ভালকে সমর্থন এবং খারাপকে বর্জন করতে শিখুন ।
ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। বিজেপি (মঞ্জুর) বর্তমান চেয়ারম্যান ও এম পি । চার দলীয় জোটের অন্যতম শরীক। ভোলা থেকে নির্বাচিত।
পার্থ পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছে। জ্বালাময়ী সে বক্তব্য তাতে সন্দেহ নেই। আমারও ভালো লেগেছে খুব। তবে পাছা চুলকোতে চুলকোতে আর জুস খেতে খেতে হাসছিলাম খুব। এই পার্থ, ধানমন্ডি স্টার কাবাব এলাকার স্থানীয় লোকজন বা গুলশান ১ থেকে শুরু করে ভেতরের দিকের লোকজনকে একটু জিজ্ঞেশ করে দেখবেন, এই পার্থের ভয়ে ছেলে পেলেরা কাঁপত।
আজো কাঁপে ভোলাতে অনেক মানুষ। শুধু টাকার জোর আর অস্ত্রের জোরে। কি নেই পার্থ’র??? যদি আমি কম করে, মানে একেবারে খুবই কম করেও ধরি, তারপরেও আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি পার্থ আর তার পরিবার কম করে হলেও ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার মালিক। এরশাদ যখন জেলে যায় তখন নাজিউর রহমান মঞ্জুরের কাছে বিশ্বাস করে তার দূর্নীতির ২,৫০০ কোটি টাকা জিম্মা রেখে যায়। কারন সব চোরদের ভেতর এরশাদের সবচাইতে বিশ্বাসী চোর ছিলো কাজী জাফর আর নাজিউর রহমান মঞ্জুর।
এই মঞ্জুর সেই ২,৫০০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছিলো দিনের আলোতেই। কিচ্ছু করতে পারেনি এরশাদ। দিনের আলোতে, বন্ধুদের আড্ডায় এই নাজিউরের ছোট ছেলে অঞ্জনই মানুষকে বলে বেড়াত “এরাশাদের পাছায় সোয়াপ করে আমার বাপ টাকা বের করে এনেছে"
এই পার্থ তার গুলশানের আইন কলেজ ব্রিটিশ স্কুল অব ল তে মেয়েদের নিয়ে কি কি করেছে তা দয়া করে বাংলাদেশে অবস্থানকারী ভোদাই মানুষ দয়া করে একটু জেনে নিবেন। শুধু জেনে নিবেন, তারই কলিগ ব্যারিস্টার রাহাত খলিলের বুকে কি করে পিস্তল ঠেকিয়ে অপমান করেছিলো এই পার্থ। পার্থের খালাতো ভাই ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান সেসব ঘটনার জলজ্যান্ত সাক্ষী।
লন্ডন স্কুল অফ ল এন্ড স্টাডিস কলেজের গুলশান শাখাতে গেলেই ব্যারিস্টার তৌফিক কে পেয়ে যাবেন আপ্নারা।
আজ পার্থ বিনিয়োগ নিয়ে, বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে বড় বড় কথা বলে? আজ পার্থ শেয়ার বাজার নিয়ে বড় বড় কথা বলে? আজ পার্থ দুই লাইনের কথার মধ্যে এক লাইন ভুল ইংরেজী বলে বাল সাজতে চায়? আজ পার্থ এত চটক চটক কথা বলে সংসদে?
কই ছিলো তার এত বড় গলা যখন তিনি ২০০২-২০০৩ সালের দিকে লন্ডনে ট্রিনিটি কলেজের পেছনে ৩০০ হাজার পাউন্ড বিনিয়োগ করেছিলেন?
কই ছিলো তার এই বড় বড় কথা যখন তিনি বাংলাদেশে প্রথম ভলভো গাড়িড় শো রুম বানিয়ে এম পিদের টাকা খাইয়ে শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে দেশের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব চুরি করেছিলো?
কই ছিলো পার্থর এত সত্যবাদীর রূপ যখন তার বাবা মেয়র আর মন্ত্রী হয়ে শত শত কোটি টাকা চুরি করেছিলো?
কোথায় থেকে এলো পার্থর এত গুলো প্রাসাদপ্রম বাড়ী, বাগান বাড়ী, রেস্ট হাউস? কোথায় থেকে এলো পার্থর এত ব্যাবসা? ঢাকার ডি আইটি এক্সটেনশন রোডের অফিসে তার জাহাজ ব্যাবসার অফিস? কারখানা, গার্মেন্টস?
