আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাই ভাই মিলে লড়াই

প্রতিটা মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে একবারের জন্য হলেও পাখি হওয়ার ইচ্ছে জাগে। ‘পাখি যদি হতাম আমি, ঘুরতাম সারা বিশ্ব রে!’ -ছড়াকাররা এমন করে পাখি হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন। সে বাসনা ছড়িয়ে গেছে আমাদের প্রাণেও। পাখি হয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে দেখার বাসনা থেকেই

বিশ্ব ক্রিকেটে দুই ভাই মিলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই নতুন কিছু নয়। কেনিয়া ও পাকিস্তান দলে আবার একসঙ্গে খেলেছেন তিন ভাই।

বিশ্বকাপে ভাইয়ে ভাইয়ে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার নজিরও পুরোনো। বিশ্বকাপে ভাইদের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি অস্ট্রেলিয়ার দুই জমজ স্টিভ ওয়াহ এবং মার্ক ওয়াহ। এবারের বিশ্বকাপেও আছেন ৭ জোড়া ভাই। পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ড দলে খেলছেন একজোড়া করে ভাই। কেনিয়া দলে আছেন দুইজোড়া ভাই।

এবারের বিশ্বকাপের এই ৭ জোড়া ভাইকে নিয়ে এ আয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসি ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের শুরুতে দলে না থাকলেও ডগ বোলিঞ্জারের ইনজুরির কল্যাণে যোগ দিয়েছেন দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো অবশ্য ইনজুরিতে ফিরে গেছেন দেশে। তবুও তাকে রাখা হল এ আয়োজনে। কামরান আকমল-উমর আকমল কামরান-উমর দু ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান ৮ বছর।

দুজনই ব্যাটসম্যান। বড়জন উইকেটকিপার। দুজনই বর্তমান পাকিস্তান দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। বড়জন কামরান আকমল। জন্ম ১৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩।

ওয়ানডে অভিষেক ২০০২ সালের ২৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ছোট উমর আকমলের জন্ম ২৬ মে, ১৯৯০। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দিয়েছেন বছর দেড়েক হলো। ২০০৯ সালের ১ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক। মাত্র চতুর্থ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে কম বয়সে ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড করেন।

দলের টপ অর্ডার ব্যাটনম্যান উমর। কামরান দলের প্রয়োজনে একাধিক পজিশনে খেলে অভ্যস্ত। ওপেনিংয়ে বেশ সাবলীল কামরান। ২০০৪-এ ভিবি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন। উইকেটের পেছনে মাঝে মধ্যেই তাকে ভুগতে দেখা যায়।

বল যেনো তার হাতে ধরা দিতেই চায় না। কোনো কোনো ম্যাচে একাধিক ক্যাচ পড়ে তার হাত থেকে। এইতো কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে উইকেটের পেছনে তার হাত থেকে একাধিক ক্যাচ পড়াকেই দায়ী করা হয়েছে। এটাই বড় কলঙ্ক কামরানের প্রতিভায়। উমর ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত।

১৩৪ ওয়ানডে খেলে কামরানের সংগ্রহ ২৮৩৫ রান। গড় ২৭.২৫। সেঞ্চুরি ৫টি, হাফ সেঞ্চুরি ১০টি। সর্বোচ্চ ১২৪। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়েছেন ১৩১টি এবং স্ট্যাম্পিং করেছেন ২৩টি।

চলতি বিশ্বকাপ কামরানের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ১৬০ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ৫৫। ক্যাচ ৬টি এবং স্ট্যাম্পিং ৪টি। উমর খেলেছেন ৩৪টি ওয়ানডে।

৩৪.৮৩ গড়ে রান করেছেন ১০৪৫। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০২। সেঞ্চুরি এই একটিই, হাফ সেঞ্চুরি ৬টি। চলতি বিশ্বকাপ উমরের প্রথম। ৪টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬৭ রান।

সর্বোচ্চ ৭১, বিশ্বকাপ অভিষেকেই কেনিয়ার বিপক্ষে করেছেন এই স্কোর। ওই ম্যাচে কামরানও করেছিলেন ৫৫ রান। বিশ্বকাপের একই ম্যাচে ভ্রাতৃদ্বয়ের জোড়া ফিফটি সম্ভবত আর নেই। মাত্র একটি ম্যাচেই দু ভাই একসঙ্গে উইকেটে ছিলেন। দুজনে করেছিলেন ২৭ রান।

