আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানা জানতে চাইঃ

সুস্থ্য ব্লগিং করতে চাই.........

পেশাগত ভাবে আমি ঢাকার একটি বিখ্যাত হাসপাতালের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ। এই হাসপাতালে যারা চিকিতসার জন্য আসেন-তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন ‘একটু সর্দি সর্দি ভাব’ কিম্বা ‘গতরাতে ভালো ঘুম হয়নি’-তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন! এই হাসপাতালে কোনো সাধারন বেড নেই-সবই কেবিন সীট। নুন্যতম সীট(কেবিন) ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ১২ হাজার টাকা, সর্বচ্চটা বললামনা। ঐ ধরনের ধনাঢ্য ন্যাকা রোগীদের কোনো প্রকার চিকিতসা নাহলেও প্রতিদিন সব খরচ মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকার বিল আসে! এই ধরনের রোগীদের দেখতে আসেন যারা তারাও সমাজের সর্বচ্চ পর্যায়ের মানুষ-অন্তত টাকা পয়শার বিষয়ে। এই হাসপাতালের সব কিছুতেই বিলাশিতা-অসুখুটাও অনেকটা বিলাশী সুখ! আমার গ্রামের বাড়ি দেশের উত্তরাঞ্চলে।

যেখানে ৮৫ ভাগ সাধারন মানুষই ক্ষুধা দারিদ্র মংগায় দিশেহারা। সেখানে শিক্ষার হার দেশের অন্যান্য স্থানের থেকে অনেক নীচের দিকে। আমিও তেমন এক পরিবারের সন্তান বললে ভুল হবেনা। আমার এবং আমার স্বামীর(আমরা একই স্কুলে পড়েছি)একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষয়ত্রী অবশর জীবন যাপন করছেন গত ১০ বছর যাবত। যিনি এখন অসুস্থ্য।

আমার সেই প্রিয় শিক্ষয়ত্রী জানেন-আমি ঢাকার বিখ্যাত একটা হাসপাতালে জব করি। চিকিতসার জন্য তিনি আমার শরণাপন্ন হলেন। আমি জানালাম এই হাসপাতালের এক্সপেন্সিভ চিকিতসার কথা। আর্থীক অবস্থার কারনে আমার হাসপাতালে তাঁর চিকিতসা সম্ভব নয়-শুনে তিনি হতাশ হলেন। তারপরেও আমাদের ছোট্ট সংসারে আপাকে নিয়ে আসি এবং একটি সকারী হাসপাতালে চিকিতসা করিয়ে সুস্থ্য হতে সহায়তা করি।

প্রচন্ড আত্মসম্মানবোধে বলিয়ান শিক্ষিকা আপা তাঁর চিকিতসা ব্যয় নিজেই দিয়েছেন। উনি এখনও শুধু মাত্র পেনশনের টাকায় কোনো রকম কস্টে শিস্টে জীবন চালান। কিন্তু বর্তমানে বার্ধক্য জনিত রোগে তিনি কাবু হয়ে পরেছেন। পাঠক, এক সড়ক দূর্ঘটনায় এই শিক্ষয়ত্রী বিয়ের ৮ বছরের মাথায় স্বামীহারা হন। শিশু দুই সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে ২য় বার বিয়ে করেননি।

দুই সন্তান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং আমেরিকা প্রবাসী গত ২০/২১ বছর। সেখানেই তারা সেটেল্ড এবং স্টাবলিস্ট(একজন বিয়ে করেছেন মেক্সিকান/আমেরিকান মেয়ে)। ৮ বছর পুর্বে তিনি তাঁর একসন্তানকে শেষ বারের মত দেখেছেন। ছেলেদের ধারনা-মা একা মানুষ, পেনশনের টাকাই তাঁর খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার জন্য যথেস্ট!কিন্তু বৃদ্ধা মায়ের একাকীত্বের যন্ত্রনার কথা কেউ ভাবছেননা। অবশ্য ছেলেরা বছরে ২/১ বার মাকে ফোন করে খোঁজ খবর নেন।

আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষাকা পত্রিকায় পড়েছেন এবং লোকমুখে শুনেছেন “খতিব আবদুল জলিল নামক একজন দরদী মানুষ গাজীপুরে একটি দাতব্য বৃদ্ধাশ্রম চালাচ্ছেন-যেখানে ষাটউর্ধ যেকেউ থাকতে পারেন”। ঢাকায় তেমন আরো কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। উনি মেন্টালী ডিটার্মাইন্ড-সেই ধরনের কোনো একটি বৃদ্ধাশ্রমে বাকী জীবনটা কাটাবেন। [/su সম্মান্বিত ব্লগার বন্ধুরা, আপনাদের নিকট বিনীত আবেদন তেমন কোনো বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানা জানা থাকলে বিস্তারিত জানাবেন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।