আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৃথিবীর ভয়ঙ্কর সব সড়ক ! তবে সুন্দর !!

৭১ এর রাজাকার নিপাত যাক। আসুন আমরা সবাই দেশের রাজনৈতিক নেতাদের মত না হয়ে, দেশকে ভালোবাসি-দেশপ্রেমিক হই.......

আমাদের বাসার সামনের রাস্তাটাই তো খুব বিপজ্জনক। এরচেয়েও বিপজ্জনক রাস্তাও আছে যে সব রাস্তার আরেক নামই হলো ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনা। তবে ওই রাস্তাগুলো যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি সুন্দর। চলুন সে সব ভয়ঙ্কর রাস্তাগুলো দেখে আসি ।

বলিভিয়ার মৃত্যু সড়ক : দক্ষিণ আমেরিকার বিখ্যাত নেতা সাইমন বলিভারের দেশ এই বলিভিয়া। রাজধানীর নাম লাপাজ। আবার এই দেশের । লাপাজ থেকে আমাজন অঞ্চলের আঞ্চলিক রাজধানী করোইকা পর্যন্ত যে রাস্তাটি, তার নাম হলো ইউঙ্গাস। কিন্তু মানুষ রাস্তাটাকে ও-ই নামে একদমই ডাকে না।

সবাই রাস্তাটাকে ডাকে ডেথ রোড বা মৃত্যু সড়ক বলে। কারণ দুর্ঘটনা হওয়া তো ওই রাস্তায় একেবারেই মামুলি ঘটনা! প্রতি বছর ওই রাস্তায় গড়ে দুই-তিন শ’ মানুষ মারাই যায়! রাস্তাটির কয়েকটা জায়গায় আবার কতোগুলো অদ্ভূত সাইনবোর্ড আছে। ওসব জায়গায় নিয়ম করে গাড়ি নিচে পড়ে যায় তো, তাই! চিনের গুয়োলিয়াং সুড়ঙ্গ সড়ক : চিনের হুনান প্রদেশে অবস্থিত তাইহাং পর্বত। আর এই পর্বতের আশেপাশের গ্রামের মানুষদের এই পর্বত ঘুরে যাওয়া-আসা করতে তো খুবই সমস্যা হতো। তাই সবাই মিলে পর্বতের পেট চিরে একটা সুড়ঙ্গ পথই বানিয়ে ফেলে।

এই সুড়ঙ্গ পথটি একেবারে পাহাড়ের পেটের মাঝ দিয়ে এফোঁড় ওফোঁড় করে বেরিয়ে যায়নি বরং কিনারা ঘেঁষে পেটের সেলাইয়ের মতো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চলে গেছে। গ্রামের লোকেরা ১৯৭৭ সাল হতে ৫ বছর পরিশ্রম করে ১২০০ মিটার! এ রাস্তাটা বানিয়েছিল । চিলির রুট ৫ : চিলির এই রাস্তাটি আরিকা থেকে ইকুইক পর্যন্ত গেছে। রুট ৫ নামের এই রাস্তাটি কিন্তু খুবই বিখ্যাত। কারণ রাস্তাটি যেমন সুন্দর, তেমনি ভয়ঙ্কর।

পাহাড়ের মাঝ দিয়ে রাস্তাটা এমনভাবে এঁকেবেঁকে গেছে, এমনভাবে হঠাৎ হঠাৎ করে বাঁক ঘুরেছে, যে সামনের দিক থেকে আসা গাড়িটাকে একদম কাছে আসার আগে দেখাই যায় না। রাশিয়ার কাঁচা মহাসড়ক : মহাসড়ক বা হাইওয়ে-ই যদি হবে, তবে আর সেটা কাঁচা হয় কি করে। কাঁচা রাস্তা তো হয় গ্রামে। এখন তো সেখানেও সব রাস্তাও প্রায় পাকা হয়ে গেছে। আর রাশিয়ার মতো দেশে কিনা একটা আস্ত হাইওয়েই কাঁচা! আসলে ঘটনা হলো, সাইবেরিয়া থেকে ইয়াকুটস্ক পর্যন্ত এই রাস্তাটি বছরের ১০ মাসই বরফে ঢাকা থাকে।

