেগির সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

আর যে ব্যক্তি প্রতিদিন এই কালেমা ১০০ বার করে পাঠ করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার চেহারা কে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল করে তুলবেন । যে কোন ব্যক্তি এই কালিমার প্রতি একিন রেখে মৃত্যুবরণ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন। {মুসনাদে আহমাদ: ৫/২২৯। } তাই এই কালেমা বেশির থেকে বেশি পাঠ করা আর অন্য ভাইদের এর ফযিলত বলে দাওয়াত দেয়া। ২য় গুণটি হল নামাজের গুণ।

নামাজের ওপর মেহনতের উদ্দেশ্য হল হুযুর(সঃ) জেভাবে নামাজ আদায় করেছেন এবং সাহাবা গণকে যেভাবে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন, মেহনত করে ওইরকম নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা । সাহাবায়েকেরাম (রাঃ) তো এভাবে নামাজ আদায় করতেন , তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের সব জরুরাত ঐ নামাজের দ্বারা পূরণ হয়ে যেত। ঘরে খাবার নেই? নামাজ পড়ে খালি যাঁতা থেকে ময়দা বের করেছেন। জমিতে পানি দরকার ? নামাজ পড়লেন, যে কেবল তার জমিতেই বৃষ্টি হল, পাশের আর কারো জমিতে না। দ্বীনের খাতিরে নামাজের দ্বারা মৃত সন্তান কে জীবিত করিয়ে নিএছেন কেবল নামাজের দ্বারা।

আমাদের নামাজ যেন ঐ রকম হয়, তার জন্য চেষ্টা ফিকির করা। যে ব্যক্তিই দুনিয়ার ধ্যানমুক্ত হয়ে পূর্ণ ইখলাসসহ দুরাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায় সে অবশ্যই তা পাবে। নামাজের বদৌলতে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে দেন। সুতরাং যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে দুরাকাত নামাজ আদায় করে, কোন ভুল না করে, আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ রাখে, তবে তার পেছনের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। {আবু দাউদ: হাদিস নং ৯০৫।

} যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, অতঃপর দুরাকাত এমনভাবে পড়ে যে, অন্তর নামাজের প্রতি নিবিষ্ট থাকে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্থির থাকে, তবে নিশ্চয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। {আবু দাউদ: হাদিস নং ৯০৬। } তাছাড়া যে ব্যক্তি এহতেমাম ও গুরুত্ব সহকারে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে ৫ টি পুরষ্কার দান করবেন। ১। তার রিযিকের অভাব দূর করে দেবেন ২।

কবরের আজাব হটিয়ে দেবেন। ৩। আমলনামা ডান হাতে দেবেন ৪। পুলসিরাত বিজলির গতিতে পার করে দেবেন। ৫।

বিনা হিসাবে জান্নাতে দাখিল করবেন। নামাজকে সুন্দর করার তরিকাঃ ১. নিজে ইহতিমাম ও গুরুত্বের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা। সুন্নাত ও বিতরের পাবন্দি করা, বেশি বেশি নফল পড়া, উমরি (জীবন) কাযা থাকলে আদায় করা এবং বেশি বেশি নামাজের দাওয়াত দেয়া, ২. আমি ও সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদী যেন উত্তমভাবে নামাজ আদায় করতে পারি আল্লাহর কাছে সে দোয়া করা, ৩. মশ্ক ও মুহাসাবা তথা হিসাব-নিকাশ করা যে, আমার নামাজ কতটুকু সুন্দর হলো। সুন্নাত অনুযায়ী হয় কি-না। ৩য় গুণটি হল 'এলেম ও জিকির এর গুণ।

'এলেম কি ??? 'এলম দ্বারা 'এলমে ইলাহী উদ্দেশ্য, অন্য 'এলম নয়। অর্থাৎ যে 'এলম দ্বারা আল্লাহ তায়ালার মা'রিফাত হাসিল হয়। তাঁর হুকুম-আহকাম জানা যায় এবং হুজুর সা. -এর তরিকার ওপর চলা যায় ও কবরের সওয়াল-জওয়াব জানা যায়। 'এলেম এর ওপর মেহনতের দ্বারা উদ্দেশ্য হল আমাদের দৈনন্দিন জিবনে কখন আল্লাহর কি হুকুম আহকাম আছে তা জানা ও হুজুর (সঃ) এর তরিকায় তার ওপর আমল করা। 'এলেমের ওপর মেহনতের ফযিলত অপরিসীম ।

