সব কিছু যদি সহজ করে প্রকাশ করা যেত !
বিষয় : মন্ত্রের সাহয্যে মোমবাতি নেভানো
একটি জলন্ত মোমবাতি আমরা বিভিন্নভাবে নেভাতে পারি । যেমন -ফুঁ দিয়ে , বাতাস করে, পানি ঢেলে ইত্যাদি । কিন্তু আজ আমরা মোমবাতির আগুন নিভাব মন্ত্রের সাহায্যে । চলৃন দেখি -
দরকার :
১। একটি কাঁচের বোল ।
২। একটি লাইটার বা ম্যাচ ।
৩। একটি ছোট সাইজের মোমবাতি ।
৪।
১০০ মি.লি. ভিনেগার ।
৫। ০.৫ টেবিল চামচ সোডা (বাই কার্বেনট) ।
সতর্কতা : এই পরীক্ষাটি ১৩ বছরের নীচে কেউ করতে যাবেন না এবং সাথে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক কাউকে রাখবেন ।
কি করবেন :
১।
প্রথমে মোমবাতিটি বোলের মাঝখানে রাখুন ।
২। তারপর ১০০ মি.লি. ভিনেগার বোলের মধ্যে সতর্কতার সহিত ঢালুন । একটু
মিষ্টি গন্ধ পেতে পারেন এতে ভয় পাবেন না ।
৩।
এরপর লাইটারের সাহায্যে মোমবাতিটি জ্বালিয়ে দিন ।
৪। তারপর ০.৫ টেবিল চামচ সোডা ঢেলে দিন এবং একটু দূরে সরে গিয়ে নীচের
মন্ত্রগুলো মনে মনে পড়ে হাতের মুঠোয় ফুঁ দিয়ে বোলের দিকে ছুঁড়ে মারুন ।
মন্ত্র : সামহোয়ারইন ব্লগ আমার প্রিয় ব্লগ । এখানকার মডারেটর, ব্লগার ও কমেন্টার সবাই সবার খুবই আপন ।
নিভে যাক হিংসুটের মনের হিংসার আগুন । ''
(এসময় বোলের মধ্যে প্রচন্ড বুদবুদ সৃষ্টি হতে পারে । এতে ভয় পাবার কিছু নেই । )
মন্ত্র কিভাবে কাজ করে :
আমরা জানি অক্সিজেন গ্যাস আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস আগুন নেভাতে সাহায্য করে । মন্ত্রের প্রভাবে বোলের মধ্যে রাখা ভিনেগার (দূর্বল এসিড) ও সোডা (বাই কর্বনেট) এর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং অদৃশ্য কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
এগ্যাস যখন মোমবাতির আগুনের শিখার চারপাশে ঘিরে ধরে তখন অক্সিজেনের অভাবে মোমবাতির আগুন নিভে যায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।