অবৈধ বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে ঢাকা। পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবিযুক্ত বিলবোর্ড বসানো হচ্ছে যেখানে সেখানে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না কেউ। পণ্যের প্রসার ঘটাতে এসব বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড বসানো হলেও, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও রাজউকের এ সংক্রান্ত কোন নীতিমালা নেই। এসব বিলবোর্ড শুধু অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণই নয়, কোথাও কোথাও এসব বিলবোর্ড পথচারীদের ও যান চলাচলেও বিঘœ সৃষ্টি করছে।
অপরিকল্পিতভাবে ছেয়ে যাওয়া এসব বিলবোর্ড একটু ঝড়-বৃষ্টিতে জীবনহানির ঝুঁকি তৈরী করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, ওলি-গলি, বাসা-বাড়ির ছাদ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার সামনে অনুমোদন ছাড়াই বিলবোর্ড বসিয়ে ভাড়া দিচ্ছে সরকারি দলের নামধারী প্রভাবশালী ক্যাডাররা।
রাজধানীর মহাখালী গাউসুল আজম জামে মসজিদের সামনে একটি বিলবোর্ডে টানানো হয় অর্ধনগ্ন নারীদেহের কুরুচিপূর্ণ অস্লিল ছবি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাইফ স্টাইল নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে এ কুরুচিপূর্ণ বিলবোর্ডটি স্থাপন করে। বিজ্ঞাপন-বিলবোর্ডের মাধ্যমে অশ্ল¬ীলতা ও বেহায়াপনার প্রচার তরুণ-যুবকদের চরিত্র ধ্বংসের কারণ।
সর্বোপরি দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের মন-মগজ, চিন্তা-চেতনায় বেপর্দা-বেহায়াপনাটাকে স্বাভাবিক করে দেয়া হচ্ছে। নারীকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্মান করতে শিক্ষা দেয়। যে কোনো ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সর্বাগ্রে। কিন্তু এসব কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলতার কারণে নারীরা সে সম্মান থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পণ্য উৎপাদনকারীদের প্রধান মাধ্যম বিজ্ঞাপন।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। টিভি, রেডিও, পত্রিকা, পথের পাশে বিলবোর্ড, দেয়াল, বাসের বডি, বাড়ীর ছাদ, সুউচ্চ ভবনের ছাদ, ওভার ব্রিজের পিলার, গাছপালা, লাইট পোস্ট, সবখানে ছেয়ে গেছে বিজ্ঞাপন। আবাসিক ও অনাবাসিক যে কোন ভবনের ছাদে বিজ্ঞাপনী ফলক বা ডিসপ্লে¬ বোর্ড স্থাপনের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এখনো পর্যন্ত কোন নীতিমালা প্রণয়ন করেনি। ঢাকায় ভবনের ছাদে বিজ্ঞাপন বোর্ডের প্রচলন শুরু হয়েছে দু’দশকেরও বেশি সময় আগে। অথচ এতদিন পর্যন্ত রাজউক এ বিষয়ে নজর দেয়নি।
সৌন্দর্যহানি কিংবা ভবনটি বিলবোর্ডের চাপে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে কিনা এ নিয়েও রাজউকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।