হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায়
জীবিকার তাগিদে আমি ঢাকা এসেছি প্রায় ৪ বছর আগে। এর আগেও এসেছি তবে টা ছিল দুই একদিনের জন্য...হয়ত কারো সাথে দেখা করতে বা কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাময়িক আসা! চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে সেবারই প্রথম আসা। শান্তির শহর ছেড়ে অশান্তির এই নগরে এসে মনে হল ছোটকালের বন্ধুদের সাথে একটু দেখা করি। তাহলে হয়ত একটু ভালো লাগবে। এর মধ্যে একদিন ঢাকায় এল রাকিব।
দুইজনে ঠিক করলাম জয়ের বাসায় যাব। মোবাইলে ওর ঠিকানা নিলাম। মিরপুর ১০ এ বাস থেকে নেমে জয়ের বাসা খুজতে শুরু করলাম। ওর বাসা নম্বরটা আমার আজকে ঠিক মনে নেই। ধরা যাক, ওর বাসা নম্বর ছিল ৪২০।
জয়ের দেয়া লোকেশান অনুযায়ী আমি আর রাকিব ৪১৯ নম্বর বাসা পেলাম। ৪২১ নম্বর বাসাও খুজে পেলাম। কিন্তু শালা ৪২০ কে পাচ্ছিলাম না! কি আজিব সমস্যায় পড়া গেল! আমরা বুঝতে পারছিলাম যে খুব কাছাকাছি এসে আমাদের কোন ভুল হচ্ছে। জয়কে ফোন দিলাম। রিং হয়ে কেটে গেল।
নিশ্চিত ও তখন বাথরুমে ছিল!
যাই হোক শেষে রাকিব এক অভিনব কিন্তু কার্যকর বুদ্ধি বের করল।
পাশের এক চা-বিড়ির দোকানে গিয়ে সে দোকানদারকে বলল, ভাই, এইখানে সারাক্ষণ হাফপ্যান্ট পইরা ঘোরে, মাঝে মধ্যে খালি গায়েও থাকে, বিশাল মোটা পেটওয়ালা, আজব টাইপ ড্রেস পরে, দাড়ি চুলের গোডাউন, প্রচুর সিগারেট খায়...এমন কোন পোলা দেখছেন?
লোকটা একটু ভেবে বলল, ভাই ওনার শরীরের নানান জাইগাতে কি আংটা লাগান আছে?
আমি বললাম, চোখে একটা আছে, কিন্তু অন্য জায়গার খবর তো জানি না!
তাইলে ঠিক আছে। ওই বাসা দিয়া মাঝে মধ্যে এমন একটা জিনিস বের হয়। গিয়া দেখতে পারেন! বলল লোকটা।
বাসার দারোয়ানের সাথে কথা বলে আমরা নিশ্চিত হলাম যে এটাই জয়ের বাসা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।