আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুড়িয়ে যাওয়া কমায় আঙুর

নাজমুল ইসলাম মকবুল

বুড়িয়ে যাওয়া কমায় আঙুর আঙুরের মধ্যে নানা খাদ্য ও ভেষজগুণের সন্ধান পেয়েছেন চিকিত্সা বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। তারা এটিকে একদিকে খাদ্য হিসেবে অন্যদিকে ভেষজ শিল্পেও ব্যবহার করছেন। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই ফলটি পাওয়া যায়। এর প্রায় ৭৯ শতাংশই পানি। এছাড়া এতে ফ্রুকটোজ এবং খনিজ উপাদানসহ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইনকোনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি আঙুরে এক ধরনের লোহিত উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। ‘রেজভারেট্রল’ নামের এই রাসায়নিক উপাদান হৃিপণ্ড এবং রক্তনালীগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কম ক্যালোরিযুক্ত এ লোহিত উপাদান আয়ু বাড়ায় এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়। এছাড়া ভিটামিন এ, বি এবং সি ছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ, আয়োডিন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। আঙুরের ফ্রুকটোজ সহজে রক্তে প্রবেশ করতে পারে এবং একে গুরুত্বপূর্ণ শর্করা হিসেবে গণ্য করা হয়।

চিকিত্সা ও পুষ্টিবিদরা আঙুর, খেজুর এবং কিশমিশকে পূর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করেন। এ তিনটি খাদ্য থেকে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যায়। আঙুরের মতো ফল দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে আঙুর বা কিশমিশ খেয়ে মানুষ দৈহিক ও মানসিক পরিশ্রমের জন্য প্রচুর শক্তি পেতে পারেন। আঙুর হতাশা প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

বিশেষ করে দুঃখ-বেদনা, মানসিক পীড়ন ও বিষণ্নতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আঙুর বিশেষ ফলদায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আধুনিককালের চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা কালো আঙুরে হতাশা বা বিষণ্নতা প্রতিরোধক উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। এ ধরনের আঙুরে পটাশিয়াম আছে। আর তাই হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এ আঙুর। বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গও দূর করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম।

এই উপাদান বিষণ্নতা দূর করে সুখ এবং আনন্দের একটি অনুভূতি সৃষ্টি করে। আঙুর রক্ত পরিশোধন, উচ্চরক্তচাপ, ডায়রিয়া ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ত্বকের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মুখে ভেষজ বা ভেষজ নয় এমন ‘মাস্ক’ ব্যবহার করা হয়। আঙুরের নির্যাস থেকে সহজেই প্রাকৃতিক ‘মাস্ক’ তৈরি করা যেতে পারে। এ ধরনের ‘মাস্ক’ ব্যবহারে মুখের বলি রেখা দূর হতে পারে।

আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ এবং কিশমিশে ৬০ শতাংশ ফ্রুকটোজ রয়েছে। ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত ‘ক্যামেস্ট্রি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ নামের সাময়িকীতে বলা হয়েছে, কিশমিশে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান আছে যা আলঝেইমার্স রোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে। বীচিবিহীন আঙুর থেকে তৈরি কিশমিশে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে । সূত্র : ইন্টারনেট, আমার দেশ Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।