আজকের সামহোয়ারইন আর কয়েক বছর আগের সামহোয়ারইনে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
এই অনলাইনে টাকা আয়ের অত্যাচার থেকে আমাদের বাঁচানোর জন্য কী কেউ নেই? এই স্প্যামিংয়ের অত্যাচারে ব্লগের প্রথম পাতা
একটি অসহ্য জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্লগ ডেভেলপারদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে এ ধরণের পোস্টকে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করে ব্লক
এবং বাতিল করার ব্যবস্থা করুন।
এর সাথে আরেক অত্যাচার যোগ হয়েছে, এস ই ও বিষয়ক পোস্ট। এরা যে এই ব্লগের জনপ্রিয়তাকে ভাঙিয়ে টুপাইস কামাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
দু লাইনের একটি পোস্ট আর তারপর লিঙ্ক দিয়ে তার ঘাড় মটকাচ্ছে এই ব্লগের। এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন। সংবাদ পড়ার জন্যও মনে হয় না কেউ এখানে আসেন। একই খবরের একাধিক কপি-পেস্ট দিয়ে দিয়ে কয়েকজন ব্লগার প্রথম পাতার বারোটা বাজাচ্ছেন নিয়মিত।
কিছুদিন আগে একজন নামকরা ব্লগার এখনকার সামহোয়ারইনের দুরব্স্থা নিয়ে লিখেছিলেন।
তাঁর কথা ছিল যে একসময়কার বিচিত্র বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ ব্লগটি আজকে করুণ অবস্থায় এসে পড়েছে এ ধরণের কপি-পেস্ট করার কারণে আজ আর এখানে আসার জন্য মন উৎসুক থাকে না। কখনো অভ্যাসবশতঃ এসে পড়লে মনে হয় "কেন এলাম, এই ছাই-পাঁশ দেখতে!"
মনে হয় যেন লঞ্চঘাটে এসে পড়েছি। এইদিকে দেখবো কেউ তার ভাঙা হাত, পঙ্গু পা বের করে ঘ্যান ঘ্যান করে চলেছে, "হার্ড ডিস্ক ভাইঙ্গা গ্যাছে, সাইয্য করেন। " ওইদিকে দেখবো আরেকজন তার বাগানের পোকাধরা বেগুন নিয়ে বসে হ্যা হ্যা করছে, "কবিতা লিখছি, পড়বেন না ক্যান?"
আরেকজন দেখেন তার ২ মেগা ফোন দিয়ে কিছু ছবি তুলে ফ্রেমে বাঁধিয়ে ঘুরছে, " আমি ফটোগ্রাফার হইচি। আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু কমেন্ট দান কইরা যান" আগে দেখতাম ফটো তুলতে হলে ফটো কি জিনিস তা শিখে তারপর মানুষ ছবি তুলতো।
কিন্তু এখন ডিজিটাল জমানায় সবাই
ফটোগ্রাফার। শেখার কিছু নাই। "আমি বাটন টিপতে জানি। তাইলেই তো হইলো, ছবি উঠতাছে কি সুন্দর!" সাধে কী আর কবি লিখেছিলেন, "সব শালা কবি হতে চায়। "
ওইদিকে আবার দেখেন টুপি-দাড়ি লাগায়া মাইকে দেদার ওয়াজ চলছে মসজিদের চান্দা তোলার জন্য।
কিছুক্ষণ পর মনে হয়, দরকার নাই বাবা, যাই গা। শরীর গান্দা হইয়া গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।