পরীক্ষা চলছে....থার্ড ইয়ার শেষ করতে যাচ্ছি । ভীষণ টেনশনে আর চাপের মধ্যে আছি....একটু অসচেতন হলেই পজিশন থেকে পা ফসকাব । তাই রাত-দিন রিডিং রুমে থাকছি । বের হই খালি খাওয়া আর ঘুমের জন্যে । অবশ্য মাঝে মাঝে একটু আধটু নেটেও আসি ।
তো সেদিন চোখে পড়ল একটা আড্ডা পোষ্ট । তাও আবার কৃষ্ণচূড়ার । ডেকেছে আইরিন আপু । কি করি...কি করি....কৃষ্ণচূড়া আমার খুব-----খুবই প্রিয় । যখন গাছে ওঠার বয়স ছিল মাদরাসার বিশাল কৃষ্ণচূড়ার গাছটায় কত উঠেছি ! যাব কি যাব না বুঝতে পারছি না...একদিকে পরীক্ষা আরেকদিকে কৃষ্ণচূড়া ! হঠাৎ সকালে জিশান মামার ফোন ।
মামার ফোন পেয়ে বিকেলে মামার সাথেই চলে গেলাম সেই আড্ডায় । তবে বেশিক্ষণ থাকিনি.....(ঘাড়ের উপরে পরীক্ষার বোঝা রেখে কি কোথাও শান্তিমত থাকা যায় )একটুক্ষণ থেকেই দৌড়ের উপরে হলে এসেই আবার রিডিং রুম !
যে কয়টা কৃষ্ণচূড়াকে ধরতে পেরেছি তার কয়েকটা :
১.........দুপাশে কৃষ্ণচূড়াময় ফাঁকা রাস্তা :
২....দুপাশ রাঙাল রঙে.. :
৩...আকাশ ছোয়া চূড়া :
৪...একটা বোতলব্রাশ ...ছোয়ার অপেক্ষায় :
৫...ফেরার পথে শেষ বিকেলে :
আমার প্রিয় ক্যাম্পাসটাও এখন রঙিন হয়ে আছে ...একটা দুইটা রঙ নয় ..হরেক রঙ । কৃষ্ণচূড়া ফোটার প্রহর গুনতাম প্রতিদিন । ফুল ফুটল...আমারও যমরূপী পরীক্ষা এল । এখন অপেক্ষা করছি পুরো ক্যাম্পাস হলুদ আর বেগুনীতে পুরোপুরি রাঙানোর ।
রাঙানো শুরু হয়েছে ...তবে আমার হাতের নাগালে এখনো আসেনি
কৃষ্ণচূড়ার কয়েকটা আছে ভর দুপুরে কলাভবনের পাঁচতলা থেকে তোলা
১....লেকচার থিয়েটারের সামনের গাছটা :
২.....পাঁচতলার বারান্দা থেকে
------------------------------------------------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।