স্বপ্নযাত্রা
পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে ৫ হাজার কোটি টাকার বাংলাদেশ ফান্ড অনুমোদন করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
সোমবার এসইসির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, "সভায় আইসিবির প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ফান্ডের ট্রাস্ট ডিড ও ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এগ্রিমেন্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। "
ট্রাস্টি চুক্তি নিবন্ধন করে এসইসিতে জমা দেওয়ার পর ফান্ডটি বাজারে আসবে বলে জানান তিনি।
এই ফান্ডের 'ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান' হিসাবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বাজারে আসা প্রতিটি নতুন আইপিওর ১০ ভাগ বাংলাদেশ ফান্ডের জন্যে রাখার প্রস্তাব করেছিল আইসিবি। কিন্তু এসইসি তা অনুমোদন করেনি। এছাড়া নিবন্ধন চার্জ ও বার্ষিক নবায়ন ফি'র ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় চাওয়া হয়েছিল। এসইসি তাতেও রাজি হয়নি।
এক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী ফি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এসইসি।
ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) গত ২৯ মার্চ বাংলাদেশ ফান্ড অনুমোদনের জন্য এসইসিতে আবেদন করে।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ ফান্ড গঠনের জন্য আইসিবি ও সহ-উদ্যোক্তাদের অনুমোদন পাওয়া গেছে। "
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষাপটে বাজারের স্থিতিশীলতা বাড়াতে বাংলাদেশ ফান্ড নামের পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই 'ওপেন এন্ডেড মিউচ্যুয়াল ফান্ড' গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় আইসিবি।
ফায়েকুজ্জামান জানান, ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা।
মার্কেট লট হবে ১০০০ ইউনিটের। এই ফান্ডের ৫০ শতাংশ পুঁজিবাজারে, বাকি অর্ধেক মুদ্রাবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। তবে পরিস্থিতির বিবেচনায় এই হার কম বেশি হতে পারে।
সাইফুর রহমান জানান, বিধি অনুযায়ী যে কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হয়। এ কারণে বাংলাদেশ ফান্ডের ক্ষেত্রেও ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এসইসি।
বাকি ২৫ শতাংশ যে কোনো খাতে বিনিয়োগ করা যাবে।
মূল 'স্পন্সর' হিসেবে আইসিবি প্রাথমিকভাবে এই ফান্ডে ৫০০ কোটি টাকার যোগান দেবে। এ ছাড়া সহ উদ্যোক্তা হিসাবে সোনালী ব্যাংক ২০০ কোটি, জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি, রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১০০ কোটি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ও জীবন বীমা কর্পোরেশন মিলে ৩০০ কোটি টাকার তহবিল যোগাবে।
বাকি অর্থ পরবর্তীতে ওপেন মার্কেটের মাধ্যমে (আইপিও নয়) সংগ্রহ করা হবে। এ কারণে বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোক্তা ও প্রবাসীদের এই ফান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
খবর: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।