সভ্য জগতের মানুষ আমরা। সভ্যতার চরম শিখরে ওঠে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে, হচ্ছে প্রতারিত। বিশ্বাসের চরম মূল্য দিচ্ছে প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী- স্ত্রী, মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই। এমন কোন সম্পর্ক নেই যেখানে ভাঙ্গনের সুর নেই।
হুমায়ন আজাদ কি যথার্থই বলেছেন- সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে।
মনে হয় তাই।
প্রতিটি মানুষের রয়েছে এক একটা আলাদা জগত। এখানে প্রতিনিয়ত চলে ভাঙ্গা গড়ার খেলা। একজনকে ভেঙ্গে মনের গহিনে গড়ে আরেক জনের ছবি। এই খেলার কোন শেষ নেই।
তার মানে ভালবাসা বলে কিছু নেই, সবি মোহ, মায়ার বাধঁন। মায়া কেটে গেলে চরম বাস্তবতার শিকার । সত্যিই বড় অসহায় মানুষ এখন।
তবে আমরা সবাই পাকা অভিনেতা-অভিনেত্রী। জীবনের রঙ্গ মঞ্চে সবাই অভিনয় করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
সৃষ্টির আদি থেকে আমরা দিনে দিনে আজকের সভ্যসমাজে প্রবেশ করেছি। আমরা শিখেছি ঢেকে রাখা সভ্যতা।
তাই নিজেকে ঢেকে রাখি মুখোশের অন্তরালে। কারণ আমাদের ভিতরটা কুৎসিত, বড়ই কুৎসিত। আদি মানুষরা নিজেকে ঢেকে রাখার কোন চেষ্টাই করত না।
কারণ হয়ত তাদের ভিতরটা সুন্দর ছিল।
তারা যা করত প্রকাশ্য করত, তাই ঢেকে রাখার মত কিছু ছিল না তাদের।
কিন্তু আমরা সভ্য মানুষ, আমরা প্রকােশ্য কিছু করি না, যা করি অতিগোপনে। একসাথে দশটা প্রেম করি, দশ জনের সাথে মন দেয়া নেয়া করি, অন্যর বউকে নিয়ে ফূর্তি করি, অন্যর হাসব্যান্ডকে নিজের ভাবি, তারপর একসময় ধুয়া তুলসি পাতা হয়ে জীবন সংসারে অভিনয় করি।
এইতো আমাদের জীবন।
যাই হোক, আমি কিন্তু িচন্তা করছি অন্যবিষয়।
ভেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছি না।
তাই আমার এই লেখা।
এই যে আমাদের নিজেকে ঢেকে রাখার অনন্ত চেষ্টা, কুৎসিতকে ঢেকে নিজেকে সুন্দর মুখোশের আড়ালে উপস্হাপন করা
তাকে কি সভ্যতা বলা যায়?
প্রিয় পাঠকের কাছে জানতে চাই- ঢেকে রাখা সভ্যতা নাকি প্রকাশ করাই সভ্যতা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।