রোজা শুরু হলেই দেশে যে কমেডি প্রতিবছর দেখি আওয়ামিলিগ বিএনপি এক দল আরেক দলকে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত করে যদিও কেউ যায়না ...... আমারও খুব ইচ্ছা একবার মাননীয় শেখ হাসিনা মাননীয় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত করব , জানা কথা তারা আসবেনা তাই সমস্যা নাই কিন্তু ওনাদের কিভাব
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ করিম গত শনিবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের খবর নরেন্দ্র মোদী তার নিজের ওয়েবসাইটে তিনটি ছবিসহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ আগ্রহ থেকেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দৈনিক মানবজমিনের কলকাতা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
"২০০২ সালের দাঙ্গার জন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে গোটা বিশ্বের কাছে নিন্দিত সেখানে বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশের হাইকমিশনার তার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। সম্প্রতি নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনও মোদীর মুসলিম বিরোধীতার নীতির প্রবল সমালোচনা করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন।
বিজেপি অবশ্য তাদের দলের সম্ভাব্য ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীকে তুলে ধরতে সক্রিয় হয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর ওয়েব সাইট সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরে নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ করিম। মোদী তাকে আজকচ্ছ্ব এলাকায় রণোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দেবার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বাংলাদেশের দূত অবশ্য নিজে থেকেই মোদীর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। গত শনিবারই এই বৈঠকের খবর মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার নিজের ওয়েবসাইটে তিনটি ছবি সহ প্রকাশ করে দিয়েছেন।
এই খবরে বলা হয়েছে, সমান্তরাল সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের নিরিখে বাংলাদেশ ও গুজরাটের মধ্যে সহযোগিতা প্রসার ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। গত শনিবার অন্য একটি অনুষ্ঠানে গুজরাটে গিয়ে তারিক এ করিম মোদীর সঙ্গে এই বৈঠকটি করেন। বৈঠকের সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব কে কৈলাসনাথন উপস্থিত ছিলেন। কি কি বিষয় নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা নাগেলেও সরকারিভাবে শুধু জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছিল টেক্সটাইল, জাহাজ ও জাহাজভাঙ্গা শিল্পেরমত বিষয়ও।
করিম জানিয়েছেন, কটন-টেক্সটাইল, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজভাঙ্গাশিল্পে বাংলাদেশে যথেষ্ট সম্ভোবনা রয়েছে। গুজরাট ও কটন-টেক্সটাইল ও জাহাজনির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে অগ্রগন্য। তাই দুই অঞ্চলের পারষ্পরিক স্বার্থে হাত মেলানোর সুযোগ রয়েছে। তবে কুনীতিকদের মতে, এই বৈঠক আসলে ছিল স্থল সীমান্তচুক্তি নিয়ে বিজেপির সমর্থন চাওয়ার শেষ প্রয়াস।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মণি ভারত সফরে এসে বিজেপির রাজ্যসভার নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করে কোনও প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারেন নি।
এমনকি শেষমুহূর্ত পর্যন্ত সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করে তা করানো যায় নি। এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদীকে শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করেই বাংলাদেশের দূতের এই বৈঠক বলে রাজনৈতিক মহলও মনে করছেন।
এদিকে কলকাতা থেকেপ্রকাশিত দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লেখা হয়েছে, বিজেপির সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের দূত দেখা করেতাকে যুক্তি দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে যে, মুসলিম প্রধান প্রতিবেশির কাছেও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মত মোদীর গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে চলেছে। টেলিগ্রাফ একজন বাংলাদেশের কুটনীতিকের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছে, নিছক গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নয়, মোদীর সঙ্গে করিমের এই অস্বাভাবিক বৈঠকের পেছনেকাজ করেছে গভীর কুটনৈতিক কারণ। অথচ ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম নিধনের সময় এই মোদী কোনও পদক্ষেপ নেননি।
টেলিগ্রাফ মন্তব্য করেছে, এই বৈঠক বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগকে কতটা সাহায্য করবে তা বলা না গেলেও নরেন্দ্র মোদীর ওয়েবসাইটে এই সৌজন্য সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়েছে। অনুমান করা যায় আগামী দিনে নির্বাচনী প্রচারেও এই সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরা বলা হবে যে, শুধু ভারতের মুসলমানদের কাছেই নয়, ভারতের বাইরের মুসলমানদের কাছেও নরেন্দ্র মোদী সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।