পাকা হবে কিভাবে? আর তুষার ঢাকা কাঁচা রাস্তা কেমন বিপজ্জনক !আর ভয়ের কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বছরের ২ মাস আবার ওখানে বরফ যায় গলে যায়। তখন বরফ গলা পানিতে পুরো রাস্তা একেবারে কাদা হয়ে যায়। বর্ষাকালে আমাদের ঢাকা শহরের রাস্তা আর কি এমন কাদা হয় ? হাজার হোক, আমাদের রাস্তাগুলো তো সব পাকা-ই! ওখানে তখন কী যে লম্বা লম্বা সব জ্যাম হয়! হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে যায় রাস্তার দু’পাশে। হাজার হাজার গাড়ির ভীড়ে পুলিশ আর কতো পাহারা দেবে বলো।

তাই ডাকুরা মহানন্দে ডাকাতি করতে শুরু করে দেয়। তবেই বুঝুন কেমন বিপদ এই রাস্তায়! চীনের সিচুয়ান-তিব্বত মহাসড়ক : চায়নার মানে চীনের আরেক বিপজ্জনক রাস্তা এই সিচুয়ান-তিব্বত মহাসড়ক। সিচুয়ান রাজ্যের চেঙর” থেকে তিব্বত রাজ্যের রাজধানী লাসা পর্যন্ত এই রাস্তাটি প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। আর এই লম্বা রাস্তার দুইপাশে আছে রাজ্যের যতো পাহাড় আর নদী। গুনলে পাহাড় আছে মোটমাট ১৪টি, এদের প্রত্যেকটিই চার-পাঁচ হাজার মিটার উঁচু! আর নদীও আছে প্রায় ১ ডজন! আর নদীগুলোও যেমন তেমন নদী না, দাদু, জিনসা, ল্যান্টসাং, মুজিয়াং-য়ের মতো বিখ্যাত সব নদী।

এতো গেলো রাস্তাটার সৌন্দর্য্য। এই রাস্তাটার একটা নিয়মিত ঘটনা হলো ভূমিধ্বস আর পাথর ধ্বস। নরওয়ের ট্রলসটিগেন সড়ক : নরওয়ের এই রাস্তাটার নাম ট্রলসটিগেন হলেও সবাই কিন্তু রাস্তাটাকে অন্য একটা নামে চেনে। সবাই জানে এর নাম দানবীয় সিঁড়ি! একটা পাহাড়ি রাস্তা কতোটা খাঁড়া হলে তার নাম হয়ে যায় সিঁড়ি! তবে এই রাস্তাটা কিন্তু পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় একটা জায়গা। এই রাস্তা দেখার জন্য রীতিমতো আয়োজনই করে রাখা আছে।

রাস্তায় ঢুকলেই দেখা যােব এক পাশে একটা বড়ো খোলা জায়গা। ওটা গাড়ি পার্ক করে রাখার জন্য। ওখানে গাড়ি রেখে ১০ মিনিট হাঁটলেই একটা বারান্দার মতো জায়গায় পৌছে যাবে। আর সেখান থেকে প্রায় পুরো ট্রলসটিগেন রাস্তাটাই দেখা যায়। এই রাস্তাতে নাকি ১১টা খাঁড়া বাঁক আছে! তবে এই রাস্তাতে একবার সাহস করে গেলে কিন্তু একটা উপরি পাওনা আছে।

রাস্তাটার এক জায়গায় পাশে আছে ৩২০ মিটার উঁচু স্টিগফোসেন নামের এক জলপ্রপাত। ইতালীর স্টেলভিয়ো পাস রোড : ইতালির স্টেলভিয়ো পাস নামের এই রাস্তাটি অবশ্য অন্য রাস্তাগুলোর মতো তেমন ভয়ঙ্কর নয়। তবে এটা যতোটা কম ভয়ঙ্কর, ততোটাই বেশি সুন্দর। ইতালিয়ান পর্বতমালার গাঁ ঘেঁষে, সুইস বর্ডারের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে এগিয়ে গেছে রাস্তাটি। শুধু খাঁড়া বাঁকই আছে ৪৮টা! এবার কল্পনা করুন কেমন সুন্দর আর রোমাঞ্চকর রাস্তা এটা! সূত্রঃ ইন্টারনেট_


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.