নিজেকেই নিজে এখনো জানতে পারলাম না !! ১) যে বাংলা ভাষা বুঝে না সে বাংলা পত্রিকার সম্পাদক হয় কী করে? মাহমুদুর রহমান বারবার মিথ্যা তথ্য আর ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিদিন ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করেই যাচ্ছে। এই মিথ্যাচারের সম্রাট মাহমুদুর রহমান এখনো জেলের বাইরে থাকে কী করে? আর পত্রিকাটাই বা চালু থাকে কী করে? গতকাল অনেকেই ব্যাকরণের আলোকে লাইনটির যথার্থতা প্রমাণ করেছেন। আমি আর নতুন করে এখানে বললাম না।
যারা ব্যাখ্যাটা দেখেননি তারা এখানে গিয়ে দেখতে পারেন-
Click This Link
তবুও বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যে লাইনটি সংশোধন করাতে সরকারকে ধন্যবাদ।
২) এই লাইনটি পড়ার পর আমার মাথায় নতুন করে একটা চিন্তা ঢুকল। সেটা হচ্ছে ঈদুল আযহাতে আমাদের দেশের ৯৯% মানুষের কুরবানি কবুল হওয়ার কথা না (আল্লাহই ভাল জানেন) এবং আমরা যে সেই মাংস খাই সেটা হারাম। কারণ, আমাদের দেশে কুরবানির আগে জানতে চাওয়া হয় কুরবানি কার কার নামে দেওয়া হবে। ছাগল হলে আমরা একটা নাম বলি আর গরু হলে ৬-৭ টা নাম বলি। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে আমরা ওই ব্যক্তিদের নামেই কুরবান দেওয়ার নিয়্যত করছি।
এক্ষেত্রে কুরবানির মাংসটা আমাদের জন্য হারাম হয়ে যাচ্ছে। আমি এই অজ্ঞতার দায় যারা কুরবানি দেয় তাদেরকে দিচ্ছি না। আমি এই অজ্ঞতার দায় দিব সমাজের আলেমদের। কারণ, তারা এই ব্যাপারটা মানুষকে জানাচ্ছেন না। এমনকি কুরবানির আগে তারাও ভুলভাবে জিজ্ঞেস করছেন কুরবানি কার কার নামে দেওয়া হবে।
সুতরাং, ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে যারা কুরবানি দিচ্ছেন বা যিনি জবাই করছেন এবং আলেমদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কুরবানি দেওয়ার সময় বলতে হবে "অমুক অমুকের পক্ষে আল্লাহ'র নামে কুরবান দিচ্ছি"।
"আমার দেশ" পত্রিকা যদি ২ নাম্বার ব্যাপারটা নিয়ে লিখত তাহলে তাদেরকে সাধুবাদ জানাতাম। কিন্তু তারা তা না করে মিথ্যা তথ্য আর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর মহাষড়যন্ত্রে ব্যস্ত আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।