শ্রীপুর পৌর ছাত্রলীগের সদস্য আল আমিন (২৫) পৌর শহরের উজিলাবো গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের ছেলে।
ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে তার বড় ভাই শ্রীপুর উপজেলা প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান।
আগামী ১৫মার্চ অনুষ্ঠেয় শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল জলিলকে শুক্রবার র্যাব আটক করলে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তার সমর্থকরা।
জলিলকে ছেড়ে দেয়ার পর কর্মী-সমর্থকরা চলে গেলেও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শনিবার তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
আহত হন অন্তত ৫০জন।
গুলিবিদ্ধ আল আমিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সেখান থেকে ঢাকার উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এবং পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. কবির হোসেন ঘটনার দিনই একটি মামলা করেন। পুলিশ রোববার দুই অস্ত্রধারীসহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে শ্রীপুর থানার ওসি মো. আমীর হোসেন জানান।
নিহত আল আমিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা নেতাদের মতের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া আব্দুল জলিলের সমর্থক ছিলেন।
অপর প্রার্থী ইকবাল হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের গুলিতেই আল আমিন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ভাই আলমগীর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।