নব্বইয়ের দশকে ঘুর্নিঝড়ের পর উপকুলীয় বনাঞ্চল কর্ম সুচীর আওতায় এটিকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়। এ বনাঞ্চলটি চট্টগ্রাম শহরের পশ্চিমদিক হতে শুরু হয়ে ক্রমশ উত্তরদিকে বিস্তৃত হয়ে ফেনীর সোনাগাজি পর্যন্ত গিয়েছে। অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বা প্যারাবন।
যারা কখনো সুন্দরবন যায়নি,তারা এখানে এলে সুন্দরবনের কিছু নিশানা পাবেন। সুবিস্তৃত শ্বাসমুল সমৃদ্ধ বন,আরও কয়েক জাতের গাছ এই বনটিকে বৈচিত্র দিয়েছে।
বনবিভাগ বনটির পরিচর্যায় নিয়োজিত আছে।
আমরা আজকে বনটিতে যাই,বনটির ভেতরে অনেকটুকু আমরা ঘুরে আসি। মনে হয় রুপকথার কোন রাজ্যে ঘুরতে এসেছি। আরও অনেক পর্যটককে ঘুরতে দেখলাম। বনের প্রান্ত যেয়ে সাগরে মিসেছে।
সেখানে অসংখ্য জেলে নৌকা এসে ভীড়েছে তাদের ধরা মাছগুলো নিয়ে। অনেক পর্যটক সেখান থেকে সুলভে তাজা মাছ ক্রয় করছে। আমরাও মাছ কিনলাম।
একটা ১২-১৩কেজি ওজনের সামদ্রিক মোহনার পাঙ্গাস মাছ উঠেছিলো আমি তার দাম ২০০০টাকা পর্যন্ত বললাম,তারা দিলোনা। এবার একটা কোরাল মাছ দেখলাম ৯-১০কেজি হবে,এটিকেও তারা ৪৫০০টাকা বললো,পাঙ্গাসটি বললো ৩৫০০টাকা।
হতাশ হয়ে শুধু ফটো তুলে ক্ষান্ত হলাম। এরমাঝে পর্যটকরা এগুলোকে নিয়ে প্রায় নিলামে নেমে পড়লো,বুঝলাম এটি আর আমার কপালে নাই,তাই সড়ে পড়লাম।
গোধুলীবেলায় আমরা সেখান থেকে রওয়ানা দিলাম। জায়গাটি বেশ সুন্দর তাই ঠিক করলাম আবার আসব। পাঠকরাও আসবেন,আমন্ত্রন রইলো।
কিছু ছবি দিলাম।
ফিলিংসে আছে
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/tawfiqtuhin_1303584480_12-SDC11829__1600x1200_.JPG
বৈশাখের দাবদাহে বিশ্রামরত বনকর্মী
গোধুলীলগ্নে বাড়ী ফেরা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।