সকল আশ্বাস আর ওয়াদাকে তুড়ি মেরে আরো দুই দুইটি বাংলাদেশীর লাশে সীমান্ত রক্তাত্ত করলো ভারতীয় বাহিনী। অথচ গত ৭ জানুয়ারি ফেলানীর মৃত্যুর ১২ দিন পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাই (গোপাল কৃষ্ণ পিল্লাই) সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর গত ১২ মার্চ
দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সীমান্তে নিরস্ত্র বেসামরিক বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধে প্রাণঘাতী নয়—এমন অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কতৃপক্ষ। এমন সিন্ধান্তে সিমান্তবর্তী মানুষেরা কিছুটা স্বস্তি বোধ করেছিল। কিন্তু হায় ঠিক এর এক মাসেরও কম সময়ে গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ইউনুস নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়।
আর গতকাল নওগাঁর পোরশা সীমান্তে রোববার ভোরে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত হন একজন।
তাহলে সীমান্তে বেসামরিক বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধে প্রাণঘাতী নয়—এমন অস্ত্র ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত ভারতীয়রা নিয়েছিল সেটা কি ফাঁকা বুলি?? ভারত অতীতে যেমন তাদের কথা রাখেনি, ভবিষ্যতেও রাখবে বলে মনে হয়না। আর কোনো দিন রাখবেওনা। যা করার তা আমাদেরই করতে হবে।
সবার আগে দিপুমণির মত মেরুদণ্ডহীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাদ দিতে হবে। এরপর বাড়াতে হবে আমাদের জাতীয় ঐক্য। তরুণদের দেশের ইস্যুতে এক না করা গেলে একসময় আমরা যে ভারতের অঙ্গরাজ্য হবোনা তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।