যে ব্যক্তি 'এলম শেখার জন্য কোন পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন। {আবু দাউদ: হাদীস নং ৩৬৪১। } ফেরেশতারা তালিবে 'এলমের সন্তুষ্টির জন্য আপন পাখা বিছিয়ে দেন। তাছাড়া আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সমস্ত মাখলুক ও পানির মাছ পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। 'এলম দুই প্রকার।

ফাযাইলে 'এলম এবং মাসাইলে 'এলম। ফাযাইলে 'এলম তালিমের হালকায় বসে শেখা। আর মাসাইলে 'এলম হক্কানী ওলামায়ে কেরামের কাছে শেখা এবং অন্যদেরকে 'এলমের দাওয়াত দেয়া অর্থাৎ 'এলম শেখার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। ২. আমি এবং সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদী যেন 'এলমে ইলাহী অর্জন করতে পারি, সে জন্য দোয়া করা। ৩. মশ্ক করা।

আমি কতটুকু 'এলম শিখলাম এবং অর্জিত ইলমের ওপর সুন্নাত তরিকায় আমল হচ্ছে কি-না এ ব্যাপারে হিসাব-নিকাশ করা। সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার ধ্যান-খেয়াল দিলে পয়দা করাই জিকিরের ওপর মেহনতের উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আমি যে সকল ইবাদত করছি- আল্লাহ আমাকে দেখছেন- এ মনোভাব নিয়ে ইবাদত করা। আমি যে জিকির করছি- আল্লাহ পাক তা শুনছেন- এ মনোভাব নিয়ে জিকির করা। যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে আপন জিহ্বা তরতাজা রাখবে, সে হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হুজুর সা. ইরশাদ করেন, কুরআনে কারিমের তিলাওয়াত ও আল্লাহর জিকিরের প্রতি নিবিষ্ট হও। এ আমলের দ্বারা আসমানে তোমার আলোচনা হবে। আর এ আমল জমিনে তোমার জন্য হেদায়েতের নূর হবে। {বাইহাকি: ৪/২৪২। } যার মাঝে জিকির আছে তার দিল জিন্দা আর যার মাঝে জিকির নাই তার দিল মুর্দা।

সর্বোত্তম ইবাদত কুরআন তিলাওয়াত। সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ’ এ ছাড়া সকাল-বিকাল তিন তাসবিহ আদায় করা এবং মাসনুন দোয়াগুলো পড়া ও হক্কানি পীরের অযিফা থাকলে তা আদায় করা। জিকিরের দাওয়াত তথা অন্যদেরকেও জিকির করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। আমি এবং সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদী যেন বেশি বেশি জিকির করতে পারি, সে জন্য দোয়া করা।

মশ্ক-মুহাসাবা তথা আমার মধ্যে আল্লাহর ধ্যান-খেয়ালযুক্ত জিকির কতটুকু এলো- এ ব্যাপারে হিসাব-নিকাশ করা। চতুর্থ গুণ হল ইকরামের গুণ। নবী ও সাহাবাওয়ালা হুসনে আখলাক হাসিল করা। মুসলমানের মর্যাদা বুঝে কদর করা, তথা মানুষের হক আদায় করা। অর্থাৎ পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশির হক আদায় করা।

কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত না হওয়া। উপরন্তু গীবত, কুধারণা এবং কুদৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকা। এবং হার মাখলুকের এহসান করা। কেউ যদি কোন মুসলমান ভাইয়ের একটি উপকারের নিয়ত করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দশ বছর নফল ইতিকাফের সওয়াব দান করেন। আর কেউ যদি কারও একটা প্রয়োজন পুরো করে দেয়, আল্লাহ পাক তার তিয়াত্তরটা প্রয়োজন পুরো করে দেন।

একটি দুনিয়াতে। আর বাকি বাহাত্তরটি দ্বারা আখিরাতে তার মর্যাদা বুলন্দ করবেন। ইকরাম হাসিলের তরিকাঃ আলেমের তাজিম করা, বড়কে সম্মান করা এবং ছোটকে স্নেহ করা। হুজুর সা. বলেন, যার মধ্যে এ তিন ধরনের ইকরাম নেই, সে আমার উম্মত নয়। কাজেই নিজেও ইকরাম করা এবং অন্যদেরকেও দাওয়াত দেয়া অর্থাৎ ইকরামুল মুসলিমীন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।

