আসুন আমরা সবাই একটি পরিচয়ে একাত্ব হয়। পরিচয়টি হলো 'বাংলাদেশী'।
ছাত্রলীগকর্মীর অভাবনীয় সাফল্য আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলে পড়া মর্যাদা পূনরুদ্ধারের মুহুর্মুহু আলোর ঝলকানী আর পাখীর কলকাকলীতে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঘুম ভাঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রদের। সূর্য উঁকি দেওয়ার আগেই হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মীর নোবেল প্রাইজ লাভের কায়দায় ঐ উন্মাদনা দেখে উদ্দীপ্ত হয়ে পড়েন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। বিশেষ করে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা এসে উঁকিযুকি মারতে থাকে।
কিছু ছাত্রী এলোপাতাড়িভাবে ঐহলের ছাত্রদের চুমু দিতে থাকে। এতে করে অনেক ছাত্রের মুখমণ্ডল লাল হয়ে যায় এবং তারা অভিলাষে মেতে উঠে।
রোকেয়া হল শাখা সুন্দরীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একজোট হয়ে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের ওপর এরুপ চুমু হামলা চালালে এমন অভিলাষী শারিরীক মিলনমলো শুরু হয়। কেউ কেই আবার সুন্দরীদের রুমে নিয়ে যেয়ে আনন্দফুর্তি করতে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সবাইকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরস্পরকে এভাবে চুমাতে পারে এমন আনন্দপূর্ন ঘটনা দেখে আমরা অভিভুত।
এ ঘটনায় জড়িতদের জন্য প্রশাসন বিশেষ পুরষ্কারের ব্যবস্থা করবে । ঘটনাত্তর ফলাফলের জন্য হাসপাতাল খরচ এবং ছাত্রলীগের এই অসম্ভব কৃতীত্বপূর্ণ ছেলেদের বীর্যে জন্ম নেয়া আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধা কোঠার মত আজীবন ফ্রিসেক্স সুবিধা, ভর্তি পরীক্ষা ছাড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং ফ্রি পড়াশোনার সুযোগ দেয়া হবে। এব্যাপারে আমাদের বাবার সুযোগ্য মেয়ে এবং সর্বকালের সেরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবো।
উপাচার্যের ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ফুল ও প্লাকার্ড নিয়ে ভিসি মহোদয়ের কার্যালয়ে যান এবং তার মেয়েকেও এই দলে শরীক হবার বিশেষ আমন্ত্রণ জানান।
প্রগতিশীল কিছু নবীন শিক্ষকও এই ধরনের সাফল্য ধরে রাখার জন্য ছাত্রলীগকে যেভাবে সাহায্য করা প্রয়োজন, যা যা করা প্রয়োজন করবেন বলে আসা প্রকাশ করেন।
একজন তার ছাত্র জীবনে এই ধরনের সাফল্য নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। আফসোস করেন, কেনো সেই সময় এমন স্বীকৃতি ছিলনা।
খবরে প্রকাশ শিক্ষামন্ত্রীও এই খবন শোনার পর আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি ৩৫০ কোটি টাকার নিরক্ষর দূরীকরণ সংক্রান্ত একটি বাজেট ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। উনি বলেছেন, কোপাকোপি চলবে।
আর এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। আমি ছাত্রলীগকে প্রতিষ্টিত করেই ছাড়বো। ওদের মধ্যে যে সৌর্যবীর্য দেখতে পাচ্ছি তা আমার ভাঙ্গা শরীরে নেই। আশা করি ওরা পারবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে দিবো এবং বলবো 'আপনার বেটা যেটা আমেরিকায় বসে করছে, ছাত্রলীগের নেতারা সেটা বাংলাদেশেই পাচ্ছে।
দেখুন না-- ডিজিটাল কাকে বলে। হা হা হা !
(সৌজন্যে প্রথম আলো) আসল খবরেন জন্য নীচের লিঙ্কে চাপ দিন। আর একবার থুথু ফেলতে ভুলবেন না যেন। মনে করুন ওটা আপনি ৩২ নম্বরের কোথাও ফেলছেন..........
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।