আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জটিল কিডনী ও হৃদ্‌রোগের রুগী

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

ধরা যাক, আজকে এই ২০১১ সালে আপনি জটিল কিডনি ও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মানে এই দাঁড়ায় যে আজ থেকে প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে আপনার এই রোগগুলোর প্রাথমিক লক্ষন দেখা দিতে শুরু করেছিল। আর আমাদের সাধারন ব্যবহারিক জ্ঞান বলে যে এই রোগগুলি একাকী আসে না। এদের অনেক সঙ্গীসাথী থাকে।

সেই গুলো রোগের আগমনবার্তা আরো আগে থেকেই চাউর করতে থাকে। এখন আপনি যদি এমন কোন কর্মে নিয়োজিত থাকেন, যেখানে আপনাকে প্রতি বছরই শারিরীক পরীক্ষা দিয়ে চাকুরী টিকিয়ে রাখতে হয়, তা হলে তো বলা যায় আপনি অনেক আগে থেকেই সেই চাকুরীতে অযোগ্য হয়ে পড়বেন। কেননা, এই রোগগুলি শরীরে বাসা বাঁধলে আপনি আপনাআপনিই কাহিল হতে থাকবেন, সাংবাৎসরিক কোন শারিরীক প্রশিক্ষণমূলক কাজে অংশগ্রহনও করতে পারবেন না। সোজা কথা, আপনাকে হিসাব করে দেখলে, ২০০৬ বা ২০০৭ সালের দিকেই বেশ নীচু পদ থেকেই বিদায় নিতে হত। কিন্তু তা যখন ঘটে নাই, তার মানে দাঁড়াচ্ছে, আপনি আসলে সে সময়ে সুস্থ ছিলেন, এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করে গেছেন।

এমন কি চাকুরী টিকিয়ে রাখবার মত সামর্থ্যও আপনার ছিল। আমাদের সাবেক সেনাপ্রধান তাঁর এক পত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির কাছে তাঁর জটিল কিডনি এবং হৃদ্‌রোগের বাহানা দিয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন, এবং লিখিত পত্র দিয়েছেন। আসলে এই সরকারের উচিৎ হয়নি ইয়াজ-ফখর-মঈন – এই ত্রয়ীদের দেশ ত্যাগের অনুমতি দেয়ার। এখন পর্যন্ত ইয়াজ সাহেব দেশে আছেন, আর বাকি দুইজনই সরকারের ওপর মহলের ইশারায় এবং সহযোগীতায় দেশ ত্যাগ করেছেন। আর এখন, তাঁদের কীর্তিগুলো যখন উদ্বঘাটিত হচ্ছে, সে সময়ে তাঁদের দিকে দিকে খুঁজেও পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না।

এই পলায়নের ঘটনার মাঝ দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা এক সময়ে হবু-ক্ষমতাসীন হিসাবে যাদের পিঠ চুল্কে দিয়েছিলেন, সেই দলটিই ক্ষমতাসীন হয়ে এখন ওই ত্রয়ীর পিঠ চুল্কে দিচ্ছে। তাই দেশে থেকেও ইয়াজ সাহেব তাঁর কীর্তির জন্য জিজ্ঞাসিত হচ্ছেন না, আর ওই দ্বয়ীর কথা তো মুখেই আনা হয় না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।