সব কিছু যদি সহজ করে প্রকাশ করা যেত !
রক্তের অক্ষরে নয়, কলমের কালিতেও নয়, লেখা হবে আগুনের কালিতে !!!
আমরা সাধারণত লেখার জন্য কলম ব্যবহার করি আবার অনেক সময় পেন্সিল দিয়েও লিখি । আজ আমরা লিখব আগুনের সাহায্য। কি করে লিখব ? চলুন দেখি -
দরকার :
১। একটি বিকার ।
২।
১০ গ্রাম সোডিয়াম নাইট্রেট ।
৩। ফিল্টার পেপার/ব্লটিং পেপার/পোর্চমেন্ট পেপার ।
৪। শুষ্ককারী যন্ত্র (হেয়ার ড্রাইয়ার হলে চলবে)
৫।
নাড়ন কাঠি/গ্লাস রড ।
৬। লাইটার
৭। ছোট রং তুলি ।
৮।
পানি ।
৯। একটি পেন্সিল ।
১০। শুকনা কাঠি ।
সতর্কতা :
১। চোখে গগলস পড়ে নিতে হবে ।
২। যে কক্ষে পরীক্ষা করা হবে সে কক্ষের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ভাল হতে হবে কারণ পরীক্ষার
সময় প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন হতে পারে ।
কি করতে হবে :
প্রথম ধাপ :
বিকারের মধে সামান্য পরিমাণ (কমপক্ষে ১০ মি. লি.) পানি নিয়ে তার মধ্যে ১০ গ্রাম সোডিয়াম নাইট্রেট যোগ করে নাড়ন কাঠির সাহায্যে নাড়িয়ে তা ভালভাবে দ্রবীভূত করি ।
তারপর উহাতে আর একটু সোডিয়াম নাইট্রেট যোগ করে নাড়াই । যদি তা দ্রবীভূত না হয় তবে আর যোগ করতে হবে না । কিন্তু যদি দ্রবীভূত হয় তখন আর একটু যোগ করতে হবে । এভাবে দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে ।
দ্বিতীয় ধাপ :
এখন রং তুলি ঐ দ্রবণের মধ্যে ডুবিয়ে ডুবিয়ে পেপারেরর মধ্যে যা লিখতে চাই তা লিখি ।
দরকার হলে লেখাগুলোর উপর দিয়ে আবার লিখতে হবে যেন সব জায়গায় ভালভাবে দ্রবণ পড়ে । খেয়াল রাখতে হবে যেন লেখার মধ্যে একটি বর্ণের সাথে অপর বর্ণের যোগসূত্র থাকে অর্থাৎ কোন ফাঁকা যেন না থাকে এবং পেপারের একেবারে প্রান্ত থেকে লেখা শুরু করতে হবে । যেখান থেকে লেখা শুরু করব সেখানে পেন্সিল দিয়ে একটি চিহ্ন দিতয়ে রাখতে হবে । এরপর পেপারটিকে শুকিয়ে নেই । এতে লেখাগুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে ।
তৃতীয় ধাপ :
এখন শুকনো কাঠিটি লাইটার দিয়ে একপ্রান্তে আগুন জ্বালাই এবং ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দেই । তখন কাঠিটি শিখাহীন লালাভ জ্বলতে থাকবে স্ফুলিঙ্গের মত । এই লালাভ স্ফুলিঙ্গকে পেপারের যেখান থেকে লেখা শুরু করেছি সেখানে ভালভাবে স্পর্শ করে ধরি। তখন পেপারে লালাভ স্ফুলিঙ্গের আকারে আগুন লেখা বরাবর চলতে থাকবে এবং ধোঁয়া তৈরি হবে । ফলে কাগজে কাল পোড়া দাগ পড়বে যেরকম লেখা হয়েছিল ঠিক সেরকম এবং লেখাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।