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম-নাথান ম্যাককালাম দু ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মোটে একবছর ২৬ দিন। বড়জনের চেয়ে ছোটজনই বেশি জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ। বড়জনের ৭ বছর আগে ছোটজনের ওয়ানডে অভিষেক। ওয়ানডেতে উইকেটের সামনে-পেছনে দুজায়গাতেই বড় ভরসা ছোট ভাই। বড় ভাইও দলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা দিনে দিনে বাড়িয়ে চলেছেন।

নিউজিল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ দলে খেলছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও নাথান ম্যাককালাম। ছোট ব্রেন্ডনের জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১। ওয়ানডে অভিষেক ২০০২ সালের ১৭ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেট কিপিংয়েও দুর্দান্ত। নিউজিল্যান্ড দলে উইকেট কিপার হিসেবে যেমন অপরিহার্য তেমন ওপেনিং ব্যাটিংয়েও অপরিহার্য ব্রেন্ডন।

১৮৯টি ওয়ানডেতে ৪০০৬ রান করেছেন ব্রেন্ডন। গড় ২৯.২৪। সেঞ্চুরি ৩টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ১৯টি। সর্বোচ্চ ১৬৬। উইকেটের পেছনে নিয়েছেন ২১১ ক্যাচ এবং স্ট্যাম্পিং ১৪টি।

২০০৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন ব্রেন্ডন। এবার খেলছেন তৃতীয় বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে ২২টি ম্যাচ খেলে ৩৮.৩০ গড়ে একটি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ সেঞ্চুরিতে ব্রেন্ডনের রান ৩৮৩। সর্বোচ্চ ইনিংস ১০১ রানের। ক্যাচ ২৭টি এবং ২টি স্ট্যাপিং করেছেন বিশ্বকাপে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে।

বড় ভাই নাথানের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০। ওয়ানডে অভিষেক ২০০৯-এর ৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মূলত অফ স্পিনার নাথান। টেল এন্ডে ব্যাটও চালান ভালোই। ২৪টি ওয়ানডেতে ২৩.৮৮ গড়ে রান করেছেন ৪৩০।

হাফ সেঞ্চুরি আছে দুটি। সর্বোচ্চ ৬৫। অফ স্পিনে উইকেট পেয়েছেন ১৫টি। সেরা বোলিং ৩৫ রানে ৩ উইকেট। এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন নাথান।

চার ম্যাচে একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৭১ রান। সর্বোচ্চ ৫২ রান। উইকেট পেয়েছেন দুটি। সেরা ২৮ রানে ২ উইকেট। ওয়ানডেতে নাথান-ব্রেন্ডন কখনোই জুটি বাঁধতে পারেন নি।

মাইক হাসি-ডেভিড হাসি দু ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র দুই বছর। বয়সের ব্যবধানের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে ওয়ানডেতে অভিষেক দু ভাইয়ের। বড়-ছোট ক্রম অনুযায়ীই এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বড় ভাই মাইক হাসিকে ডাকা হয় মিস্টার ক্রিকেট নামে। অস্ট্রেলিয়া দলে মিস্টার ক্রিকেটের এতটাই গ্রহণযোগ্যতা যে ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটতে পড়ায় রীতিমত হা-হুতাশ শুরু হয়েছিলে অস্ট্রেলিয়ায়।

ইনজুরি কাটিয়ে আবার ফিরেছেন দলে এবং হাজির হয়েছেন উপমহাদেশের এবারের বিশ্বকাপ লড়াইয়ে। ডগ বোলিঞ্জারের ইনজুরির সুবাদে তাকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেই খেলেছেন ক্যামিও ইনিংস। মাইক হাসি বাঁহাতি মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ভালো ফিনিশার হিসেবেও তার বেশ খ্যাতি আছে।

ডেভিড হাসি অস্ট্রেলিয়া দলে এখনো জায়গা পাকা করতে পারেন নি। ডানহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ স্পিনও করেন। মাইক হাসির জন্ম ২৭ মে, ১৯৭৫। ওয়ানডে অভিষেক ২০০৪ এর ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে। ১৫৩ ওয়ানডেতে ৫১.৯৮ গড়ে ৩৪ হাফ সেঞ্চুরি ও ২ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৪৫২৩।

সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৯। পারটাইম বোলার হিসেবে মিডিয়াম পেসে দুটো উইকেট শিকার করেছেন। রিকি পন্টিংয়ের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বও দিয়েছেন মাইক। এবার মাইক খেলছেন দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে ১৩টি ম্যাচে ২৩.৫০ গড়ে মাইকের রান ১৪১।

হাফ সেঞ্চুরি একটিই, এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ নেমেই সেটি করেছেন। ডেভিড হাসির জন্ম ১৫ জুলাই, ১৯৭৭। ওয়ানডে অভিষেক ২০০৮ এর ৪ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ৩৩টি ওয়ানডে খেলে ৩১.৪০ গড়ে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৮৪৮। সর্বোচ্চ ১১১।

