আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুনিয়ার মুরুব্বীগণ

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

আসেন দেখি ইতিহাসের দুনিয়ার কান্ডারীগুলা কারা!বর্তমানেও এদের ছাড়া নতুন কোন ইতিহাস তৈরী হবে না তা জোড় দিয়াই বলি। যুক্তরাষ্ট্র- চলমান সময়ের একমাত্র পরাশক্তি। এরে চ্যালেন্জ করার কেউ নাই। এদের নিয়া বলার মত মানুষ ও বিষয়ের অভাব নাই তাই বলবো না। যুক্তরাজ্য- সর্বশেষ পরাশক্তি এক সময়ের সাম্রাজ্যবাদী।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমতা হারায়। এদের নিয়াও সবাই সবকিছু জানেন। রাশিয়া-১৫ শতকে পিটার দ্যা গ্রেট এর হাত ধরে সভ্য জগতে প্রবেশ কিন্তু পুর্ব ও উত্তর থেকে ইউরোপকে অনেক দিন দৌড়ের উপর রাখছিল। প্রকৃতির অভিশাপে এমন এক জায়গায় এদের অবস্থান যে সাম্রাজ্যবাদী স্বপ্ন দেখারও সাহস এদের হয় নাই। কারন, পশ্চিমে জার্মান আর দক্ষিনে তুর্কি ফ্রান্স- এক সময়ের সাম্রাজ্যবাদি।

কিন্তু সব কুতুবের এলাকা ইউরোপে জন্ম হওয়ায় একক শক্তি কখনোই হতে পারে নাই। তবুও আফ্রিকানরা জানে কি রকম ভয়াবহ এরা। আজীবন জার্মানদের কাছে মাইর খাইয়া শুরু করে কিন্তু পরে জিতে! চীন- গোপন টেরর। দেয়াল তুইলা দিয়া কিভাবে নিজেদের আড়ালে রাখা যায় ঐ চিন্তা এরাই প্রথম করছে। কিন্তু জাপানীদের বিরাট ডরায় আজীবন।

শুধু মাত্র জাপানরে কন্ট্রোলে রাখার জন্য চীনরে বর্তমানে ক্ষমতার ভাগ দেয়া হইছে। জার্মানী-অস্ট্রিয়ার শাষনে আজীবন ছিল কিন্তু বিসমার্ক ১৮৭২ এ জার্মান গঠন করার পর থেকেই বুঝা গেছে যে এরা কি জিনিষ! সাম্রাজ্যবাদী বলা যায় না এদের তবুও চলতি ফ্যাশন ধরার জন্য নামিবিয়ার মত আফ্রিকান দেশ দখল করছিল। এরা যদি ২টা যুদ্ধ না হারতো তাইলে দেশে দেশে আজও চাবুকের বাড়ি নিয়মিত থাকতো! জাপান-বিরাট ট্যেরর! ছোট মরিছের ঝাল বেশি বোধহয় এদের দেইখাই বলা হয়! এট্টুক একটা দ্যাশ তার কি কাহিনী। পুরা চীন,কুরিয়া সবগুলারে পিটাইয়া অস্থির কইরা রাখতো! এরা শুধু যোগ্য সন্মান আদায়ের জন্য ইউরোপরে বহু্ত থ্রেট করছে। পরে তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে রাশিয়ারে পোষাইয়া বিশ্বশক্তি নাম অর্জন করছে।

তবে বিরাট পাপী জাত। যত বড় বড় গজব সব ওদের কপালে কারন একমাত্র ওরাই ঐ ক্ষতি দ্রুত কাটাইয়া উঠতে সক্ষম! তুরস্ক- ১৫শ থেকে ১৮শ পর্যন্ত এরা ক্ষমতা দেখাইছে! মরোক্কো থেকে সৌদি আরব আর বসনিয়া থেকে চীন ও ভারত পর্যন্ত এদের দৌড় ছিল। এরা ফর্মে না উঠলে আমেরিকা খুজা হইতো না কারন এরা যখন স্থল পথ বন্ধ কইরা দিল তখনই ইউরুপিয়ানরা সমুদ্র পথে আমাদের দেশে পৌছানের রাস্তা খুজছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হারার পরেও ফ্রান্স,ইটালী,আর্মেনিয়া,গ্রিস,অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সবগুলার সাথে ফ্রন্টে যুদ্ধ কইরা এক ইন্চিও জায়গা ছাড়ে নাই। ( এদের কেন রাখলাম বর্তমানের লিস্টে তা নিয়া প্রশ্ন হইতে পারে তবে এদের রাখার কারন হইলো এরা জিওপলিটিক্যাল স্ট্রাটেজী সহ নানান বিবেচনায় মুরুব্বী হবার যোগ্য! তবে বর্তমানের তুলনায় এদের অতীত ইতিহাসই বেশী প্রাধান্য) ইটালি,হল্যান্ড,স্পেন,পর্তুগাল,ডেনমার্ক,নরওয়ে,অস্ট্রিয়া, এগুলাও কিছু কিছু ঘটনা ঘটাইছে আবার আরব কিছু দেশের কথা বলতে পারেন তবে যা করছে সবই কিন্তু মুরুব্বীদের সাপোর্টের ভিতরে থাইকাই।

হ্যা,ইরান কাহিনী ছিল কিন্তু ওরা খেলোয়াড় ছিল খ্রিষ্ট পুর্ব সময়ের এরপর খালি ডিফেন্সিভ খেলছে। তবে সফল খেউলাড় কারন কেউ ওদের দখল করতে চায়ও নাই পারেও নাই। ভাড়ত আগামী ৯০ বছরেও মুরুব্বী হইতে পারবো না। আফ্রিকার ব্যাপারে বলার কিছু নাই কারন এর এক অংশ মুসলিমরা অন্য অংশ খ্রিষ্টানরা গিয়া যা করার করছে। ক্যাপ্টেন কুকুর অস্টেলিয়া একটা গজব! মানুষ দিনে দিনে টের পাইবো।

দক্ষিন আমেরিকার লোকজন শান্তশিষ্ট আর কুসংস্কার প্রচুর। ঐখানে যা কিছু দেখেন সব করছে ইউরোপিয়ানরা। আসলে বিশ্বে জায়গাই দুইটা ইউরোপ আর এশিয়া!!! বাকি সব দুধ-ভাত! এরাই হইলো বর্তমান বিশ্বের পাওয়ার হাউস! এরা ছাড়া বাকি সবাই যুদি আমরন অনশনেও যায় তবুও কোনকিছু অর্জনে সফল হবে কি না সন্দেহ আছে তবে ইনারা কিছু চাইলে ঐটা যে বিশেষ বিবেচনায় বিবেচিত হইবে ইহাতে কুন সন্দেহই নাই। আগে পরে ঘটনা যত ঘটছে সব এরাই ঘটাইছে। বাকি সবাই ছিল খেলার দুধ-ভাত!!!এরা আগেও ছিল এখনো আছে আগামীতেও থাকবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।