নিজেকে খুজি বিভিন্ন জায়গায়
বিভিন্ন ব্লগারদের ব্লগ এবং পত্র-পত্রিকা গলদঘর্ম করে এতোটুকু বুঝতে পারলাম যে আমরা বাংলাদেশীরা বিদেশি যে কোনো পণ্যের প্রতি কতটা পাগল। অবশ্য এইটার পেছনে দোষ অনেকটা আমাদের (ব্যবসায়ীদের)। প্রসাধনী থেকে কাপড় মোটামোটি সবই এখন আমরা তৈরি করি। তাহলে এতো দেশি পণ্য থাকতে ক্যানো আমরা বিদেশী পণ্য ব্যবহার করি? কারন আমরা যাই করি সবকিছুর মধ্যে ২ নাম্বারি করি। কোনো জিনিষই মানুষকে খাটি দেই না।
ফলে মানুষেরা ছুটে বিদেশী পণ্যের পিছে। আমাদের কষ্টার্জিত সকল অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে। কিন্তু আমরা (ব্যবসায়িরা) যদি একটু হালাল রুজি খাই তাহলে অসুবিধা কি? একটু কম লাভ করলে কি হয়? বি.এস.টি.আই থেকে অনুমোদনের সময় যে নিতিমালা Follow করতে বলা হয় সেগুলো যদি আমরা Follow করি তাহলে কিন্তু মানুষ আর বিদেশী পন্যের দিকে ঝুকবেনা। মানুষ দেশী পণ্যই কিনবে এবং দেশের টাকা দেশেই থাকবে।
এইবার আমার আসল কথাই আসি।
মোবাইল ফোন আমরা মোটামোটি সবাই ব্যবহার করি। প্লেনওয়ালা থেকে ভ্যানওয়ালা এখন সবাই আমাদের দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এখানেও ওই যেই লাউ সেই কদু। আমরা ছুটছি বিদেশী কম্পানীগুলোর পিছে। হয় বাংলালিন্ক না হয় গ্রামীনফোন আর না হয় এয়ারটেল।
গ্রামীনফোন আমরা ব্যবহার করি কারন সবার এক কথা তাদের নেটওয়ার্ক খুব ভালো। আর ইদানিং সব ইয়াং জেনারেশন ছুটছে এয়ারটেলের পিছে। কারন তাদের কল রেট কম আবার সবসময় বোনাস দেয়।
আমাদের নিজেদেরও একটা নেটওয়ার্ক কম্পানী আছে। সেটা টেলিটক।
টেলিটকের প্রতি দেশের মানুষের একটি আস্থা ছিলো যে তারা তাদের নেটওয়ার্ক ভালো রাখবে এবং কলরেট অন্যদের থেকে কম রাখবে। কিন্তু বিধি-বাম। তারা প্রথম থেকে আজ অবধি এই ২টার ১টা দিয়েও মানুষদের সন্তুষ্ট করতে পারে নাই। অন্য কম্পানীগুলোর প্রতি তাদের অতো ক্যানো দূর্বলতা তা আমার মাথাতে ঢুকে না। ভাবটা এমন যে তারা এসেছেই অন্য প্রাইভেট কম্পানীগুলোকে সুবিধা দেবার জন্য।
আমরা কিন্তু আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম জিতলে বোঝা যায়। আমরাও কিন্তু চাই টেলিটক ব্যবহার করতে। আমরা আর চাইনা বিদেশি কম্পানিগুলোকে টাকা দিতে। কারন আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি গ্রামীনফোন কিভাবে আমাদের সংসক্রিতিকে তাদের বিশ্বকাপের ব্যানার/এড্গুলোতে তুলে ধরেছে বিশ্ব-বাসীর কাছে। আল্লাহ বাচাইসে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের স্পন্সর তারা হয় নাই।
হলে যে আমাদের টাইগারদের দিয়ে কি আকাম-কুকাম করাতো একমাত্র আল্লাহই জানেন। আর পেয়ারটেল উপস্ সরি এয়ারটেল যে আমাদের দেশে ঢুকেছেই ২ নাম্বারি করে তা এখন সবারি জানা। যারা বিসমিল্লাতেই গলদ তারা যে পরে কোন চেহারা দেখাবে তাই নিয়ে ভয় হয়। আর "র" এজেন্টদের ব্যাপারগুলোও যে ধুলিতে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা।
তাই টেলিটক পরিচালকদের প্রতি আমার আবেদন দয়া করে অন্য অপারেটরদের পা না চেটে নিজেদের গোফে তেল মাখুন।
াওনেক হারাম খেয়েছেন এইবার হালাল খান। নেটওয়ার্ক ভালো করুন এবং যুগোপযোগী কলরেট করুন, নতুন নতুন সুবিধা দিন মানষকে। দেখবেন তখন আর মানুষকে ঘুষ খাওয়ায়ে টেলিটক ব্যবহার করাতে হবে না, উল্টো মানুষ আপনাদের ঘুষ খাওয়াবে একটা সিম পাওয়ার জন্য। আপনারাই পারেন মানুষকে টেলিটক ব্যবহার করাতে এবং দেশের টাকা দেশেই রাখতে যা চক্রাকারে আবার আমাদেরই পকেটে আসবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।