ডানহাতি অফ স্পিনে উইকেপ পেয়েছেন ১১টি। সেরা বোলিং ২১ রানে ৪ উইকেট। বিশ্বকাপে এবারই প্রথম সুযোগ পেয়েছে। তিন ম্যাচের একটিতেই কেবল ব্যাট করেছেন। রান পেয়েছেন ১৪।

মাইক-ডেভিড দু ভাই ১০টি ওয়ানডেতে জুটি বেঁধেছেন। ১টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ সেঞ্চুরিতে দু ভাই মিলে তুলেছেন ৩০৬ রান। দু ভাইয়ের সর্বোচ্চ জুটি ১১৫ রানের। নিয়াল ও’ব্রায়েন-কেভিন ও’ব্রায়েন নিয়াল-কেভিন পরিবারটিই ক্রীড়া নিবেদিত। বাবা, অন্য ভাই-বোনও খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত।

দু ভাই আয়ারল্যান্ড দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার। বয়সের ব্যবধান দু বছরের কিছু বেশি। নিয়ালের জন্ম ১৯৮১ সালের ৮ নভেম্বর। আর কেভিনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ৪ মার্চ। বড় নিয়ালের দুই মাস আগে ওয়ানডে অভিষেক কেভিনের।

কেভিন অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী। নিয়াল টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সামলান উইকেটের পেছনটাও। বেশ স্টাইলিশ ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান নিয়াল। সব দিক দিয়েই ছোট কেভিন নবড় নিয়ালের চেয়ে এগিয়ে।

২০০৬ সালের ১৩ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক কেভিনের। নিয়ালের অভিষেক সে বছরের ৫ আগস্ট স্কটল্যান্ডে বিপক্ষে। ৫৬ ওয়ানডেতে ৩৪.৮৮ গড়ে কেভিনের রান ১৫০০। সেঞ্চুরি দুটি হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। সর্বোচ্চ ১৪২।

তবে সেরা সাফল্য এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি। মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৮ রান তাড়া অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক হয়েছিলেন। মিডিয়াম পেসে উইকেট নিয়েছেন ৪৭টি। সেরা বোলিং ৭১ রানে ৪ উইকেট। নিয়াল ম্যাচ খেলেছেন ৪৪টি।

২৫.৯০ গড়ে রান করেছেন ১০৬২। কোনো সেঞ্চুরি নেই। হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। সর্বোচ্চ ৭২, যা গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐকিহাসিক সে ম্যাচে পাকিস্তানের স্বল্প পুঁজির স্কোর তাড়া করতে গিয়ে ধুঁকতে থাকা আয়ারল্যান্ডকে জয় এনে দিয়েছিল। উইকেটের পেছনে নিয়ালের সংগ্রহ ৩২টি ক্যাচ ও ৭টি স্ট্যাম্পিং।

নিয়াল-কেভিন দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ১৫ ম্যাচে ২৬ গড়ে নিয়ালের সংগ্রহ ৩৬৪ রান। হাফ সেঞ্চুরি দুটি। সর্বোচ্চ ৭২। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়েছেন ১২টি এবং স্ট্যাম্পিং ১টি।

১৪ ম্যাচে ২৯.৪১ গড়ে কেভিনের সংগ্রহ ৩৫৩ রান। সর্বোচ্চ ১১৩। উইকেট ৭টি। ওয়ানডেতে দু ভাই জুটি বেঁধেছেন ১২টি ম্যাচে। একটাই ফিফটি পার্টনারশিপ দুজনের।

রান তুলেছেন ৩২২। ডোয়াইন ব্রাভো-ডারেন ব্রাভো বয়সের ব্যবধান ৫ বছরের কিছু বেশি। বড় ভাই ডোয়াইন ব্রাভো লারা যুগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে যোগ দিয়েছেন। ডানহাতি অলরাউন্ডার ডোয়াইন। ডারেন ব্রাভো সবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে যোগ দিয়েছেন।

তুলনা চলছে বরপুত্র লারার সঙ্গেই। বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ডারেন। ব্যাটিং স্টাইল অনেকটা লারার মতোই। ব্যাটিংয়ে নির্ভরতাও দিতে শুরু করেছেন দলকে। ডোয়াইনের জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯৮৩।

ওয়ানডে অভিষেক ১৮ এপ্রিল ২০০৪ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১১০টি ওয়ানডে খেলে ২৪.৬৭ গড়ে রান করেছেন ১৮২৬। হাফ সেঞ্চুরি ৫টি, সেঞ্চুরি একটিই। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১২। উইকেট পেয়েছেন ১৩২টি।

