আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিযিয়া কর

আল্লাহ আকবার

বিদ্র আমার আগে করা একটা মন্তব্যে আমি যা বোঝাতে চেয়েছিলাম,তা বুঝাতে পারিনি,বরং ভাষার প্রয়োগ ভাল ছিলনা। এই জন্য আমি দুঃখিত। জিযিয়া এক ধরনের ট্যাক্স যা রাষ্ট্র কর্তৃক কিছু সুবিধাপ্রাপ্তির বিনিময়ে দিতে হয়। তিন ধরনের ক্ষেত্র আছে জিযিয়া প্রদানের বেলায়। জিযিয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট হল এটা শুধুমাত্র মুসলিম কর্তৃক বিজিত রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

সে কারনে মদিনার ননমুসলিমরা কখনোই জিযিয়া দিতনা। এখনকার আধুনিক রাষ্ট্রগুলি যেহেতু সাধারন মানুষ দ্বারা তৈরী, তাই এখনকার রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবেনা। আরেকটা ব্যাপার, এটা কখনোই চাপিয়ে দেয়া যাবেনা। এটা হল একটা চুক্তি যে এর বিনিময়ে তারা আর্মিতে যোগ দিবেনা। এক আল ধিম্মা মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিম বাসিন্দারা ভাল সম্পকের জন্য যে চুক্তি করে তার নাম হল আলধিম্মা।

এর বিনিময়ে তারা আর্মিতে ঢোকার হাত থেকে রেহাই পেত। আইনবিদরা ভাল করেই জানত ইসলামিক রাষ্ট্রকে শুধু অমুসলিমদের বিশ্বাস, ধর্মীয় রীতিনীতি ও আইন মেনে নিলেই চলবেনা, তাদের জানমাল সম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্হা করতে হবে। কারন ' তাদের রক্ত আমাদের রক্ত এবং তাদের অধিকার আমাদের অধিকারের মত'। দুই মুওয়াদ্দা। যুদ্ধ শেষ করার সদিচ্ছার প্রমান হিসাবে এটা প্রদান করা হত।

এক্ষেত্রে ইসলামিক আইন বা সম্পত্তি রক্ষার ব্যাপার ছিলনা। তিন আহদ এক্ষেত্রে ইসলামিক আইনের প্রসার জরুরী কিন্তু জান মাল সম্পত্তি রক্ষার ব্যাপারটা থাকেনা। বর্তমানে মুসলিম এবং অমুসলিমরা মিলে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সেখানে জিযিয়া প্রযোজ্য নয়। "Towards an Islamic Theory of International Relations: New directions for Methodology and Thought " Abdul Hamid A. Abu Sulayman,2nd Edition.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.