আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজকুমারের ছয়টি কবিতা

আমরা ফাঁকা গুরু / জড় কুশীলব/ সযত্নে কোকিলের বাচ্চা ফোটাই/আমরা গো গর্দভ কাক........................ আকুতি বিশ্রামাগার ফুড়ে সে্ই কবে বেরিয়ে পড়েছি! হাড়ের ভেতর শুকিয়ে ওঠা সিমের বিচির মতন ঘুম হাসের ডিমের মতন চকচকে স্বপ্নের লাবণ্য ধোয়াশা প্রেমিক তমোহরের গলে পড়া ইশারা সংকেত চুপি চুপি ঘেমে ওঠা জোনাকির নরম মাহফিল হাড়ের ভেতর একটা ত্রস্ত, একা-অনুজ্জ্বল পাখির কন্ঠস্বর ঠিক আমার অস্ফুট আকুতির মতন। প্রার্থনা মাহফিল প্রার্থনা মাহফিল সুনসান: সাইকেলের মৃদু ঘন্টির মত ক্ষীন স্বরে প্রভুকে ডাকছে এক অন্ধ প্রজাপতি; প্রজাপতিটি একটিবার তার রঙিন পাখনা দেখতে চায় নার্সিসাস যেন একটিবার ছুতে চায় তার পাপড়ির কররেখা। শুধু................একটিবার। প্রার্থনা মাহফিল গমগম: পেটভর্তি জ্বলন্ত উনুন নিয়ে প্রভুকে ডাকছে এক বন্ধ্যা দেয়াশলাই; একটিবার তার জীবনকে আগুনে রাঙাতে চায় সে একপলক হাতের তালুতে পেতে চায় ঝলসানোর যৌনতা। শুধু...............একপলক।

প্রার্থনা মাহফিলজ্বলজ্বল: মিশকালো কোকিলের মত কাঁদ কাঁদ বিনীত গলায় প্রভুকে ডাকছে এক মরচেপড়া ঘুঙুর; ঘুঙুরটি একরাত্রি নাচতে চায় মেঘ ভর্তি মাহফিলে একটিরাত খসাতে চায় অযুত-নিযুত জোনাকির আলো। শুধু................একটিরাত। প্রভু শুনছেন কি? তীরন্দাজ ঘুরছে আখি উড়ছে মানুষ আগুন ঘুমে অন্ধ চাঁদ। মুক্ত আকাশ মেলছি ডানা ছুড়ছে ওঁ! তীর সে কোন তীরন্দাজ। চলছে গাড়ী বাড়ছে বাড়ী উঠছে দেয়াল না ভাঙার।

নাচছে নদী বসন খোলা ভাঙছে পাজর নয়তো পাড়। ভগ্ন পাখা কন্ঠ বাঁকা চাইছি তবু পাখির গান। জাদুর মাঠে ঘাসের চুমে ডাকল ওঁ! কোন জল উচ্ছ্বাস। নতুন ধানের রোদের বানে সাজলো রঙিন পুতুল নাচ। উড়ল সকাল ঘুরছে দুপুর জমবে বিকেল নামিয়ে আধার অকস্মাৎ।

দাদীমাকে দাদীমা, স্কুল পালানো দিন কামড়ে দিয়েছে লাল পিপড়ে আগুনও কেড়ে নিল ঢোড়াসাপ তাড়াকরা চেলাকাঠ, ঘুড়িদের সুতো কেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে চাকুর শহরে হাতের তালুতে পেতে খোসাছাড়ানো বনেদী আপেল জীবন। এখন শহর জুড়ে বৃষ্টিরা মাথা খুটছে কাঁচের জানালায় আজও কি ঘর জুড়ে আপনার কিৎসার ছোয়া; নিভু নিভু পিদিমের ছায়ায় জমাট বাধছে রাত রাজপুত্র একশ্বাসে ছিড়ে ফেলছে শামুক শব্দ, কালো ভোমরের মাথা। আমি ফিরব দাদীমা আমাকে ফিরতেই হবে- আপনার হাতের মুড়ি-মুড়কি, শিশির রৌদ্র মাখানো পায়েসের ঘ্রাণে আমাকে যে আপনার গল্পের রাজপুত্র হতেই হবে দাদীমা। নিসঃঙ্গতা নিসঃঙ্গতা, তুমিই তাহলে সেই বোবা জন্তু! এমন বলোনা মুছে ফ্যালো দৃষ্টির দমকল জ্বলুক হঠাৎ আগুন পুড়িয়ে মেশাও আমায় বায়ুদের উৎসুক কোষে। অতঃপর বিস্ময়ের সাথে নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে দেখবে কখনও তুমি নিঃসঙ্গ নও।

