আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যারিস্টার ফখরুল চার দিনের রিমান্ডে

পুলিশের রিমান্ড ও আসামির জামিন আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম এমদাদুল হক রোববার এই আদেশ দেন।
ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আসামির আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
রোববার আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সানউল্লাহ মিয়া।


শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে হাকিম এমদাদুল হক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ নভেম্বর সেগুন বাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ১০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী এবং ১৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেন বিচারকের কাছে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুলের পরিকল্পনায় তার সহকারী মেহেদী হাসান পেনড্রাইভের মাধ্যমে রায়ের খসড়া কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন বলে ওই দুই আসামি আদালতকে জানিয়েছেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।  
গণমাধ্যমে ওই স্বীকারোক্তি প্রকাশের পর ফখরুল হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেও বিফল হন।


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তবে রায়ের আগেই বিএনপি নেতার স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের সামনে ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত ‘রায়ের কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।
এরপর তুমুল আলোচনার মধ্যে ট্রাইব্যুনাল স্বীকার করে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এর মধ্যে ফারুক ও নয়ন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অন্য আসামি ফখরুলের সহকারী মেহেদী এখনো পলাতক।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.