আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবিতে উত্তরবঙ্গ : দ্বিতীয় পর্ব- রংপুর

বুকের ভেতর বহু দূরের পথ...

রংপুরে দর্শনীয় স্থান অনেক রয়েছে। সময়ের অভাবে তাজহাট জমিদার বাড়ি আর চিকলির বিল ছাড়া আর কোথাও ঘুরতে পারিনি। অন্যান্য জায়গাগুলো হলো- বেগম রোকেয়ার বাড়ি, কেরামতীয়া মসজিদ, মিঠাপুকুর মসজিদ, ভিন্নজগত, খেয়া পার্ক প্রভৃতি। রংপুর জেলাটা আসলেই অনেক উন্নত। আমার কাছে দারুন লেগেছে শহরটা।

চিকলির বিল এ বিলটির বিশেষত্ব কী তা আমার জানা নেই। রপুরের মানুষ নাকি বিকেল বেলা হাওয়া খেতে এ বিলের ধারে হাঁটতে বেরোয়। বেশ বড় এ বিলটিতে টলটলে পরিস্কার পানি। চোখ জুড়িয়ে যায়। আমার বেশ লেগেছে।

তাজহাট জমিদার বাড়ি জমিদার বাড়ির প্রবেশদ্বার রংপুর জেলার তাজহাট, ডিমলা, কাকিলা, মহুলা, পীরগঞ্জ, বর্ধনকোট এলাকাসমূহে একসময় বেশ কিছু বিখ্যাত জমিদারবংশের বসতি ছিলো। শিখ থেকে হিন্দু ধর্মান্তরিত মান্নালাল রায় ছিলেন তাজহাট জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাঞ্জাব থেকে এ দেশে আসেন এবং তৎকালীন রংপুর জেলার জেলা সদর মাহীগঞ্জে বসতি স্থাপন করেন। ধারণা করা হয় তার আকর্ষনীয় ‘তাজ’ বা রত্নখচিত মুকুটের জন্যে জায়গাটির নামকরণ করা হয় তাজহাট। জীবদ্দশায় মান্নালাল অনেক ভূসম্পত্তির মালিক হন এবং রংপুরের অনেক জায়গাই নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেন।

মান্নালালের নাতি ধনপত লাল রায় বিয়ে করেন নয়া দুমকার রতন লাল রায়ের নাতনীকে। ধনপত লাল রায় পাঞ্জাব থেকে অভিবাসন গ্রহণ করেন। ধনপত রায়ের নাতি উপ্রেন্দ্র লাল রায় অল্প বয়েসে মৃত্যুবরণ করায় জমিদারির দায়িত্ব পান তার কাকা ‘মুনসেফ’ গিরিধারী লাল রায়। গিরিধালী নি:সন্তার হওয়ায় তিনি কোলকাতার জৈনিক গোবিন্দ লালকে দত্তক নেন। গোবিন্দলাল ১৮৭৯ সালে জমিদারি লাভ করেন।

তিনি খুব স্বাধীনচেতা ও জনপ্রিয় ছিলেন। ১১৮৫ সালে তিনি রাজা. ১৮৯২ সালে রাজা বাহাদুর এবং ১৮৯৬ সালে মহারাজা উপাধি গ্রহন করেন । ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে নিজ বাড়ির ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ১৯০৮ সালে গোবিন্দ লালের ছেলে মহারাজা কুমার গোপাল রায় প্রাসাদটি পুন:নির্মাণ করেন এবং জমিদারির দায়িত্ব নেন। প্রাসাদটির দৈর্ঘ্য ৭৬.২০ মিটার আর প্রশস্ত ১৫.২৪ মিটার।

এ প্রাসাদে মোট ২২টি কক্ষ আছে। প্রাসাদের কেন্দ্রীয় সিড়ির উভয় পাশে ইটালীয় মার্বেলের তৈরি রোমান দেব-দেবীর মূর্তি দ্বার সজ্জিত ছিলো যা এখন হারিয়ে গেছে। ১৯৮৪-১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রাসাদটি বাংলাদেশ সুপ্রম কোর্টের হাই কোর্ট বেঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রাসাদটিকে পুরাতীর্তি হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২০০৫ সালে প্রাসাদের একটি অংশে জাদুঘর নির্মান করা হয়।

জাদুঘরের ভেতরে চুরি করে তোলা মূর্তির ছবি রংপুরে ভালো হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল শাহ আমানত (জাহাজ কোম্পানীর মোড়), হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার (জাহাজ কোম্পানীর মোড়), হোটেল দি পার্ক (জাহাজ কোম্পানীর মোড়), হোটেল তিলোত্তমা (থানা রোড), হোটেল বিজয় (জেল রোড), আরডিআরএস (জেল রোড)। **ছবিতে উত্তরবঙ্গ : প্রথম পর্ব- বগুড়া** ***আমার যত ভ্রমণ ও ছবিব্লগ***

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.