আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশে প্রথম যুগান্তকারী কর্মসূচী



২৩ এপ্রিল ২০১১ বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ আর অনলাইনে বই ছেড়ে দেয়াই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আগামী ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে চালু হতে যাচ্ছে ই-বুক (ebook) পদ্ধতি। যুগান্তকারী এ কর্মসূচীর সকল প্রস্তুতি শেষ। এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে কম্পিউটারের মাউস টিপে ই-বুকের উদ্বোধন করবেন। এ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজ ও আনন্দদায়ক পদ্ধতিতে বই পড়তে পারবে শিৰার্থীরা। অনলাইনে বই পাওয়া যাবে হুবহু বইয়ের মতো।

বিস্তৃত থাকবে সূচীপত্র। পছন্দের গল্প, কবিতা কিংবা ছবিই হোক তার ওপর ক্লিক করলেই বিষয়টি খুলে পড়তে পারবে যে কেউ। ইচ্ছে করলেই কপি করা যাবে লেখা, ছবি কিংবা তার যে কোন অংশ। ফাইল খুলে পছন্দের বিষয় সেভ করা যাবে। বিষয়ে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে বড় আকারে দেখা যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে এটি হবে একটি মাইলফলক। তবে এই পদৰেপের পর শিৰাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগের গুরম্নত্ব বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে গুরম্নত্ব দিতে হবে। এর আগে গত ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উৎসরের মধ্য দিয়ে ৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬ হাজার শিৰার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় ২৩ কোটি ২২ লাখ বিনামূল্যের নতুন বই।

এরপর সম্প্রতি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সত্মরের সকল পাঠ্যবই ছেড়ে দেয়া হয় অনলাইনে। দেশের যে কোন ব্যক্তি জাতীয় শিৰাক্রম ও পাঠ্যপুসত্মক বোর্ডের ওয়েবসাইট (http://www.nctb.gov.bd) থেকে যে কোন পাঠ্যবই ডাউনলোড করে নিতে পারছেন। দেশ-বিদেশের শিৰার্থী যারা জাতীয় পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা করছে তারা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই পেয়ে যাচ্ছে। এরপরই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইটের সবচেয়ে আধুনিক ও উত্তম পদ্ধতি 'বুক' চালু করার কাজে হাত দেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় দ্রম্নত শেষ হয় পুরো প্রক্রিয়া।

জানা গেছে, চলতি বছর থেকেই অত্যাধুনিক এই পদ্ধতির সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা। এ পদ্ধতির চালু হলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, প্রিন্ট কপির ইলেকট্রনিক ভার্সন হলো বনড়ড়শ. এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়েই হুবহু বই হাতে ধরে পড়ার মতো কম্পিউটারের বাটন টিপে বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে সহজ ও আনন্দদায়ক পদ্ধতিতে বই পড়ার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে বই পাওয়া যাবে হুবহু বইয়ের মতোই। অনলাইনে বইয়ের মতোই সূচীপত্র বিসত্মৃত থাকবে। পছন্দের বিষয় তা গল্প হোক, কবিতা হোক কিংবা ছবিই হোক তার ওপর ক্লিক করলেই বিষয়টি খুলে যাবে এবং পড়তে পারবে যে কেউ।

লেখা বা ছবি কিংবা তার যে কোন অংশ ইচ্ছে করলেই সেখান থেকে কপি করা যাবে। আবার ইচ্ছে করলেই নতুন ফাইল করে সেখানে পছন্দের পুরো বিষয় বা বিষয়ের অংশ সেভ করে রাখতে পারবে শিৰার্থীরা। বিষয় বা ছবির যে কোন অংশ বা বিষয়ে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে বড় আকারে তা দেখা যাবে। বিদ্যুতে আশার আলো ২৩ এপ্রিল ২০১১ বিদ্যুৎ খাতে আশার আলো উঁকি দিচ্ছে। গরমের তীব্রতা বেড়েছে।

বেড়েছে লোডশেডিং। তবে তা গত বছরের মতো অসহনীয় পর্যায়ে যায়নি। কারণ এরই মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে আরও ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। আর চলতি বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বরে নতুন আরও ১ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন বাড়বে।

ফলে বলা যায়, লোডশেডিংয়ের উৎপাত কমে যাবে অনেকটাই। সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৩ সালে লোডশেডিংমুক্ত হবে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। বাস্তবায়ন কাজ ধীর হলেও বর্তমান সরকারের শেষদিকে বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। সরকারের ঘোষণামতে, আগামী ২০১৩ সালে চাহিদা পূরণের পরও বিদ্যুৎ কিছুটা উদ্বৃত্ত থাকবে।

