নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ছাত্রদলের হামলায় আহত ছাত্রলীগের আরেক কর্মী মো. শহীদুল্লাহ মিয়া (২৬) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। এ হামলায় এ নিয়ে দুজন নিহত হলেন।
নিহত শহীদুল্লাহ মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। তাঁর বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশাল উপজেলায়।
গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে একটি বর্ধিত সভা চলছিল। অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে এসে পৌর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে হামলা চালান। এরপর তাঁরা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শহীদুল্লাহ মিয়া ও ইয়াসিন মোল্লা গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিরোধী দলের ৮৪ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢিল ছোড়া হয়।
এতে ওই কার্যালয়ের সামনের দরজার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনার জের ধরে মনির হোসেনের লোকজন ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। পরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রদলের কর্মী রিপন ও রুবেল। ঘটনার পর তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। গতকাল সন্ধ্যায় রিপন ও রুবেল এলাকায় ফিরে এলে আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী তাঁদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গতকাল রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের বৈঠক চলছিল। হামলায় আনোয়ার হোসেন ও শহীদুল্লাহ নিহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলো ডটকমকে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, এখনো কোনো মামলা হয়নি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।