আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেনিসে যখন তারকা

চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি।

আজকের ইত্তেফাকের লিংক : Click This Link ছোটবেলা থেকেই জেমির টেনিস খেলার প্রতি ছিল তীব্র আগ্রহ। তার বয়স যখন ১১, তখনই তিনি অনুর্ধ্ব ১২ ক্যাটাগরিতে রানার আপ হয়েছিলেন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন প্রেস্টিজিয়াস জুনিয়ার অরেঞ্জ বোল। এর ঠিক এক বছর পরে, ১৩ বছর বয়সে তিনি জুনিয়র ক্যাটাগরি থেকে সিলেক্ট হন, দ্য লেইস স্কুলের ন্যাশনাল কোচের তত্ত্বাবধানে।

ছোটকাল থেকেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছে তার অভিজ্ঞতা। আর এই টেনিস কোর্টে থেকেই আজ তারকা বনে গেছেন। অন্য প্রজন্মের এই টেনিস তারকার জীবনের গল্প নিয়ে আমাদের এবারের মূল ফিচার। লিখেছেন প্রাঞ্জল সেলিম ক্রিকেট, ফুটবলের ভিড়ে আরো একটি খেলা আছে যার সৌন্দর্য দর্শক মাতাতে পারে সমান তালে। ছোট একটি টেনিস বল ও ব্যাডমিন্টন ব্যাট দিয়ে খেলা যায় এ খেলাটি।

খেলাটির নাম ‘লন টেনিস’। আর এ খেলার কথা এলে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে জেমি নামে স্কটিস এক তরুণের ছবি। তিনি এ খেলার একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব বলা যায়। দ্বৈতভাবে খেলার জন্য তিনি বেশ আলোচিত। ২০০৭ সালে ‘জেলেনা জ্যাংককোভিক’-এর সাথে মিলে উইমব্লিডন মিক্সড টাইটেল জিতেছিলেন।

পুরো নাম জেমি রবার্ট মুড়ি। ১৯৮৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেট ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড রাজ্যে জন্ম এই প্রতিভাবান টেনিস তারকার। শুরুর জীবন জেমির জন্ম ও বেড়ে ওঠা হয় স্কটল্যান্ডের ডানব্লেন শহরে। ছোটবেলা থেকেই তার টেনিস খেলার প্রতি ছিল তীব্র আগ্রহ। তার বয়স যখন ১১, তখনই তিনি অনুর্ধ্ব ১২ ক্যাটাগরিতে রানার আপ হয়েছিলেন।

পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন প্রেস্টিজিয়াস জুনিয়ার অরেঞ্জ বোল। এর ঠিক এক বছর পরে, ১৩ বছর বয়সে তিনি জুনিয়র ক্যাটাগরি থেকে সিলেক্ট হন, দ্য লেইস স্কুলের ন্যাশনাল কোচের তত্ত্বাবধানে। ছোটকাল থেকেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছে তার অভিজ্ঞতা। সে বিষয়ে তার ছোট ভাই বলেছেন, ‘দ্য এলটিএ রুইন্ড হিম হয়েন হি ওয়েন্ট টু কেমব্রিজ’। একবাক্যে, তিনি কেমব্রিজ মাতিয়েছিলেন।

২০০৪ সালে তিনি তার ভাইয়ের সাথে মিলে পার্টনারশিপ গড়েছিলেন, জুনিয়র ইউএস ওপেন সেমি ফাইনাল গেম-এ। তার দাদা, রয় এরস্কিন ছিলেন একজন প্রফেশনাল ফুটবলার। তিনি টিম ম্যাচ খেলতেন স্কটিস ফুটবল টিমগুলোতে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যেমন ব্যক্তিগত পর্যায়ে লিজেল হুবার-এর সাথে তার সম্পর্ক বেশ ভালো। তারা আবার তাদের কর্মক্ষেত্রেও খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

২০০৭-এর ইউএস ওপেন গেমের পার্টনার ছিলেন এরা দুজন। এরপর ২০১০-এর অক্টোবরে এসে জুটি বাঁধেন অ্যালেজান্দ্রা গুটিরিজের সাথে, তবে এবার টেনিস খেলার জন্য নয়। বাস্তব জীবনে। অ্যালেজান্দ্রা পেশায় একজন ওয়েট্রেস ছিলেন। ক্যারিয়ার ২০০৬ সাল, অংশ নেন এটিপি ডাবল ট্যুর।

