বাংলাদেশের বিপক্ষে শুক্রবারের দিবা রাত্রির ম্যাচে পরাজিত হবার পরে ইংলিশ পিনার গ্র্যায়েম সোয়ানের হতাশাকে সমর্থন করেন অধিনায়ক এন্ড্রু টাউস। চট্টগ্রামের কন্ডিশন দিবা রাত্রির ম্যাচের জন্য মোটেই সুবিধাজনক ছিল না বলে ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সোয়ান। জহুর আহমেদ চৌধুরী টেডিয়ামে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস জয়ী বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাতের বেলা সেখানে শিশির থাকায় ইংল্যান্ডের বোলারদের বল ধরতে বেশ অসুবিধা হয়। বারবারই তাদের কাপড় দিয়ে বল মুছতে দেখা গেছে।
শনিবার ম্যাচ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের দায়ে ইংলিশ স্পিনার সোয়ানকে ম্যাচ ফি’র ১০ শতাংশ জরিমানা করে আইসিসি। বোলিংয়ের সময় বেশ কয়েকবার সোয়ানকে আম্পায়ারদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। মাঠের মধ্যেও তিনি অশোভন আচরণের পাশাপাশি ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সংযত ছিলেন না। সোয়ানের এই ব্যবহারে এক টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার এক পর্যায়ে টেলিভশন দর্শকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। মূলত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে হতাশা থেকেই সোয়ান এই কাজ করেছে বলে ট্রাউস মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ”সোয়ান আসলেই খুব হতাশ ছিল। শিশিরের জন্য সে ভালভাবে বল ধরতে পারছিল না। সে অনুভব করছিল ম্যাচটিতে তার ভূমিকা দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বল বারবার ভিজে যাওয়ায় সেটা তাকে যেমন চিন্তিত করে তুলছিল সাথে সাথে পুরো দলকেও। আমি তখন সোয়ানকে শান্ত থেকে পরিস্থিতি সামলে নিতে পরামর্শ দিয়েছিলাম।
পরে সে তাই করেছে। ”
এই ধরনের ভেন্যুতে কিভাবে বিশ্বকাপের মত আসরের দিবা রাত্রির ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইংলিশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের মত গুরুত্বপূর্ণ আসরে কিভাবে আয়োজকরা সিদ্ধান্ত নিল এই ধরনের ভেন্যুতে প্রথমবারের মত দিবা রাত্রির ম্যাচ আয়োজনের। ২০ ওভারের পর থেকেই পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যায়। বল কোনভাবেই ধরা যাচ্ছিল না।
স্পিনাররা যদি বল ধরতেই না পারে তবে তার কাছ থেকে ভাল বল পাবার আশা করা দুরূহ। বিশেষ করে এই উপমহাদেশে যেখানে স্পিনাররাই দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
জরিমানার বিষয়টি সোয়ান মেনে নিয়েছেন ফলে আইসিসি’র ম্যাচ রেফারী জেফ ক্রো জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ”সোয়ান বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। বাংলাদেশের ইনিংসে দ্বিতীয় বল ব্যবহারের সময় তিনি বেশ হতাশ হয়ে পড়েন।
২৬তম ওভারের সময় আম্পায়ারের সাথে তার কথোপকথন খুব একটা শোভনীয় ছিল না। অবশ্য এক ওভার পরেই তিনি সেটা বুঝতে পেরে আম্পায়ারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উপমহাদেশের কন্ডিশনে এ ধরনের পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়। ম্যাচ শেষে সোয়ান তার জরিমানার বিষয়টি মেনে নেয়ায় এখানে আর কোন শুনানীর প্রয়োজন হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।