আমি এবং সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদী যেন ইকরামের ওপর উঠতে পারি, সে জন্য দোয়া করা। মশ্ক-মুহাসাবা করা অর্থাৎ আমার মধ্যে ইকরাম কতটুকু এলো; আমার দ্বারা কারো হক নষ্ট হচ্ছে কি -না এ ব্যাপারে হিসাব-নিকাশ করা। ৫ম গুণ হল সহীহ নিয়াতের গুণ। সহী নিয়ত অর্থ হলো নিয়তকে খালেস করা তথা সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য করা। মানুষকে দেখানো বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে না করা।

এক কথায়, আমাদের আত্মায় যত রোগ আছে, যেমন: রিয়া, অহংকার, লোভ ইত্যাদি থেকে দিলকে সাফ করা এবং উত্তম গুণাবলী তথা সবর, শোকর, তাকওয়া ইত্যাদি দ্বারা নিজের দিলকে সজ্জিত করা। যে ব্যক্তি সহী নিয়ত তথা একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য কোন নেক আমল করবে, আল্লাহ তায়ালা সে নেক আমলের উত্তম জাযা দান করবেন। পক্ষান্তরে কেউ যদি রিয়ার সাথে অনেক বেশি নেক আমলও করে, আল্লাহ পাক তার সামান্য বিনিময়ও দান করবেন না। বরং আরো শাস্তি দিবেন। কেউ যদি নাম, যশ ইত্যাদির জন্য দুনিয়া চায়, সেটা হালাল উপায়েই হোক না কেন, তাহলে আল্লাহর সামনে সে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, আল্লাহ তার প্রতি অত্যন্ত নারাজ থাকবেন।

আর যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে এ জন্য দুনিয়া হাসিল করে যেন অন্যের কাছে চাইতে না হয়, নিজ পরিবারের জন্য রুজি উপার্জন হয়, তবে সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তার চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মতো চমকাতে থাকবে। নিয়াতকে সরবদা সহিহ রাখার জন্য কিছু কাজ করা দরকার। কোন নেক কাজ করার আগে নিয়তকে যাচাই করে নেয়া, কাজের মাঝখানে আবার পরখ করা নিয়ত ঠিক আছে কি-না। ঠিক থাকলে শোকর আদায় করা। অন্যথায় ইস্তেগফার পড়ে নিয়ত ঠিক করে নেয়া এবং অন্যদের দাওয়াত দেয়া।

সকল ইবাদত ইখলাসের সঙ্গে করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। আমরা সবাই যেন ইবাদতসমূহ ইখলাসের সঙ্গে করতে পারি, সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা। মশ্ক-মুহাসাবা করা। অর্থাৎ আমার মধ্যে কতটুকু ইখলাস এলো তার হিসাব-নিকাশ করা। ষষ্ঠ গুণ হল দাওয়াত ও তাবলীগ।

আল্লাহর দেয়া জান, মাল , সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বার হয়ে জান-মাল-সময়ের সহিহ ব্যবহার শিক্ষা করা। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে নিজ প্রয়োজনে এক টাকা খরচ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সাত লাখ টাকা দান করার সওয়াব দেবেন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একটি নেক আমল করবে, আল্লাহ তাকে ৪৯ কোটি নেক আমলের সওয়াব দান করবেন। হাসিল করার তরিকা: ওলামায়ে কেরাম বলেন, জীবনে তিন চিল্লা দিয়ে এ কাজকে শিক্ষা করা এবং মৃত্যু পর্যন্ত এ কাজের সঙ্গে লেগে থাকা। প্রতি বছর নেসাবী এক চিল্লা, মাসে তিনদিন এবং প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা আল্লাহর রাস্তায় সময় দেয়া এবং অন্যদেরকেও সময় দেয়ার প্রতি দাওয়াত দেয়া। আমি এবং সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদীকে যেন এ কাজের ওপর উঠতে পারি, সে জন্য দোয়া করা।

মশ্ক-মুহাসাবা করা। অর্থাৎ আমার মধ্যে এ কাজের ফিকির কতটুকু এলো তার হিসাব-নিকাশ করা। আল্লাহ পাক আমাদের মাঝে এই গুণ গুলোর সমন্বয় ঘটানোর মাধ্যমে পূর্ণ দ্বীনের ওপর চলার তাওফিক দান করুন । আমীন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।