নতুন রুপে আওয়ামী লীগের দলীয় ওয়েবসাইট ২৩ এপ্রিল ২০১১ নতুন রুপে সাজানো হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় ওয়েবসাইট http://www.albd.org. অল্প কয়েক দিনের মধ্যে তা ব্যবহারকারীদের জন্য উম্মুক্ত করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট আরও তথ্য নির্ভর ও যুগোপযুগী করে সাজানো হয়েছে। কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আমিনী তার ধর্মব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ২২ এপ্রিল ২০১১ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমিনী যে ২০ হাজার মাদ্রাসার কথা উল্লেখ করেছেন, তার মালিক তিনি নন। এর বাইরে দেশে লাখ লাখ মাদ্রাসা ও শিক্ষার্থী আছে এবং আমিনীর আন্দোলনের সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত নয়। হানিফ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল এবং বেগম জিয়ার দুই ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে মামলা রয়েছে তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য আমিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হানিফ বলেন, নারী উন্নয়ন নীতিতে কোরআন সুন্নাহবিরোধী কিছু নেই। তার পরেও আমিনীরা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান। আন্দোলন-হরতালের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হানিফ জানান। হানিফ অভিযোগ করেন, আমিনী এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করছেন। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে বিতর্কিত করছেন।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তার ধর্মব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন। ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির ফজলুল হক আমিনী তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তার জবাবে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যা ও গুমের রাজনীতি করে না। উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীই ১৯৭১ সাল থেকে এ দেশে এ ধরনের অপরাজনীতি করে আসছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। হানিফ বলেন, আমিনী তার ছেলে সম্পর্কে যে অভিযোগ করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার যথাযথ জবাব দিয়েছেন। ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ এপ্রিল ২০১১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে দেশে শান্তি-শৃংখলা বিনষ্টের প্রচেষ্টাকারী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশের পীর মাশায়েখ, আলেম-ওলামা, মসজিদের ইমাম ও খতীবগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠী নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করছে। এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। তারা শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি নারীনীতি নিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পবিত্র ইসলাম ধর্মের স্বার্থে ধর্মের নামে বোমাবাজি, জঙ্গিবাদ বন্ধ করুন। ধর্মের নামে এসব করে ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করবেন না।

গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছীনের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আগত অ-রাজনৈতিক এ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক ওলামা-মাশায়েখ, পীর-আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যৰ মাওলানা সাব্বির আহমেদ মমতাজী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন আহমেদ, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মুখ্য সচিব এম এ করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে জমিয়াতুল মোদারেছীনের পৰ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পবিত্র কোরআন শরীফসহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ উপহার দেয়া হয়।

মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে কুরআন-সুন্নাহ তথা ইসলামী শরীয়াহ বিরোধী কোন আইন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। আমরা যতই ধর্ম পালন করি না কেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলেই একটি গোষ্ঠী ‘ইসলাম গেল, ইসলাম গেল’ বলে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে। অতীতেও তারা এ কাজ করেছে, এখনও করে চলেছে। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না ইনশালৱাহ। আলেম-ওলামাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কোমলমতি ও নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে তাদের হাতে পবিত্র কোরআন শরিফ ও লাঠি তুলে হরতাল ডেকে রাস্তায় নামানো হয়।

এটা কী ঠিক হয়েছে? কোন খাঁটি মুসলমান কি পবিত্র কোরআন শরিফের এ ধরনের অবমাননা করতে পারে? অনেক স্থানে ছাত্রদের তিন দিন না খেতে দেয়ার হুমকি দিয়ে ও জোর করে হরতালে রাস্তায় নামানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, প্রগতির ধর্ম। পরমত সহিঞ্চুতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের মূল শিক্ষা। ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রতা এবং বৈষ্যম্যের কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে গোটা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসীর দেশে পরিণত করেছিল।

বর্তমান সরকার মাত্র দু’বছরেই সেই দুর্নাম ঘুচাতে সৰম হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষার উন্নতি ও সমৃদ্ধি সাধনে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ব্যাপারে অনেক কাজ ইতিমধ্যে আমরা সম্পন্ন করেছি। সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.