এই পার্থ তার বিয়েতেই শুধু উপহার পেয়েছিলো ৪৭ টি গাড়ি। কারা দিয়েছিলো এসব গাড়ি? কয়জন সাধু আর সন্যাসী ছিলো ওই আপ্যায়িতদের তালিকায়??? যেই উপহার দাতাদের ভেতর আজকের সাল্মান এফ রহমানও ছিলেন যাকে তিনি এখন "দরবেশ" নামে আখ্যায়িত করেন আর বলে বেড়ান চোর।
লন্ডনের বেথনাল গ্রীন আর আমেরিকার ওয়াশিংটনে কোথায় থেকে তার এতগুলো বাড়ী কিনার টাকা এলো?
কি এই পার্থর মোরালিটি যখন তারই ছাত্রী এরিনাকে নিয়ে সিংগাপুরে গিয়ে ভ্রমণ করে আসে তার স্ত্রীকে ফেলে?
কোথায় থাকে তার মোরালিটি যখন তার শ্বশুর শেখ হেলাল বিখ্যাত চোর হয়, কোথায় থাকে
তার মোরালিটি যখন রাতের আঁধারে তারেক রহমানকে ৩০ কোটি টাকা গিফট হিসেবে দেয়?
আজ সেই জনগণ, ওহ্…সেই জণগণ…যারা কিনা আমার লেখাতে আমাকে চুমোয় চুমোয় সিক্ত করে আমারই গুণগান গেয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়েছিলো আজ তারাই এই দূর্নীতিবাজ ও চোরকে নিয়ে উল্লাসে মাতম তোলে???? আজ তারাই বলে, “সময়ের সাহসী সন্তান” “সাবাশ” “হিরো” “গুরু” পার্থ ভাই এগিয়ে চলেন” “উনার প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিৎ” এসব বলে!!!!!!!!
হায়…এই লজ্জা আর কষ্ট আমি কই রাখি??? এত সস্তা কেন আমাদের ইমোশন? জাতি হিসেবে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে নামতে আমরা কি এতটাই নেমেছি যে পার্থর মত একজন চোরের ছেলে, পার্থর মত একজন দূর্নিতীবাজ সংসদে দাঁড়িয়ে এক বাক্য বাংলা আর আরেক বাক্য ইংরেজী আওড়ালেই সে সম্রাট হয়ে যায়??? ইংরেজী শুনলে আমাদের দন্ডটি কেন এত দ্রুত দাঁড়িয়ে যায় বলতে পারেন কেউ??? কারো কি জানা আছে?? আমার জানা নেই। আমি জানতে চাইনা, জানাতেও চাই না।
নাগরিক ব্লগ বলেন বা পৃথিবীর অন্যসব ব্লগ বলেন, আমার সারা জীবনের এটাই শেষ লেখা হয়ত। আমি যা বলতে এসেছিলাম তা বলেছি। আমি যা জানাতে এসেছি তা জানিয়েছি। আমি যা বুঝাতে চেয়েছিলাম তা বুঝিয়েছি। আমি যা দেখাতে চেয়েছিলাম তা দেখিয়েছি।
আমি যা করতে চেয়েছিলাম আমি তা করেছি।
আজকে শুধু একটা কথা জেনে ব্লগ জগৎ থেকে সারাজীবনের জন্য বিদায় নিচ্ছি। তা হলো,
আগামী ৫০০ বছরেও আমার মত চোতমারানী বাঙালী মানুষ হবে না। এরা শুধু নিজের রক্ত ঝরিয়ে ধর্ষিত হবে, ক্ষুদা পেলে পশুর মত খাবে আর হাগবে আর টাকার জোর ওয়ালা খাঙ্কীর পোলাদের দেখলে তারই প্রণাম করবে। এদের জীবন যাবে এভাবেই।
প্রনাম আর কুর্নিশ করতে করতে। এদেরকে ৫ মিনিট আগে ধর্ষন করলে ৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের মাথায় সেই ধর্ষনকারীদের কাছেই নিজেদের পাছা পেতে দিবে। এরা সব ভুলে যায়। এরা সব কিছু ভুলে যেতে চায়।
তাই সেসব আবাল চোদা জনগনের একজন হয়েই আজ বলে উঠি- জয় পার্থ, জয় তারেক, জয়া সজীব ওয়াজেদ, জয় মাহী।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। কেননা, রোগাক্রান্ত জনগনকে রাজনীতিবিদ নামের পশুরা ধর্ষন করে আনন্দ পান না।
http://www.nagorikblog.com/node/4357
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।