সেরা ১৯ রানে ৪ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপ ডোয়াইনের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ছিল। কিন্তু মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই তাকে দেশে ফিরতে হয়েছে চোটের কারণে। বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচ খেলে ২৪.১৪ গড়ে রান করেছেন ১৬৯। সর্বোচ্চ রান ৪০।

উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। সেরা ৪২ রানে ৩ উইকেট। ডারেনের জন্ম ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯। ওয়ানডে অভিষেক ২৬ জুন ২০০৯ ভারতের বিপক্ষে। ১৮ ম্যাচে ৩৫৬.৫৩ গড়ে রান ৪৬২।

হাফ সেঞ্চুরি দুটি। সর্বোচ্চ ৭৯। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবার মাঠে নেমেছেন। ৫ ম্যাচ খেলে ১১৭। সর্বোচ্চ ৭৩।

ডোয়াইন-ডারেন তিনটি ওয়ানডেতে জুটি বেঁধে রান করেছেন ১০০। সর্বোচ্চ জুটি ৩৮ রানের। ডেভিড ওবুইয়া-কলিন্স ওবুইয়া ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে এক পা দু পা করে কেনিয়া চলে গিয়েছিলো সেমিফাইনালে। সে যুগের দুই ক্রিকেটার ডেভিড ওবুইয়া-কলিন্স ওবুইয়া। বড় ভাই ডেভিড ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনটাও সামলান।

ছোট ভাই কলিন্স পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। কেনিয়ার ক্রিকেট অতল গর্ভে হারিয়ে যেতে বসলেও এখনো কাণ্ডারি হয়ে দলে টিকে আছেন ডেভিড-কলিন্স দু ভাই। ডেভিডের জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৭৯। কলিন্সের জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৮১। দু ভাইয়ের ওয়ানডে অভিষেক একই দিনে, ১৫ আগস্ট ২০০১, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

ডেভিড ম্যাচ খেলেছেন ৭০টি আর কলিন্স ৯১টি। ডেভিডের রান ১৩০৭, কলিন্সের ১৭৫৯। ডেভিডের ব্যাটিং গড় ১৯.৮০। হাফ সেঞ্চুরি ৫টি। সর্বোচ্চ ৯৩।

উইকেটের পেছনটা সামলে ক্যাচ নিয়েছেন ৩৫টি এবং স্ট্যাম্পিং ৫টি। কলিন্সের ব্যাটিং গড় ২৬.২৫। হাফ সেঞ্চুরি ৬টি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৮, এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে থেকেও সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে পারেন নি কলিন্স। দুজনেরই এটি তৃতীয় বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন কলিন্স। রান করেছেন ৩৬১। ডেভিডের বিশশ্বকাপ অভিজ্ঞতা ভালো না। ৯টি ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৮১ রান। গড় ১০.১২।

ওয়ানডেতে দু ভাই জুটি বেঁধেছেন ৭টি ম্যাচে। দু ভাই মিলে রান করেছেন ১৯২। সর্বোচ্চ জুটি ৯৪ রানের। জেমস গুচ-শেম গুচ কেনিয়া দলের দুই নতুন মুখ এই দুই ভাই। দুজনই স্পিনার।

বড় ভাই জেমস ডানহাতি অফ স্পিনার। ছোট শেম বাঁহাতি অর্থোডক্্র বোলার। জেমসের জন্ম ২৯ জানুয়ারি ১৯৮৮। শেমের জন্ম ৬ জুন ১৯৮৯। ছোট শেমের ওয়ানডে অভিষেক বড় জেমসের আগে।

২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক শেমের। জেমসের অভিষেক সে বছরেরই ১ জুলাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বলার মতো কোনো পারফরমেন্স এখনো করতে পারেন নি দু ভাইয়ের কেউ। জেমস খেলেছেন ১১টি ম্যাচ। রান করেছেন ২৪, উইকেট পেয়েছেন ১৪টি।

সেরা বোলিং ১৮ রানে ৩ উইকেট। শেম খেলেছেন ৮টি ম্যাচ। রান ১৫ এবং ইকেট ৫টি। সেরা বোলিং ২৮ রানে ২ উইকেট। একটি ওয়াডেতেই কেবল এক সঙ্গে উইকেটে ছিলেন দু ভাই।

রান করেছেন ৫। * পরিসংখানগুলো ১৭ মার্চ পর্যন্ত (লেখাটি আজকের দৈনিক সোনার দেশ এর ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।