দর্শক দর্শক জীবন কাটছে বেশ শিলপাথর চোখে বৃক্ষরাও নীরব দর্মক রাত্রির আগুন দর্শক ক্ষুধার্ত জোনাকির পাড়া। ক্রমশ সুনসান নাট্যশালা সূর্যও নিকোটিনগ্রস্থ পোড়খাওয়া হৃৎপিন্ডের রঙে মঞ্চ জুড়ে অবিরাম খোলস ভাঙার শব্দ নৈঃশব্দ্যও কি? আতঙ্কগ্রস্থ দর্শক বটে.........) আকুতি বিশ্রামাগার ফুড়ে সে্ই কবে বেরিয়ে পড়েছি! হাড়ের ভেতর শুকিয়ে ওঠা সিমের বিচির মতন ঘুম হাসের ডিমের মতন চকচকে স্বপ্নের লাবণ্য ধোয়াশা প্রেমিক তমোহরের গলে পড়া ইশারা সংকেত চুপি চুপি ঘেমে ওঠা জোনাকির নরম মাহফিল হাড়ের ভেতর একটা ত্রস্ত, একা-অনুজ্জ্বল পাখির কন্ঠস্বর ঠিক আমার অস্ফুট আকুতির মতন। প্রার্থনা মাহফিল প্রার্থনা মাহফিল সুনসান: সাইকেলের মৃদু ঘন্টির মত ক্ষীন স্বরে প্রভুকে ডাকছে এক অন্ধ প্রজাপতি; প্রজাপতিটি একটিবার তার রঙিন পাখনা দেখতে চায় নার্সিসাস যেন একটিবার ছুতে চায় তার পাপড়ির কররেখা। শুধু................একটিবার। প্রার্থনা মাহফিল গমগম: পেটভর্তি জ্বলন্ত উনুন নিয়ে প্রভুকে ডাকছে এক বন্ধ্যা দেয়াশলাই; একটিবার তার জীবনকে আগুনে রাঙাতে চায় সে একপলক হাতের তালুতে পেতে চায় ঝলসানোর যৌনতা।

শুধু...............একপলক। প্রার্থনা মাহফিলজ্বলজ্বল: মিশকালো কোকিলের মত কাঁদ কাঁদ বিনীত গলায় প্রভুকে ডাকছে এক মরচেপড়া ঘুঙুর; ঘুঙুরটি একরাত্রি নাচতে চায় মেঘ ভর্তি মাহফিলে একটিরাত খসাতে চায় অযুত-নিযুত জোনাকির আলো। শুধু................একটিরাত। প্রভু শুনছেন কি? তীরন্দাজ ঘুরছে আখি উড়ছে মানুষ আগুন ঘুমে অন্ধ চাঁদ। মুক্ত আকাশ মেলছি ডানা ছুড়ছে ওঁ! তীর সে কোন তীরন্দাজ।

চলছে গাড়ী বাড়ছে বাড়ী উঠছে দেয়াল না ভাঙার। নাচছে নদী বসন খোলা ভাঙছে পাজর নয়তো পাড়। ভগ্ন পাখা কন্ঠ বাঁকা চাইছি তবু পাখির গান। জাদুর মাঠে ঘাসের চুমে ডাকল ওঁ! কোন জল উচ্ছ্বাস। নতুন ধানের রোদের বানে সাজলো রঙিন পুতুল নাচ।

উড়ল সকাল ঘুরছে দুপুর জমবে বিকেল নামিয়ে আধার অকস্মাৎ। দাদীমাকে দাদীমা, স্কুল পালানো দিন কামড়ে দিয়েছে লাল পিপড়ে আগুনও কেড়ে নিল ঢোড়াসাপ তাড়াকরা চেলাকাঠ, ঘুড়িদের সুতো কেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে চাকুর শহরে হাতের তালুতে পেতে খোসাছাড়ানো বনেদী আপেল জীবন। এখন শহর জুড়ে বৃষ্টিরা মাথা খুটছে কাঁচের জানালায় আজও কি ঘর জুড়ে আপনার কিৎসার ছোয়া; নিভু নিভু পিদিমের ছায়ায় জমাট বাধছে রাত রাজপুত্র একশ্বাসে ছিড়ে ফেলছে শামুক শব্দ, কালো ভোমরের মাথা। আমি ফিরব দাদীমা আমাকে ফিরতেই হবে- আপনার হাতের মুড়ি-মুড়কি, শিশির রৌদ্র মাখানো পায়েসের ঘ্রাণে আমাকে যে আপনার গল্পের রাজপুত্র হতেই হবে দাদীমা। নিসঃঙ্গতা নিসঃঙ্গতা, তুমিই তাহলে সেই বোবা জন্তু! এমন বলোনা মুছে ফ্যালো দৃষ্টির দমকল জ্বলুক হঠাৎ আগুন পুড়িয়ে মেশাও আমায় বায়ুদের উৎসুক কোষে।

অতঃপর বিস্ময়ের সাথে নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে দেখবে কখনও তুমি নিঃসঙ্গ নও। দর্শক দর্শক জীবন কাটছে বেশ শিলপাথর চোখে বৃক্ষরাও নীরব দর্মক রাত্রির আগুন দর্শক ক্ষুধার্ত জোনাকির পাড়া। ক্রমশ সুনসান নাট্যশালা সূর্যও নিকোটিনগ্রস্থ পোড়খাওয়া হৃৎপিন্ডের রঙে মঞ্চ জুড়ে অবিরাম খোলস ভাঙার শব্দ নৈঃশব্দ্যও কি? আতঙ্কগ্রস্থ দর্শক বটে......... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।