এবং জুলাইয়ের শেষদিকে মুড়ি ও আমেরিকান এক খেলোয়াড় এরিক ফাইনালের জন্য পার্টনার হন। তাদের দ্বৈত এ টিমটিকে বলা হয় সেট অব ওয়ার্ল্ড টপ-র্যাংকড টিমের মধ্যে একটি। এরপর সেপ্টেম্বরে তিনি তার ছোট ভাইয়ের সাথে টিম করে খেলতে যান ব্যাংকক টুর্নামেন্ট। সেখানে অ্যান্ডি রাম ও জোনাথান এরলিচ টিমকে হারিয়ে বিজয়ীর আসনটি ছিনিয়ে নেন। ২০০৭ সাল, ফেব্রুয়ারি মাস।

টি এন্ড টি চ্যালেঞ্জার টুর্নামেন্ট-এ তিনি ও তার এক পার্টনার মিলে তাদের প্রথম ডাবল টাইটেল দাবি করেন। তারা সে সময় সেই ট্যুরের বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর মর্ডান কেগান চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশ নিয়েছিলেন তারা। কার এ বিঝয়ের কারণে তিনি এটিপি ডাবল র্যাংকিং-এ ৫০তম স্থানে চলে আসেন। সে বছরেরই মার্চ মাসে গ্রেট ব্রিটেনের ডেভিস কাপ টিসের পক্ষ থেকে তার ডাক আসে।

সেখানে তিনি নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডাবল খেলেছিলেন। তাদের ফাইনাল গেমটি ছিল ডাচদের সাথে। ডাবল গেম জেতার পর জেলেনার সাথে একহারে বহুদিন পার্টনারশিপ মেইন্টেইন করেন তিনি। ইউএস ওপেন গেম-এ পুরো ১০ পয়েন্ট নিয়েই ফাইনালে উঠেছিলেন তারা। ২০০৮ সাল, সময়টা খুব একটা ভালো যায়নি তার।

ম্যাক্সের সাথে তার পার্টনারশিপ ভালো কিছু বয়ে আনেনি তাদের জন্য। ডিলারি বিচ টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে যান তিনি। তারা টানা চার ম্যাচ খেলে পয়েন্ট তুলেছিলেন মাত্র ১। সে বছরই অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কাপ। সেখানেও একই অবস্থা ছিল তাদের।

দেখা যেত, ম্যাক্সকে বাদ দিয়ে তার জেতার সম্ভবনা থাকত অনেক বেশি। সে বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত টানা তাদের ভাগ্যে পরাজয় লেখা ছিল। এরপর তিনি সিংগেল খেলার জন্য ওয়াইল্ডকার্ড-এর জন্য আবেদন করেন। এবং কার্ড নিয়ে তিনি একা খেলেন কোয়ালিফাইড রাউন্ডগুলোতে। হাতে হাতে ফল পেয়েছিলেন তিনি।

২০০৮ সালের শেষদিকের ঘটনা সেটি। কিন্তু ফাইনালে পোল্যান্ডের সাথে ম্যাচে হেরে যান তিনি। ২০০৯ সাল, সিডনি ট্যুরে গিয়ে তার ভাগ্য ফিরে আসে। তিনি তার পুরোনো সাথীদের পেয়ে যান সেখানে। সেবছরটি ছিল তার জন্য স্বপ্নের মতো।

বছরের শেষ পর্যন্ত সেই টুর্নামেন্ট নিয়ে মেতেছিলেন তিনি। ২০১০ সাল, এটিপি চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিলের সাউ পাওলোতে। কলোম্বিয়াতে পরাজয়ের পর এবার জিতে সেই হারের যেন প্রতিশোধ নিলেন। এবং এই টুর্নামেন্ট চলাকালে পরিচয় হয় লউরা রবসনের সাথে। ২০১০ সালের পুরোটা তার কেটেছিল সিজন জয়ের আনন্দ নিয়ে।

২০১১ সাল, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টুর্নামেন্ট। সেখানে তার সাথী হিসেবে থাকবে আলেক্সান্দ্রা পিয়া নামের এক তরুণ। তিনিও টেনিস জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এবারের সিজনে জেমির সাফল্য তাকে সেরা ৫০ জন টেনিস খেলোয়াড়দের মাঝে ধরে রাখবে এমনটাই সবার কামনা। প্রাঞ্জল সেলিম


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।