আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহান সৃষ্টিকর্তা "ইবলিশ শয়তানকে" ধরে আনার নির্দেশ দিলেন!

নিজের কথা কেমনে লিখি...

পৃথিবীতে শয়তানের দৌরাত্ন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবকুল যারপর নাই অতিষ্ট। শয়তানের উৎপাত থেকে মুক্তির জন্য চারদিকে মিছিল, মিটিং, মহাসমাবেশ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন চলছে। স্বর্গীয় দূতদের নিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা জরুরী বৈঠক তলব করলেন। সিদ্ধান্ত হলো বড় শয়তানকে ধরে আনতে হবে এখনই।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বপ্রথম যুদ্ধ বিদ্ধস্ত লিবিয়ায় পাঠানো হলো স্বর্গীয় দূতদের একটি কমান্ডো ইউনিটকে। কিন্তু ইবলিশ শয়তানকে খুজেঁ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন তারা। সৃষ্টিকর্তা নির্দেশ দিলেন- সমস্ত পৃথিবী তন্ন তন্ন করে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী ইবলিশ শয়তানকে খুজে আনতে হবে। আবার মর্তে এলেন স্বর্গীয় দূতের দল। মিশর, তিউনেশিয়া, বাহরাইন, ইরান, জাপান, রাশিয়া, এমেরিকা, ভারত-সমস্ত পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খোজা হলো-কিন্তু ইবলিশ শয়তানকে পাওয়া গেল না।

মাথা নিচু করে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধালো- প্রভূ, আমরা আপনার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। কিন্তু কোথাও ইবলিশের দেখা পেলাম না। মহান প্রভূ রাগত স্বরে বললেন- তোমরা পৃথিবীর প্রতিটি ইঞ্চি মাটি তন্ন তন্ন করে খুজে দেখেছ? স্বর্গীয় দূতের জবাব- হে মহান প্রভূ, পৃথিবীর ছোট্ট একটা দেশ বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও খুজতে বাকি রাখি নাই। সৃষ্টিকর্তা বললেন- বাংলাদেশে কেন খুজে দেখনি? দূতেরা বললো- প্রভূ, ওখানকার মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। শয়তান ওখানে থাকার সম্ভাবনা নাই।

প্রভূ বললেন- যাও ওখানেও খুজে এসো। স্বর্গীয় দূত বাংলাদেশে এলো, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথরিয়া তন্ন তন্ন করে খুজেও শয়তানের টিকিটিরও নাগাল পেলনা। ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাসার সামনে বসে জিরিয়ে নিচ্ছে। তারা খেয়াল করলো এখানে বিভিন্ন ধরণের মানুষ আসা যাওয়া করছে। কৌতুহলী হয়ে তারা বাসার ভিতরে ঢুকে দেখলো- ইবলিশ শয়তান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পা টিপছে! সাথে সাথে বন্ধি করে ইবলিশকে স্রষ্টার কাছে নিয়ে যাওয়া হলো।

স্বর্গীয় দূতেরা স্রষ্টার কাছে ঘটনা আদ্যোপান্ত বিবরণ দিলেন। মহান স্রষ্টা ইবলিশকে জিজ্ঞাসা করলেন- ওখানে কি করছিলে? ইবলিশ শয়তান বললো- মহান প্রভূ, সারা পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অত্যন্ত পরিশ্রম করে আমি আদম সন্তানদের পথভ্রষ্ট করি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটা চেয়ারে বসে আঙ্গুলের ইশারায় সেখানকার প্রতিটি মানুষকে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। তার ইঙ্গিতেই হয়- হত্যা, গুম, অপহরণ, জেল-জুলুম, আলেম-ওলামাদের নির্যাতন, কোরআন বিরোধী আইন, মসজিদের অবমাননা, ইমাম প্রশিক্ষণে নগ্ন নৃত্য। প্রভূ! তার শয়তানির কাছে আমি হেরে গেছি।

তাই তাকে গুরু মেনে তার আজীবন সেবা করার ব্রত নিয়ে পা টিপতে ছিলাম। ঘটনার সূত্রপাত জানতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.